পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ASAAAAS AAASASASS স্থলগুন_ স্পষ্ট হইয়া উঠিল ; বোধ হয় পূর্ণিমা কি ঐ গোছের একটা তিথি হুইবে । বসিয়া বসিয়া ভাবিতেছিলাম পৃথিবীটার কথা। একে বুঝিয়া ওঠা গেল না ; এই সৌন্দৰ্য্যও আছে, আবার ঐ গৌরীকান্তও আছে। কলেজে-পড়া বিড়ম্বিত জীবটির কথা মনে পড়িল ; তাছার পর বোধ হয় এই কথাটাই মনে হইল যে, আমরা নারীকে ঠিক-মত পাইতে জানি না। অল্প-বিস্তরভাবে সব পুরুষই গৌরীকান্ত। সুযোগ আসে, অবসর আসে, রচিত মাল্য হাতে লইয়া ; আমরা বুঝিতেই পারি না,—কখন আসিল, কখন ফিরিয়া গেল । চাকরটাকে বশিলাম—আর একখানা ইজিচেয়ার নামিয়ে দিয়ে যা তো এখানে । চেয়ার বসাইয়া দিলে প্রশ্ন করিলাম,—তোর বহুমাঈজি কি করচে রে ? উত্তর করিল,—ডেকে দোব না কি ? সংসার-সংক্রান্ত কোন কাজ নাই কি না ;–“হী” বলিতে কেমন বাধিগ একটু। সে ততক্ষণ চলিয়া গিয়াছে কিন্তু । একটু পরেই সামনের দুয়ারটার পরদা ঝনাং করিয়া এক পাশে সরিয়া গেল। নিজের চেয়ারটা সেই প্রতীক্ষমান চেয়ারটার কাছে একটু টানিয়া লইতেছি, এমন সময় পিছনে পরুষ কণ্ঠে শুনিলাম,—এই যে ইয়ে বাৰু, কি যে দিব্যি নামটি, আবার ভুলে গেলাম--- সত্য গোপন করিয়া লাভ নাই, একটা যেন বিপর্যায় ঘটয়া গেল,—কোথায় গেল আলো, কোথায় হাওয়া, কোথায় গন্ধ ; একখানি রাগিণীর সমস্ত স্বরটিকে বিকৃত করিয়া একটা বিসম্বাদীর পরদা যেন ঝঙ্কার করিয়া উঠিল । একবার করু৭ নেত্ৰে সেই চেয়ারটার দিকে চাহিলাম, এক মুহূৰ্ত্তের বিভ্রম মাত্র,•••তখনই আবার নিজেকে যামলাইয়া লইয়া, উঠিয়া দাড়াইয়া বলিলাম"--এই যে, স্বাক্ষন---আমুন--- গৌরীকান্ত বসিতে বলিত বলিলেন,—আসতেই হ'ল। আপনিও বোধ হয় আমার জন্তেই ই ক'রে বলে আছেন,-চেয়ার পর্যন্ত মজুদ দেখচি যে। ও হতেই হবে কি-না ; রোজকার দেখা-শোনায় একটু অব্যেস হয়ে षषूजिए. Wෂ්ඨිකු গেচে । সেই নিমতলাটিতে আজ আর দেখতে পেলাম না, মনটা বড় খারাপ হ’য়ে রইল। এই সময়ট। আবার প্লেগটেগ আরম্ভ হয়ে থাকে, ভাবলাম---হয়ত প্রথম আমাদের বাঙ্গালীকেই ধরলে এবার । ওখান থেকে বাইরে হাওয়ায় বসে থাকতে দেখে প্রাণটা ঠাণ্ড হ’ল,-••ন, যা ভেবেচি তবে না নয়।--তবুও মাঝে মাঝে বগগট, গলাটা টিপে টিপে দেখবেন মশায়-সাবধানের মার নেই--- কথাগুলো চরম গfলাগালির এত কাছাকাছি ষে কি রকম একট। অস্বস্তি বোধ হইতেছিল । নিরুপায় ভাবে বসিয়া রহিলাম ; গৌরীকান্তবাবু বেশ সরলভাবেই বলিয়া চলিলেন,—সাবধানের কথায় কাল সন্ধের কথা মনে পড়ে গেল ।•••বেড়িয়ে এসে দেখি খোলা ছাতে দিব্যি শেতলপাটিটিতে গিল্পী একরকম গা আছড় ক’ব্লেই শুয়ে । ওপরে বেশ হাওয়া ; আর টাদের একটা ঠাণ্ড৷ এফেক্ট আছে তা'তো জানেনই—কাল আবার মশায় পূর্ণিমা ছিল বোধ হয় । •••জানে এই সময়ট বাড়ি ফিরি আমি, তবু জেনে শুনে এই বেয়াঞ্চিলেপনা। বেড়িয়ে এসে কোথায় একটু আম্বেদকরব, না-••দেখে ভে পিত্তি জলে গেল মশায় । একলা মানুষ—এই দোরলার সময়-••দরকার কি চটচটি ক’রে ? —বুঝিয়েই বললাম-ওগো, এটি হচ্চে বেহারে প্লেগের সময় । এবারটা এখনও ভাল আছে ব'লে অতটা এলে দিও না। বড় বিষম রোগ, একবার ধরলে ত্ৰিণীমানার মধ্যে কেউ ঘোষবে না। খদ্দর তো ভালবাস বাপু, তবু ঐ পাতলা সেমিজটা পরে কেন সময় বুঝে ? চুল এলো করা মশায় ; গা ধুয়ে এসে শুয়েছে আর কি, চুলে জল লেগে গেছে—দেখলাম কি-না, চাদের আলোয় षङ्गिणांश्च घांघ्ंilनि ख्रिभिदू कुद्रंष् उाशे ७:खॆग्नि' श्चाप्तः আর কি। খোচা দিতে ছাড়ব কেন ইয়েবাৰু—ব’ললাম— স্বর্ঘ্যের আলোতেই তো চুল শুকোয় জানি, চাদ বেচারা--- ঠিক এই পৰ্য্যস্ত বলেচি; সে রাগ দেখে কে —গঢ় গঢ় ক’রে নেমে গিয়ে রান্নাঘরে খিল দিলে, সেই গরম গুমোট ঘর --কথাগুলো তে শুনলেন–রাগের কিছু