পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W8to বৈষম্যনিমিত্তং ছঃখম জরাতিসারবিমুচ্যাদিকম্। কামক্রোধশোকমোহলোভবিষাদের্য্যাদিকস্তু মানসম্। অধিভূতেভোভবং আধিভৌতিকম। মহুষ্য পক্ষি সরীস্বপস্থাবরাদিভো ভবং দুখঃমাধিভৌতিকম। শীতোষ্ণবাতবর্ধাদিনিমিত্তং যং দুঃখমুংপদ্যতে তদাধিদৈবিকম্।।” অর্থাৎ আধ্যাত্মিক দুঃখ দ্বিবিধ—শারীরিক ও মানসিক ; বাত পিত্ত শ্লেষ্মার বৈষম্যজনিত জর অতিসার প্রভৃতি রোগ হইতে যে কষ্ট হয় তাহ শারীরিক এবং কামক্রোধাদিজনিত কষ্ট মানসিক । অধিভূত হইতে যে কষ্ট হয় তাহা আধিভৌতিক ; অপর মনুষ্য, পক্ষী, সৰ্প প্রভূতি প্রাণী এবং স্থাবরাদি হুইতে ষে কষ্ট উৎপন্ন হয় তাহা আধিভৌতিক। শীত, গ্রীষ্ম, বর্যাদি নিমিত্ত ষে কষ্ট তাহা আধিদৈবিক ৷” এখানে শরীর ও মনকে অধ্যাত্ম বলা হইল। স্বাবর ও প্রাণিবর্গকে অধিভূত বলা হইল এবং গ্রীষ্ম বর্ষাদি প্রাকৃতিক ব্যাপারকে অধিদৈব বলা হইল। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত আপ্যাত্ম-বিজ্ঞানের নিলেখি দেখিলে (প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৯) অধ্যায়, অধিভূত ও অধিদৈবেব পরম্পর সম্বন্ধ সহজে বুঝা যাইবে । এইবার ৮৩ ও ৮-৪ শ্লোকের কৰ্ম্ম ও অধিযজ্ঞ শব্দের অর্থ নির্ণয়ের চেষ্টা করিব । স্মরণ রাগিতে হুইবে যে, অধিবাদের সমস্ত শব্দই পারিভাষিক । কৰ্শ্ব শব্দের সাধারণ অর্থ গ্রহণ করিলে চলিবে না, এই জন্ত শ্ৰীকৃষ্ণ এখানে কৰ্ম্ম শব্দের নির্বচন দিয়াছেন- ভূতভাবোস্তুবোকরে বিসর্গ: কৰ্ম্মসঙ্গি । ৭২৯ শ্লোকে এই কৰ্ম্মকে অখিল কৰ্ম্ম বলা হইয়াছে অর্থাৎ কৰ্ম্ম শব্দের অর্থ এখানে অত্যন্ত ব্যাপক ; কেবলমাত্ৰ জীবের কৰ্ম্ম এখানে উদ্দিষ্ট হয় নাই। তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে শ্ৰীকৃষ্ণ নানা প্রকার কৰ্ম্মকে যজ্ঞ নামে অভিহিত করিয়াছেন। এখানেও যজ্ঞ ও কৰ্শ্ব একই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। অধিকৰ্ম্মই श्रथिशश्छ । शिनि अशिल कई८क चशिक्लङ कब्रिड्रा चां८छ्न তিনিই অধিযজ্ঞ । জীবের সমস্ত কৰ্ম্মও অধিযজ্ঞের অধীন, এইজন্য শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন এই দেহে আমিই অর্থাৎ পরমাত্মাই অধিযজ্ঞ । ১৮৬১ গ্লোকে আছে "হে অৰ্জুন, মায়াদ্বারা