পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন গীতা ఆ8ణ ভূতভাবোস্তুবোকর ; বিসর্গ এই শব্দটির অর্থ বিসর্জন অর্থাৎ ইন্দ্র প্রভৃতি দেবতাগণের তৃপ্তি উদ্দেশে যে পুরোডাশ প্রভৃতি প্রব্যের ত্যাগ তাহাই বিসর্গ শব্দের অর্থ—এই বিসর্গই ভূতনিচয়ের উৎপাদক। সেই বিসর্গ শব্দের প্রকত ডাৎপর্যাগ যজ্ঞ ; কৰ্ম্ম শব্দের দ্বারা যজ্ঞই অভিহিত ; এই যজ্ঞরূপ বীজ হইতে স্থাবর-জঙ্গমরূপ দ্বিবিধ ভূতনিচয় উৎপন্ন হয়। প্রাণিগণের ভোগের জন্য যাহা উৎপন্ন হয় তাহাকেই অধিভূত কহ যায়। যাহা বিনষ্ট হয় তাহাই ক্ষর, এমন যে ভাব তাহাই অধিভূত অর্থাৎ যাহা কিছু উৎপন্ন হয় এমন সকল বস্তুই অধিভূত শব্দের দ্বারা অভিহিত হয়। পুরুষ অর্থাৎ যাহার দ্বারা জগৎসকলই পরিপূরিত অথবা খিনি দেহরূপ পুরে বিরাজমান, তিনিই পুরুষ। সেই আদিতামণ্ডলমধ্যবর্তী সকল প্রাণীর সকল ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত হিরণ্যগৰ্ভ ; সেই পুরুষই অধিদৈবত। সকল যজ্ঞের উপর আত্মীয়ত্বাভিমান যে দেবতার আছে, সেই বিষ্ণুই অধিযজ্ঞ। শ্রুতিতেও নির্দিষ্ট আছে যে বিষ্ণুই যজ্ঞ, সেই বিষ্ণু আমিই, এই দেহে অধিযজ্ঞরূপে আমিই বিদ্যমান আছি। দেহের দ্বারা নিম্পাদিত হইয়া থাকে এইজন্য যজ্ঞ অর্থাং যজ্ঞের ফল দেহে থাকে, অর্থাৎ লিঙ্গশরীরকে আশ্রয় করিয়া থাকে স্বতরাং যজ্ঞাভিমানিনী দেবত্তাও এইরূপ” ( অর্থাৎ দেহে থাকেন ) ( প্রমথনাথ তর্কভূষণ ) । সংক্ষেপে শঙ্করব্যাখ্যা বলিতেছি— ব্ৰহ্ম = অবিনাশী পরম সত্তা = পরম অক্ষর । অধ্যাত্ম = দেহকে আত্মভাবে অধিকৃত করিয়া যাহা কিছু আছে = স্বভাব। কৰ্ম্ম = ভূতনিচয়ের উৎপাদক যজ্ঞ =ভূক্তভাবোস্তুবোকর বিসর্গ: | अपि छूङ =छे९भखि विनांननेन गभूमग्न रुख-ऋद्र छांद অধিদৈবত-সমুদয় প্রাণীর ইঞ্জিয়াভিমানী আদিত্যাস্তুরগত দেবতা হিরণ্যগৰ্ভ-পুরুষ অধিবক্স-ঘঙ্গ-ফলভোগী লিঙ্গশরীরকে অধিকৃত করিয়া ধিনি আছেন -বিষ্ণু-শ্ৰীকৃষ্ণ এই পারিভাষিক শব্দগুলির শঙ্করব্যাখ্যা সৰ্ব্বস্থলে সঙ্গত হয় নাই। