পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W.G. & অবলম্বন ফ&সুম সেই পদ তোমাকে সংক্ষেপে বলিতেছি । সমস্ত ইন্দ্রিয়দ্বারকে সংযমিত করিয়া অর্থাৎ জ্ঞান ও কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের ক্রিয় নিরস্ত করিয়া মনকে হৃদয়ে নিরুদ্ধ করিয়া, আপনার প্রাণ মুদ্ধায় স্থাপিত করিয়া যোগধারণা অবলম্বনপূৰ্ব্বক ওঁ এই একাক্ষর ব্ৰঞ্চ উচ্চারণ করিতে করিতে আমাকে স্মরণ করিয়া যিনি দেহত্যাগ করিয়া যান তিনি পরমাগতি প্রাপ্ত হন অর্থাৎ ব্ৰহ্মপদ লাভ করেন । হে - র্য, ধিনি অনন্যচিত্ত হইয়। সৰ্ব্বদ। আমাকে প্রত্যহ স্মরণ করেন আমি সেই নিত্যযুক্ত যোগীর পক্ষে অনায়াস-লভ্য ।" শ্ৰীকৃষ্ণ পুনরায় বলিলেন, যে প্রত্যহ আমাকে স্মরণ করে সে-ই মৃত্যুকালে অবিচলিত চিত্তে ওঁকার-রূপ ব্রহ্মের ধ্যান করিতে পারে। পাতঞ্জল যোগশাস্ত্রে “ধারণা’ শব্দটি পারিভাষিক । “দেশবন্ধচিত্তস্য ধারণা” ( পাতঞ্চল স্বত্র ৩১ ) অর্থাং চিত্তকে দেশ-বিশেষে বন্ধন করিয়া রাখার নাম ধারণ। ধোয় মূৰ্ত্তির কোন অঙ্গে বা নিজ শরীরের কোন অংশে দৃষ্টি বা মন নিবদ্ধ করার নাম ধারণ। যথন যোগী স্বীয় মাসিঞ্চাগ্রে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাথিয়া কোন বিষয়ের ধ্যান করেন তখন নাসিকাগ্রেই তাহার যোগের ধারণা ; যখন উপাসক দেবমুষ্টুির চরণে মন নিবদ্ধ করিয়া দেবতার ধ্যান করেন তখন সেই চরণেই তাহার ধোগের ধারণা। গাভায় ৬১৩ শ্লোকে স্বীয় নাশিকাগে, ৮১° শ্লোকে স্ক্রযুগলের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে এবং ৮১২ শ্লোকে মূদ্ধায় যোগধারণার স্থান নিৰ্দ্দিষ্ট হইয়াছে। পাভঞ্চল যোগশাস্ত্রমতে কোন বিশেষ অঙ্গে ধারণা অবলম্বন করিতে হুইবে এমন কোন কথা নাই ৷ সাধক নিজ দীক্ষামত যে-কোন ধারণ। অবলম্বন করিতে পারেন। নাসিকাগ্রে সহজেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যায়, কিন্তু ক্রযুগলের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান বা মূৰ্দ্ধা সাধকের দৃষ্টিগোচর নহে, এজঙ্ক তথায় প্রাণকে স্থাপিত করিয় তাহাতে মনোনিবেশের কথা বলা হইয়াছে। প্রাণস্থাপনা কাহাকে বলে তাহ। বুঝ চাই। শরীরের যাহা কিছু কৰ্ম্ম নিম্পন্ন হয় প্রাণবায়ুর সাহায্যেই তাহ হইয়া থাকে, এজন্য কোন কোন উপনিষদে প্রাণকে ইন্দ্রিয় বলা হইয়াছে ; কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রের মূল উপদেশ এই যে ఏ99తు ক্রিয়া জড়িত আছে। সাংগাপ্রবচনভাষ্যে ২৩১ সুত্রে আছে “সামন্যকরণবৃত্তি: প্রাণাদ্য বায়ুব; পঞ্চ” অর্থাৎ প্রাণ অপান প্রভৃতি পঞ্চবায়ু করণগুলির সাধারণী বৃত্তি। করণ শব্দে মন, বুদ্ধি ও অহংকার রূপ অস্তঃকরণত্রয় ও পঞ্চ কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় বুঝায়। মনই সমস্ত ইন্দ্রিয়গণের নিয়ন্ত ; মন নিশ্চল ন হইলে ইন্দ্রিয়ের প্রণিক্রিয় সংঘমিত হইবে না । মনের স্থান হৃদয়, এজন্য হৃদয়ে মনকে নিরুদ্ধ করিতে উপদেশ দেওয়া হইয়াছে । সৰ্ব্ববিধ শারীরিক চেষ্টাই প্রাণের ক্রিয়া ; শরীর নিশ্চল ন হইলে যোগ সফল হয় লঃ, এজন্ম প্রাণসংযম আবশ্যক। প্রাণক্রিয়া দুই প্রকারে । ই ৫সহকারে কম্মেন্দ্ৰিয়ের দ্বার যে-সকল কৰ্ম্ম করা যায় জাহ। মন নিরুদ্ধ হইলে ঐচ্ছিক ক্রিয়া ৪ নিরুদ্ধ হয় এবং জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলিও নিশ্চল মনই এই সকল ক্রিয়ার অধিপতি । ঐচ্ছিক ক্রিয়া ব্যভী ভ শরীরের আর এক প্রকার ক্রিয়া আছে, যথা–হৃৎপিণ্ডের ( heart ) ক্রিয়, বিভিন্ন স্থানের স্পন্দন, অস্ত্রের নড়াচড়া ইত্যাদি ; এই সকল ক্রিয়া আমাদের ইচ্ছাধীন নহে । অনৈচ্ছিক ক্রিয়ার অত্যধিক বিক্ষেপ থাকিলেও যোগ সিদ্ধ হয় না। পেট কা মন স্থির হয় না । মূৰ্দ্ধাকে ধারণ-স্থান করিয়া প্রাণের ধামে ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক সমস্ত প্রাণক্রিয় সংঘমিভ হয়, এজন্ত মৃদ্ধায় প্রাণকে স্থাপন করিবার উপদেশ দেওয়া হইয়াছে। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত ইন্দ্রিয়াদি সংযমের আলোচন৷ দ্রষ্টব্য । মূৰ্দ্ধায় প্রাণ স্থাপিত করিবার উপদেশের আরও একটি উদ্দেশ্য আছে। এখানে যোগ অবলম্বনপূৰ্ব্বক দেহত্যাগের কথা বলা হইয়াছে। ইহা অধিবাদীদের সাধনার এক অঙ্গ। মুতুকাল আসন্ন জানিয়া সাধক যোগাবলম্বন করেন এবং ব্রহ্মস্মরণ করিতে করিতে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক দেহত্যাগ করেন। এইরূপ ইচ্ছামৃত্যুকে কালবঞ্চনা বলে । চক্ষু, কৰ্ণ, নাসিকা মুখ, নাভি, মলদ্বার, উপস্থ, পদের বৃদ্ধ জুলি এবং ব্রহ্মরন্ধু, এই কয়টি স্থান প্রাণনির্গমনের দ্বার বলিয়া কথিত হইয়াছে। অধচ্ছিদ্র

  1. foot foll (voluntary action ) I

美, 1