সৰ্ব্বভূতকে যন্ত্রাক্কড়ের স্থায় ভ্ৰমণ করাইতে থাকিয়া ঈশ্বর সৰ্ব্বভূতের হৃদয়ে অবস্থান করেন ।” S99ళీD অর্থাৎ সমস্ত প্রাণী নিজ নিজ অদৃষ্ট বা কান্থবাৰী পরিচালিত হইলেও সেই অদৃষ্ট বা কৰ্ম্ম ঈশ্বরের মায়াশক্তির অন্তর্গত হওয়ায় ঈশ্বরই সমস্ত কর্থের নিম্নস্তা। ঈশ্বরই প্রতি দেহে অধিযজ্ঞ । কৌষীতকি উপনিষদে চতুর্থ অধ্যায়ে বালাকি অজাতশত্রু সংবাদে অধিদৈবত ও অধ্যাত্ম তত্ত্বের আলোচনার পর কর্শ্বের উল্লেখ আছে । অজাতশত্রু বলিতেছেন "মস্যবৈভৎ কৰ্ম্ম স ৰৈ বেদিন্তব্য’ অর্থাৎ এই জগৎ র্যাহার কৰ্ম্ম তাহাকে জানিতে হইবে। এখানে জগৎ অর্থাৎ সমস্ত স্বষ্টিকে কৰ্ম্ম বলা হইল । স্বষ্টি-ব্যাপারে ঈশ্বরের অহংকার কর্তৃপদবাচ্য এবং সমুদয় স্বষ্টি কৰ্ম্ম । শাস্ত্রে অন্তান্ত নানা স্থানেও হষ্টিকে কৰ্ম্ম বলা হইয়াছে। এই কৰ্ম্মই অধিবাদের কৰ্ম্ম । অধিবাদের কৰ্ম্মের নির্বাচনে বলা হইয়াছে ভূতভাবের উস্তুবকর বিসর্গই কৰ্ম্ম । ভূতভাব, উদ্ভব ও বিসর্গ এই তিনটিই পারিভাষিক শব্দ । চন্দ্রশেখর বা ‘হীষ্ট’ গ্রন্থে লিখিতেছেন —“পঞ্চ ভূত, দশ ইন্দ্রিয়, পঞ্চপ্রাণ, বুদ্ধি, মন ও জী {াসু এই সকল যে একেবারেষ্ট স্ব স্ব বর্তমান অব্যবে স্বই হইয়াছিল শাস্থের সেরূপ অভিপ্রায় নহে। ঐ সমুদয় তত্ত্ব প্রথমে অতি সূক্ষ্ম ভাবে উৎপন্ন হুইয়া প্রকৃতির ক্রোড়ে নিদ্রিত ছিল।--ভাগবতে সে সূক্ষ্ম স্বঠকে কেবল ভাবরূপী বলিয়াছেন যথা—এই সকল ভূত ইন্দ্রিয় প্রভৃতি ভাব" পূৰ্ব্বে অমিলিত ছিল, স্বতরাং শরীর নির্মাণে সমর্থ হয় নাই (ভাগবত ২ । ৫ ৩২ )-- পশ্চাৎ উপযুক্ত সময়ে স্বল্পভূতগণ পৰ্কীকৃত ও মিলিত হইল এবং শ্বাত্ম্যমাত্রাসকল (জীবাত্মা ও ইন্দ্রিয়াদি ) উহাদের সহিত সমবেত হইয়া রহিল । মিলিত পঞ্চভূজ ও ইন্দ্রিয়াদিবিশিষ্ট জীবাত্মা এই সকল কালক্রমে একটা অগুরূপে পরিণত হইল। ---মহত্তৰ হইতে অও পৰ্য্যস্ত সমস্তই ঈশ্বরের স্বষ্টি । তাহার নাম ‘সর্গ অথবা אds ( רצו• צ כי eי סין• צוא סisיet ) ו datgre বৈরাজ পুরুষ ব্ৰহ্মা হইতে ষে পৃথিবীপৃষ্ঠে রচনা তাহার নাম "বিসর্গ" অথবা বৈকারিক । ( ভাগবত ২.১-৩ ) স্বটির নিমিত্তে পরমেশ্বরের যে পুরুষভাব প্রথমাবধি অব্যক্ত প্রকৃতির মধ্যে বর্তমান ছিল তাহাই পশ্চাৎ অওেতে প্রবেশ করিল। পরমেশ্বরের সেই ভাবটি