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত অধিবাদের বিচারে শ্রুতি প্রমাণাদির সাহায্যে দেখাইয়াছি যে, অধ্যাত্ম শব্দের অর্থ শরীরের ইন্দ্রিয়াদি অধিকৃত করিয়া যাহা আছে অর্থাৎ মাগুষের স্বভাব । স্বভাব অর্থে পরমেশ্বরের আত্মভাব নহে । গীতায় অঞ্চত্রণ সাধারণ অর্থে ই স্বভাব শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে । অধিভূভ শব্দের অর্থ যাহা ভূক্তবর্গকে অধিকৃত করিয়া আছে অর্থাৎ নশ্বরত্ব বা ক্ষরভাব । অধিদৈবত শব্দের অর্থ যাহা বায়ু, আকাশ প্রভৃতি বস্তুর অভিমানী দেবতাদের অধিকৃত করিয়া আছে । দেবতা অর্থে প্রকাশমনি বা দ্যোক্তন সত্তা | প্রকাশগুণ চেতনশীল জীবাত্মা বা পুরুষের আশ্রয়ে অভিব্যক্ত হয় এজন্য পুরুষই অধিদৈবত । শঙ্কর "দেবতা’ শব্দে ইন্দ্রিয়াদিও ধরিয়াছেন। উপনিষদে অন্যত্র দেবতা শব্দের এই অর্থ স্বীকৃত হইলে ও অধিবাদে ইন্দ্ৰিয়গণ দেবতা শব্দে অভিহিত হয় নাই ; ইঞ্জিয়সমূহকে অধ্যাক্সের অন্তর্গত করা হইয়াছে। মুহাভারতে শাস্তিপর্বে ৩১৪ অধ্যায়ে এবং আশ্বমেধিক পর্বে ৪২ অধ্যায়ে অধ্যাক্স ইত্যাদির উল্লেখ আছে, যথা:– চরণেন্দ্রিয় অধ্যায়, গমন অধিভূত এবং বিষ্ণু তাহার অধিদেবতা; বুদ্ধি অধ্যাত্ম, জ্ঞাতব্য বিষয় অধিভূত এবং আত্মা তাহার অধিদেবতা; চক্ষু অধ্যায়, রূপ অধিভূত এবং স্বধ্য তাঙ্কার অধিদেবতা ইত্যাদি। মহাভারতের উদাহরণে ‘অধি’ শব্দের অর্থ তদ্বিষধক ; অধিভূত অর্থাৎ ভূতসম্বন্ধীয়। গীভায় অধি শব্দের অর্থ—যাহা অধিকৃত করিয়া আছে । মহাভারতে এজন্য চক্ষুকেই অধ্যাত্ম বলা হইয়াছে, কিন্তু গীতামতে চক্ষু অধ্যায়ের অন্তর্গত অর্থাৎ প্রকৃতিজাত স্বভাব চক্ষুরিন্দ্রিয়কে অধিকৃত করিয়া রাখিয়াছে ইহাই বল উদ্বেগু ! গীত, মহাভারত ও উপনিষদে অধিবাদের বিবরণে বাস্তবিক ফলতঃ কোন পার্থক্য নাই। অধিভূত, অধ্যাত্ম ও অধিদৈব শব্দের অন্তর্গত ভূত, আত্মা, দেবতা পদের প্রকৃত অর্থ কি তাহা তত্ত্বসমাস নামক কাপিলশাস্ত্রের সপ্তম এবং দ্বাবিংশ স্থত্রের দীপিক নামক ব্যাখ্যায় পরিস্ফুট হুইয়াছে। এই ব্যাখ্যা পাঠ করিলে শব্দগুলির অর্থ সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ থাকিবে না । দ্বাবিংশ স্থত্রে ত্ৰিবিধ দুঃখের উল্লেখ আছে ; এই ত্ৰিবিধ দুঃখ আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌডিক । “তত্ৰাধ্যাত্মিকং দ্বিবিধম্। শারীরম্ মানসঞ্চেতি । শারীরং বাতপিত্তশ্লেষ্মাণাং