পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুক্তিটা সহজেই খগুন করিবার নয়, সেই জগুই বেশী অবহেলা দেখাইয়া হো-হো করিয়া হাসিয়া উঠিয়া তর্কট চাপা দিয়া দিলাম। সন্ধ্যার সময় গৌরীকান্তবাবু আসিলে বলিলাম,— মশায়, আপনি ফুলের কি-ভাবে সদ্ব্যবহার করেন সেই নিয়ে আমাদের স্ত্রী-পুরুষে কাল সমস্ত রাত গভীর গবেষণায় কেটেচে। আপনার ভাস্করবৌয়ের যত আজগুবি আন্দাজ, বলে—বাড়িতে ফুল দেখতে পাই না, নিশ্চয়ই একটু বাণী হলেই ফেলে দেন। - বললাম —আরে ধ্যাৎ, একেই বলে মেয়েলী বুদ্ধি বড় বড় সাহেবদের সঙ্গে আলাপ, তাদের সব ভেটটেটু দেন নিশ্চয়। --বগে—ই্যা, ভোমার যা বুদ্ধি, আমন চমৎকার ফুলগুলো ঐ মেলেচ্ছগুণোব পায়ে ঢালতে যাবেন ; সাত্বিক মাহুয, নিশ্চয় পুজোটুজো করেন. গৌরীকান্তবাৰু খুব মনোযোগসহকারে শুনিতে ছিলেন, এইবার প্রবল বেগে হাসিয়া উঠিয়া বলিলেন,— দেখছিলাম কার কতটা বুদ্ধির দৌড় ; সে ধরবার ষো নেই তো গবেষণা ক’রে কি হবে ? তবুও উনি পূজোর দিকে গেছেন—অনেকট কাছাকাছি ; তবে কার পূজো ধরতে পারেন নি—হাঃ-হ!—হা ... তবে, আর দেরি নয়, এইবার জানাব —তখন বুঝতে পারবেন ফুলগুলো এতদিন কী ভাবেই না নষ্ট করে এলেচেন। একটু দেরি করছিলাম—মল্লিকের গোড়েটা ঠিক তোয়ের হয়নি এতদিন ; আজ বোধ হয় পদ্ম দুটাও ঠিক তোয়ের হয়েচে, জার সেই কেয়াট, চলুন, দেখা যাকৃ••• বাগানের মাঝে দাড়াইয়া একবার চারিদিকে চাহিয়া বলিলেন,—না:, সব ঠিক আছে। তবে আজই হোক, বুঝলেন ইয়ে-বাৰু!—কি ষে দিব্যি নামটি-বলিলাম,— গোবৰ্দ্ধন । -शl, ईशा ठेिक-••ञांछ छूटलब्र वाशंब्र cमश्रबांब्र নেমন্তয় ; ঐখানেই পায়ের ধুলো দেবেন। ভাগ্যগুণে আজ খাল। একট মিরগেল মাছ ৪ পাওয়া গেছে । তবে ই্যা -ঠাকুরটিকে চাই আপনার ; গিল্পী বলেন,—“আমি আজ রান্নাঘরের ত্রিসীমানার মধ্যে ঢুকতে পারব না।’ প্তপ্রবাসী স্ট্রং S99ఖి কাজ কি ও-জাতকে খাটিয়ে মশায় । বললাম,— বেশ, ওঁর ঠাকুরকে ডেকে আনছি, দেখিয়ে শুনিয়ে মোৰ’খন ; তুমিও তো আজ আমার কাছ থেকেই গুণী। আর ওঁর স্ত্রী, বোন সব আসচেন, তোমার এদিকে থাকলে চলবেই বা কেন ?••• আহারে বসিয়াছি। গলদঘর্শ্ব গৌরীকাস্তবাবু সামনে একটি টুলে বসিয়া পাখার হাওয়া খাইতেছেন ; এতক্ষণ রান্নাঘরে ছিলেন। নানা ফুলের একটা ক্ষীণ মিশ্র গন্ধ যেন মাঝে মাঝে নিঃশ্বাসে ধরা দেয় ; কিন্তু ফুল কোথাও দেখিলাম না! শুধু সামনে একটা ছোট ঝুড়িছে আর সব আবর্জনার সঙ্গে সেই পদ্মের কতকগুলা পাপড়ি, আর কেয়াফুলের কচি পাতা –বোঝাই যায় ছোট মেয়েটির কীৰ্ত্তি "ফুলের বাহার' নিশ্চয় ওপরে শোবার ঘরে, খাওয়াদাওয়ার পর লইয়া যাইবেন । বলিলেন,—ঠাকুর, এইবার নিয়ে এস সেই চপটপগুলো । --কি রকম হয়েচে কে জানে, একেবারে আনাড়ি লোক- -- ঠাকুর একটি রেকাবিতে একপ্রস্ত তরকারি, ভাজ। জানিয়া হাজির কহিল। গৌরীকান্তবাবু প্রবল উৎসাহে নির্দেশ করিতে লাগিলেন,—আগে ঐটে দাও ; বাৎলান দিকি জিনিষটা কি ? রজনীগন্ধার বাসের সঙ্গে ছোলার বেসনের সোদাটে গন্ধ-••একেবারে জলের মত পাতল ক’রে নিতে হৰে বেসনটা---আগার দিকটা কেমন, মুচ মুচে তো ? এইবার গোড়ার দিকটা একটু জিবের চাপ দিন ; বেশ একটু মিষ্টি নয় ? ঐট হ’ল মধু--এইবার ঐটি দাও বাবাজি । না বললেও নিশ্চয় ধরে নেবেন, গন্ধই যে ওকে ধরিয়ে দিচ্চে —কেম্বাফুলের চপ-•-মাছটিকে সেঙ্গ ক’রে নিয়ে কাটা বেছে ফেললেন, তারপর আস্তে আস্তে কেয়াফুলের ওপরকার কচি পাতাগুলো তুলে ফেলে ফুলট কুচিকুচি করে ফেললেন—মাইও ইউ—কেয়ার ধুলোগুলো সব মাছেই পড়া চাই ; তারপর•••না, ন, ও তিনটিই