পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন ব্ৰহ্মা বলিয়া প্রসিদ্ধ।” ব্ৰহ্মা প্রথমে উদ্ভিদ ও পরে অন্যান্য জীব সৃষ্টি করিলেন । এই বিবরণ হইতে ভূতভাবের উদ্ভবকর বিসর্গ কাহাকে বলে তাহা স্পষ্ট বুঝা যাইবে। ‘ভূতভাব বা স্বশ্ব অবস্থা হইতে দৃশ্যমান প্রপঞ্চের উদ্ভব’ বা ক্রমবিকাশ রূপ ‘বিসর্গ বা কষ্টই কৰ্ম্ম শব্দের দ্বারা অভিহিত হইয়াছে। জীবের অদৃষ্ট বা কৰ্ম্মও ইহার অন্তর্গত। অধিযজ্ঞ বা পরমাত্মাই এই স্থষ্টিরূপ যজ্ঞের নিয়স্তা এবং তিনিই মঙ্গুষ্যদেহে অবস্থান করিয়া জীবের কৰ্ম্ম নিয়ন্ত্রিত করিতেছেন। ‘এয দেবে বিশ্বকৰ্ম্মা মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট”—এই দেব বিশ্বকৰ্ম্ম ও মহাত্মা ও সৰ্ব্বদা সকলের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট আছেন ( শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৪।১৭ )। ৮৫-৬ “এবং অন্তিমকালে ধিনি আমাকেই স্মরণ করিয়া কলেবর ত্যাগ করেন তিনি আমার ভাব প্রাপ্ত হন অর্থাৎ ব্ৰহ্মভূত হন এ বিষয়ে কোন সংশয় নাই। হে কৌন্তেয়, আরও জানিবে ধে অস্তিমকালে যে-যে ভাব স্মরণ করিয়া জীব দেহ ত্যাগ করে সদ। সেই ভাবে অনুরক্ত থাকায় সেই সেই ভাবই প্রাপ্ত হয়।” মৃত্যুকালীন চিস্তা অনুযায়ী জীবের পরজন্মের গতি হয় এই বিশ্বাস অধিবাদের অস্তগত ; ৮৫ শ্লোকের "চ" বা ‘এবং’ শব্দের দ্বারা পূৰ্ব্ব শ্লোকের অধিবাদের সহিত এই শ্লোকের ধোগ আছে বুঝিতে হুইবে । শ্ৰীকৃষ্ণ অধিবাদের এই মত ঈষৎ পরিবর্তন করিয়াছেন। তিনি বলিতেছেন, মৃত্যুকালীন চিন্তাস্বারা পরজন্মের গতি নিৰ্দ্ধারিত হয় একথা নিঃসন্দেহ, কিন্তু সদা তদ্ভাব ভাবিত’ অর্থাৎ জীবিতকালে সৰ্ব্বদা সেই ভাবে অন্তরক্ত থাকিলে তবে মৃত্যুকালে সেই চিন্তা মনে আসিবে। পরের শ্লোকে কথা স্পষ্ট করিয়া বলিতেছেন। অন্তকালে চ মামেব স্মরযুক্ত কলেবরমূ। যঃ প্রযাতি স মন্তবং যাতি নাস্তাত্র সংশয়ঃ e যং যং বাপি স্মরন ভাবং তাজতন্তে কলেবরমূ। তং তমেবৈতি কৌন্তেয় সদা তদ্ভাবভাবিত ॥ ৬ তন্মাৎ সৰ্ব্বেষু কালেষু মামনুস্মর যুবাচ। মধ্যপিত মনোবুদ্ধিমামেবৈয়স্তসংশয়ম্।। ৭ অভ্যাস যোগযুক্তেন চেতসা নাস্থগামিন। পরমং পুরুষং দিব্যং যাতি পার্থীমুচিন্তয়ন ॥ ৮ কবিংপুরাণমন্বশাসিতারমণেরণীয়াংসমনুস্মরেদব: .. _ _.sశగా +ణ్యాతి-క్లాfగాsఙrణిళ్యాణాశధార్క్షత్రశా? 