পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীত ঐগিরীন্দ্রশেখর বসু ❖ ጫ অষ্টম অধ্যায় ৮১-২ সপ্তম অধ্যায়ের শেষে পরা ও অপরা প্রকৃতির বিজ্ঞান ও ব্রহ্ম ও বিভিন্ন দেবতার পূজার আলোচনা প্রসঙ্গে শ্ৰীকৃষ্ণ অধিবাদের উল্লেখ করিয়াছিলেন, সেই স্থত্রে অৰ্জুন প্রশ্ন করিতেছেন “হে পুরুষোত্তম, সেই ব্ৰহ্ম কি, অধ্যাত্ম কি, কৰ্ম্ম কি, অধিভূত কাহাকে বলে, অধিদৈবই বা কি ? হে মধুসূদন, এই দেহে অধিযজ্ঞ কি প্রকারে অবস্থিত এবং তিনি কে এবং সংযত চিত্ত ব্যক্তির মরণকালে কেন এবং কি প্রকারে তুমি তাহার ধোয় হণ্ড r অর্জুন অধিবাদের পারিভাষিক শব্দগুলির অর্থ জিজ্ঞাসা করিলেন এবং সেই উপলক্ষে শ্ৰীকৃষ্ণ পরের শ্লোকগুলিতে অধিবাদ সম্বন্ধে নিজের মত ব্যক্ত করিলেন । অধিবাদ তখনকার দিনের এক বিশেষ সাধনমার্গ। অধিবাদ সম্বন্ধে পূর্বপ্রকাশিত আলোচনা দ্রষ্টব্য (প্রবাণী—আষাঢ়, ১৩৩৯ )। অধিবাদীরা ব্যক্ত চরাচরের তাবৎ পদার্থকে অধিদৈব, অধিভূত এবং অধ্যাত্ম এই ভিন বিভাগে বিভক্ত করেন এবং তাঁহাদের তত্ত্বাস্থসন্ধানের দ্বারা মুক্তিলাভের চেষ্টা করেন । অধিবাদ এই হিসাবে কতকটা সাংখাবাদের অন্তরূপ। অখিল কৰ্ম্মের স্বরূপনির্ণয় এবং অন্তকালে ওঁকারের ধ্যানও অধিবাদের অন্তর্গত ছিল বলিয়া মনে হয় । ৮। ৩-৪ ভগবান বলিলেন, "পরম অক্ষরই ব্ৰহ্ম এবং স্বভাবকে অধ্যাত্ম বলা হয়, ভূতভাবের উদ্ভবকর যে বিসর্গ তাহারই নাম কৰ্ম্ম, ক্ষরভাব অধিভূত এবং পুরুষই অধি অৰ্জুন উবাচ--- কিং তদব্ৰক্ষ কিমধ্যাক্সং কিং কৰ্ম্ম পুরুষোত্তম। অধিভূতং চণ্ডিং প্রোক্তমধিদৈবং কিমুচ্যতে ॥ ১ অধিযজ্ঞ: কথং কোহৰ দেহেইস্মিন মধুসুদন। প্রয়াণকালে চ কথং জেল্পোইলি নিয়ভাঙ্গভিs ॥ ২ দৈবত এবং হে দেহধারিগণের শ্রেষ্ঠ, এই দেহে আমিই অধিযজ্ঞ ” এই শ্লোক দুইটির ব্যাখ্যা লইয়া অনেক মতভেদ আছে। অক্ষর শব্দের অর্থ যাহার ক্ষয় নাই ; অক্ষর শব্দে ওঁ এই অক্ষর, জীবাত্মা, কুটস্থ, ও পরম ব্ৰহ্ম ইহার যে-কোনটি বুঝাইতে পারে, কিন্তু যখন অক্ষর শব্দে পরম বিশেষণ যোগ করা হয় তখন ইহা পরমাত্মা বা ব্ৰহ্মকেই নির্দেশ করে। স্বভাব শব্দে নিজের ভাব অর্থাৎ আত্মভাব কিংবা সাধারণ প্রচলিত অর্থে প্রকৃতিজাত স্বভাব যাহার বশে আমরা সমস্ত কৰ্ম্ম করি । ভূতভাবোস্তুবোকর বিসর্গ বাক্যের অন্তর্গত ভূত শব্দের অর্থ পঞ্চমহাভূত বা প্রাণী উভয়ই হইতে পারে ; ভাব শব্দের অর্থ সত্তা কিংবা পদার্থ। উদ্ভব শব্দের অর্থ উৎপত্তি বা সম্যক বিকাশ এবং বিসর্গ শব্দের অর্থ বিসর্জন, ত্যাগ বা সৃষ্টি । এই দুই শ্লোকের শঙ্করব্যাখ্যা –“অক্ষর যাহা বিনষ্ট হয় ন? তাহাই পরমাত্মা। পরম এই বিশেষণটি নিরতিশয় ব্ৰহ্মরূপ অক্ষরেই প্রযুক্ত হইয়াছে, এই প্রকার মতই উৎপন্নতর হয় । সেই পরব্রহ্মেরই প্রতিদেহে প্রত্যগাত্মভাবে অবস্থিতিকেই “স্বভাব’ কহা যায় ; ইহাই "স্বভাব’ অধ্যায় বলিয়া উক্ত হইয়া থাকে। দেহরূপ আত্মাকে অধিকৃত করিয়া প্রতিপুরুষের আত্মভাবে অবস্থিত সেই পরমব্ৰহ্মরূপ পরমার্থ বস্তু পৰ্য্যস্ত সকল পদার্থকেই স্ব ভাব বা অধ্যাত্ম শব্দের দ্বারা প্রতিপাদন করা হইতেছে। ভূত অর্থাৎ পৃথিবী প্রভৃতি যে ভাব অর্থাৎ বস্তু তাহাই ভূতভাব ; সেই ভূতভাবের উদ্ভব যে করে তাহার নাম অক্ষয়ং গরমং ব্ৰহ্ম স্বভাৰোহখ্যাক্সমুচ্যতে । ভূতভাবোস্তবকরে বিসর্গ: কৰ্ম্মসংজ্ঞিত ॥৩ অধিভূতং ক্ষরে ভাব পুরুষশ্চাধিদৈবতম্ अश्षिप्छाक्ष्इटबबोल्नु cक्tए cनहङ्कडोरबद्र , s