পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ 4>99ళేు -–এ রকম বেল। আপনি এ তলাটে পাবেন না। জোগাড় করতে যা বেগটা পেতে হয়েছে, লিখলে একটা ইতিহাস হয়ে যায় ; ওর চেয়ে রাজপুতরা তাদের কনে উঠিয়ে আনত ঢের সহজে - খোযামোদ করতে হয়েচে, ঘুঘ খাওয়াতে হয়েচে, তাতেও যখন হ’ল না, তখন চোর বনতে হ’ল ; একটা ডাল কেটে এনেছিলাম। গৌরীকান্ত বলিলেন,—এ চুরিতে পাপ নেই। আমি ভেবেছিলাম শাদ গোলাপ ! বেলার এত পাপড়ি আর রসে যেন ভেঙে পড়চে পাপড়িগুলো... এমন উৎসাহ ভরে কখনও ফুলের ব্যাখ্যান করি নাই । কোথায় এমন সমঝদারই বা এ রুক্ষ পৃথিবীতে ? গোলাপ ফুটয়াছে, মার্শাল নীল। তার চাপার মত রঙে কোথায় একটু গোলাপী রেখা, কাচা সোনার যার রঙ তারই রাঙা ঠোঁটের হাসির মত। তুলিতে হাত ওঠে না; কিন্তু পূজার আগ্রহটা প্রবল। একটা তুলিয়া হাতে দিলাম। বলিলাম,--সটন প্রাইড দিয়েচে । এর পূর্বগোত্র প্যারিস একজিবিশনে প্রথম প্রাইজ পায় ; দেখুন না, ফোটার মধ্যে বেশ একটি দেমাকের ভাব নেই ?...আর একটা জিনিষ দেখাচ্চি, এইদিকে আম্বন। পথে মা’র কুমড়াপত অবহেলায় লঙ্ঘন করিয়া যাইতেছিলাম। গেীকাস্তবাবু পিছনে আলিতেছিলেন ; থমকিয়া দাড়াইয়া বলিলেন,—ইয়েবাবু! কি যে দিব্যি নামটি, ভুলে গেলাম••• বলিলাম,–গোবৰ্দ্ধন । —ষ্ট্য। ঠিক, মশায় এ কি কুমড়োর ফুল ? বলিলাম - হঁ্যা, কাচড়াপাড়া থেকে বিচি আনান ; মা’র একেবারে প্রাণ বললেই চলে ; বোধ হয় আমি ছেলে হয়েও অত যত্ন খাই নি। & —এ জিনিষ আমার গোটা-কতক চাই-ই চাই...এ ষে বাগান আলো ক’রে রয়েচে একেবারে! কাল সন্ধ্যার সময় যখন আমন জ্যোৎস্না রাত্রিটার লাঞ্ছনার কথা শুনিতেছিলাম, মনে মনে ভাবিতেছিলাম••• কি করিয়া এই শুষ্ক কাষ্ঠের মভ অতি নীরস মানবটিকে সৌন্দৰ্য্যরসে দীক্ষিত করা যায়। नांभ' এখন দেখিলাম ইহার মধ্যেই তো রসের গুঢ় রহস্যটি ধরা পড়িয়াছে। এই ভো দরদ যা প্রভেদ বোঝে না ; যা উচ্চ-নীচ-নিৰ্ব্বিশেষে সমস্তর পরেই উচ্ছ্বসিত হইয়া পড়ে। নূতন চক্ষে কুমড়ার ফুল দেখিতে লাগিলাম । মৃণালের চেয়েও শীর্ণ, স্বকুমার বুস্তুের উপর গোলাপী মেশ হলুদ রঙের ফুলগুলি তাদের একটি দলেই কী স্বধমায় না ফুটয়া উঠিয়াছে ! নিজেকে এমন পরিপূর্ণ ভাবে মেলিয়া কোন ফুলই বোধ হয় ফুটিতে পারে না। গোটাকতক তুলিলাম ; আমার আঙ লগুলা যেন আবীরে ভরিয়া গেল । গেীরীকান্তবাবু তাড়াতাড়ি অথচ খুব আলগা হাতে আমার নিকট হইতে ফুলগুলা তুলিয়া লইলেন, বলিলেন,—দেখবেন, ওগুলো হ’ল পরাগ, খুব বাfচয়ে, ঐ তো আসল। ও যে রজনীগন্ধা ! তাই তো বলি,—এত ফুল না হ’লে কাল অত গন্ধ আসছিল কোথা থেকে । ওর কেরামতি রাত্তিরে, থাক রাত্তিরেই এসে নিয়ে যা?ধন ; ততক্ষণ যতটা রস টানে “চলুন, এইবার আপনার কেয়া দেখিগে,–সংস্কৃতে হলেন কেতকী— কেভকীবেণু খদির রসে দিয়, শুখায়ে নিয়ো কমল কিশলয়ে ; অধর তাতে স্বরভি ক’রে প্রিয়া, আমারে দিয়ে মরণ বিলাইয়ে । একটুখানির মধ্যে কেয়া খয়েরের ফৰ্ম্মলাটি কেমন দিয়ে দিয়েচে । খম্বেরের রস ক'রে তাতে কেয়ার ধুলো দিয়ে কচি পদ্মপাতায় শুকিয়ে নেবে ...আগেকার তারা সব ফুলপাতার সঙ্গে ঘর করত। সেদিন ওর একখানা বইয়ে দেখছিলাম না 7—শকুন্তলার জর এল-তক্ষুনি চন্দন ঘসে পদ্মপাতায় লেপে বসিয়ে দিলে ; এখন হ’লে— ছোট মটর, ডাৰু সিবিল সার্জনকে-•• আমরা পুপলোকে বাস করিতেছি বলিলেও চলে। সমস্ত দিন কেবল ফুল, ফুল, আর ফুল । গৌরীকান্তবাবু সকালে আসেন, সন্ধ্যায় আসেন। সময়টা প্রায়ই বাগানে কাটিয়া যায়। ফুলের পরিচষ্য,