5. __ গীত V8:S ৮৭ “অতএব সৰ্ব্বকালে আমাকে স্মরণ কর এবং যুদ্ধ কর ; আমাতে মনোবুদ্ধি অৰ্পিত হইলে নিশ্চিত আমাকেই পাইবে ।" সমস্ত সময়ে যাহার চিত্ত ভগবানে অপিত আছে সে নিশ্চিন্ত মনে মৃত্যুর সম্মুখীন হষ্টতে পারে ; এই জন্যই এই শ্লোকে যুদ্ধের কথা আসিয়াছে । ৮৮-১০—“হে পার্থ, অভ্যাসযোগযুক্ত ও অনন্তগামী চিত্তে অর্থাৎ চিত্তস্থৈৰ্য্য সহকারে মনকে অন্য বিষয়ে ধাইতে না দিয়া চিস্ত করিলে সাপক দিব্য পরমপুরুধ অর্থাৎ ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হন । ধিনি তমের অতীত, আদিত্রোর দ্যায় দ্যোতন-স্বভাব, অচিস্তারূপ, সকল জগতের আধার ও নিয়ুস্ত, অণু হইতে সূক্ষ্মতর, চিরন্তন, সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষকে মরণকালে অবিচলিত মনে ভক্তিযুক্ত হইয়া এবং যোগবলের দ্বারা ক্রযুগলের মধ্যে প্রাণকে সম্যক স্থাপিত করিয়া স্মরণ করেন তিনি সেই দিব্য পরমপুরুষকে প্রাপ হন ।” অভ্যাসযোগযুক্ত শব্দের অর্থ অভ্যাস-রূপ যোগের সহিত যিনি যুক্ত হইয়াছেন ; চিত্তস্থৈয্যের জন্য যন্থের নাম অভ্যাস ( পাতঞ্জলস্বত্র ১১২ ) অতএব ধিনি চিণ্ডস্থৈৰ্য্য আয়ুম্ভ করিয়াছেন তিনি অভ্যাসযোগযুক্ত । শ্ৰীকৃষ্ণ প্রথমে বলিলেন অনন্তগামীচিত্তে চিস্ত করিলে পরমপুরুষকে পাওয়া যায় অর্থাৎ সৰ্ব্বদ। পরমব্রহ্মের প্রতি মন নৃিবিষ্ট থাকিলে ব্ৰহ্মলাভ হয় ; পরে বলিলেন, মরণকালে অবিচলিত মনে ধ্যানের দ্বারা ব্ৰহ্মলাভ হয়। শ্ৰীকৃষ্ণের বক্তব্য এই যে জীবিতকালে সৰ্ব্বদা ব্ৰহ্ম স্মরণ করিলে মরণকালেও অবিচলিত ব্ৰহ্মধ্যান সম্ভব হয় । ৮৫, ৬ ও ৭ শ্লোকেও এই ধরণের কথা আছে। ৮ ১-১৪—“বেদবিদগণ ধে অক্ষরের কথা বলেন, বাঁতরাগ অর্থাৎ বাসনাশূন্ত হইয়া ধতিগণ যাহাতে প্রবেশ করেন, যাহাকে পাইবার ইচ্ছায় সাধকগণ ব্রহ্মচধ্য প্রয়াণকালে মনসাeচলেন ভক্ত্য যুক্তো যোগবলেন চৈব । ক্ৰৰোমধ্যে প্রাণমাবেগু সম্যক্ স তং পরং পুরুষমুপৈতি দিবামৃ ১• যদক্ষরং বেদবিদে বদস্তি বিশস্তি যদুযতয়ো বীভরাগাঃ। যদিচ্ছন্তে ব্ৰহ্মচৰ্য্যং চরস্তি তত্তে পদং সংগ্ৰহেণ প্রবক্ষ্যে ॥১১ সৰ্ব্বদ্বারাণি সংযম্য মনে হৃদি নির্ধাচ । মূৰ্দ্ধাধ্যায়ান্ধন প্রাণমান্থিতে যোগধারণাম ॥১২ ওমিত্তোকাক্ষরং ব্ৰহ্ম ব্যাহরন্মামনুস্মরণ । যঃ প্রজাতি ত্যজন্ম দেহং স্যাতি পরমাং গতিম্ ॥১৩ অনন্তচেতা: সততং যে মাং স্মরতি নিত্যশ: | Su He uBBBB BBBSSS00S0S