পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন अबूजिङ्ग. لجهويا অন্ত কিছুর উপরই আর রসসিঞ্চন হয় না ; সবই ফিকা ওঁর কাছে । যাক, ওসব বড় কথা । লোকটি তাহ’লে ষে একে বারেই নীরস তাহা নয়। এদিকে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে ক্রমেই এত বিব্রত হইয়া পড়িতেছিলাম যে, মনে মনে একটা স্বস্তি অঙ্গভব করিলাম। সাহস করিয়া—যদিও খুব সস্তপণের সহিত—বলিলাম,—ণ্ডর নাম কি, আমিও বোধ হয় কখনও দু-একটা এগাছ সেগাছ লাগিয়ে থাকব। —তাহ’লে উঠতেই হচ্চে মশায় ; ও ষে আমার কী নেশা...কোন দিক দিয়ে রাস্ত বলুন দিক্ষিন ? দাড়াইয়া উঠিয়াছেন। আমি কৃতকৃতার্থ হইয়া গিয়াছি ; এ অনাড়ম্বর প্রচ্ছন্ন সৌন্দৰ্য্য-উপাসকের দর্শনেও পুণ্য । কিন্তু রাত্রিকাল, বলিলাম,—এখন না হয় থাক গৌরীকান্তবাবু, বাগানটা একটু জজুলে তায় গোটাকতক কেয়া ফুটেচে—গরমের রাজি...... —কেয়া ফুল —ন ইয়েবাব, আমার ফুলের বাতিক দেখে আপনি নিশ্চয় ঠাট্টা করচেন। এই মরুভূমির মাঝখানে কেয়াফুল ! এ হইতেই পারে না...... —না, সত্যিই ফুটেছে । এক ঝাড় গাছ করেছি কি না । এঃ, আপনি ফুলের এত ভক্ত জানলে মাঝে মাঝে পাঠিয়ে দিতাম ; কত ফুলই যে রোজ নষ্ট হয়...... —ফুল আমার প্রাণ মশায় ; না হ’লে দিন চলে না। ঐ ষে বললাম,—ফুল এক মৌমাছিই চেনে, কি গৌরীকান্তই চেনে ; এইটুকু গুমোর আমার আছে, ইn। কাব্যচুং মশায় নাম রেখেছিলেন মধুলিড়—মধুলেঢ়ি অর্থাৎ লেহুন করে ইতি মধুলিট কি-না ভ্রমর...তাই তো...না, এখন মোটেই বাগানে যাওয়া সমীচীন নয়, কি বলেন ? তারা আবার আমাদের চেয়েও সৌধীন, ঘাটান ঠিক 可硼。。。 আস্তে জান্তে আবার চেয়ারে বসিয়া পড়িলেন। এমন সমদরী কখনও পাই নাই, মধুলিড়ই বটে, বাহিরটাভে কি আসিয়া যায় তাহার ? একটা গুমোর ছিল ; কিন্তু ফুলের আদর তো দেখিতেছি আমরা কিছুই জানি না। একে সামান্ত একটুও তৃপ্ত করা যায় না 7... চাক্ষরটাকে ডাক দিলাম। আসিল, বলিলাম,—দেখ Q-سی-وچسb দিকিন, আজ ফুল কিছু তুলেচে কি না ; থাকে তো নিয়ে জায় । প্রায়ই কিছু ফুল তোলা থাকে। একটা তোড়া জার কতকগুলো আলগা ফুল লইয়া আসিল—বেল, গন্ধরাজ, একটা লবঙ্গ লতার গুচ্ছ,হালকাভাবে জলের ছিটা দেওয়া । এত আগ্রহ কখনও দেখি নাই ; গৌরীকান্তবাবু একরকম লাফাইয়াই উঠিয়া হাভ-ছুটে প্রসারিত করিয়া ধরিলেন, বলিলেন,—ইস, স্বৰ্গ যে উজোড় ক'রে এনেচে । এ-সব আপনার নিজের বাগানে ফুটেচে ?---কাল সকালেই আবার বিরক্ত করতে—যা-ই না মনে করুন... গদ-গদ হইয়া বলিলাম—নিশ্চয়ই আসবেন । আমি নয় ভেকে নিয়ে আসব’খন খুব ভোর বেল, সে-সময় যা হয়ে থাকে ! 翰 ছোট শিশুর মত আনন্দ সমস্ত মামুযটিকে এত স্বচ্ছ করিয়া দিয়াছে—যেন অন্তঃস্তল পৰ্য্যন্ত দেখা যায়। শিশুর "মঙই হাসিয়া বলিলেন—আপনি আমায় ডাকবেন ? তবেই হয়েচে । দেখবেন রাত থাকতে এসে হানা দিয়েচি ; যা নেশা ধরিয়ে দিয়েচেন...... আমার যাইবার আগে তিনিই আসিয়া হাজির অতি প্রত্যুষে। প্রথম কথা—সমস্ত রাত ঘুম হয় নি মশায় ; চলুন, কোন দিকটা ? যাইতে যাইতে বলিলেন,—যা জাহারটি হ’ল কালকে ! গরমে কিছু মুখে দিতে পারতাম না। বলিলাম—হঁ্যা, ফুল জিনিষটাই খুব খিদে জাগায় ; সাহেবদের দেখেন না ? ফুলের ভোড়া টেবিলে চাই-ই । বাগানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া মুগ্ধ প্রশংসায় গৌরীকান্ত ছয়ারটির কাছে দাড়াইয়া রছিলেন। ষে-দিকটা চান, দৃষ্টি যেন আর ফিরাইতে পারেন না। মুখে ৰখা নাই, শুধু একটা আবেগমাখা হাসি । ফুলের গন্ধ সবও তাদের এই উষার অতিথিদের অভিনন্দিত করিবার জন্য যেন ভীড় করিয়া পড়িয়াছে। পরিচয় দিতে লাগিলাম—এটা ডালিয়া ; ঠিক এখন ফোটবার সময় নয় ; তবুও একট-ন-একটা ফুল থাকেই, এই ফুটন্তদের দলে পড়ে বেচারা যেন চক্ষুলজ্জায় পড়ে গেছে আর কি ৷