পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন খেলাঘর ♥ውዓ বীরেনের চোখে সমস্ত পৃথিবী তখন বরফের মত হিম হইয়া গিয়াছে । মাধবীর আলুলায়িত কেশদাম রাত্রির নিবিড় অন্ধকারকে লজ্জা দিতেছে! কপালে আর সীমন্তে এয়োস্ত্রী বধুর দীর্ঘ করিয়া সিন্মুর লেপিয়া দিয়াছে। কাদিবার নাই। শুভ্র স্বকোমল ছুটি পায়ে অলক্তকরাগ বেশ চওড়া করিয়া টানিয়া দেওয়া হইয়াছে। বিবাহ-রাত্রির সেই লাল শাড়ীখানি বীরেন বাহির করিয়া দিল । দুই বৎসরও পূর্ণ হয় নাই। মাধবী আবার সেই বিবাহের বধৃবেশ পরিয়াছে |- - - - - - শবযাত্রীদের নিৰ্ব্বিকার উচ্চ কোলাহল, বহুদূরে ট্রেনের হস্হস্ শব্দ ভাসিয়া আসিতেছে—বীরেন মূঢ় বহিঃপ্রকৃতির নিম্বরুণ নির্লজ্জতার মধ্যে আচ্ছল্পের মত শ্মশানের দিকে চলিতেছে । রামাই বীরেনের পাশে দাড়াইয়া মৃদ্ধকণ্ঠে কহিল, “পয়ল-টয়লা কিছু আছে নাকি হে ট্যাকে-গণ্ডা-দুই বা'র করো না বাবাজি, সারারাতের রসদ কিছু জোগাড় ক’রে রাখি ।--আহা-হ, কি সব্বনাশটাই না হয়ে গেল, দশখান। গায়ের মধ্যে আমন লক্ষী-প্রিতিমের মতন বউ আর কারু নেই। আর গেল গেল, ভগমানের হাত, এক দিন যেতে ত হবে সকলকেই, তাও গুড়োটুকুনও যদি থাকত ত ই্যা একটা স্থিতি চিহ্ন বলা যেত । বরাং * বীরেন একটা সিকি বাহির করিয়া দিয়া ধরা-গলায় কহিল, ‘তুমি একবার ওদিকটায় দেখ রামাই-দ, কি কি সব নিয়ম-কৰ্ম্ম আছে • - সিকিট যত্বে ট্যাকে গুজিয়া রামাই বলিল, “হ্যা হ্যা, নিশ্চয়ই, সব ঠিক করে নিচ্চি বাবাজি, তুমি মন খারাপ क्रब्रा ना“जडौलकौब्र कांछ निब्रभरुन्छ कि किडू यांन পড়ার জো আছে ? মহাপুণ্যবতী ছিলেন তিনি.ম সতীরাণী । গদগদকণ্ঠে রামাই বোধ করি আকাশের দিকে চোখ তুলিয়া যুক্তকরে সতীরাণীকে বার-বার তাহার প্রণাম জানাইল –এয়ে-স্ত্রী মূর কি কম ভাগ্যির কথা বাৰাজি.. —আমি ঐ বিলটার ধারে রাইলাম রমাই-দা, দরকার হ’লে ডেকে । বীরেন সকলের অলক্ষ্যে ধীরে ধীরে বিলের ধারে গিয়া বসিল । শুক্লাচতুর্দশীর চাদ তখন অজস্র কিরণধারায় সমস্ত প্রাস্তর প্লাবিত করিতেছে। বিবৃ-বির করিয়া ঠাণ্ড বাতাস বহিতেছিল। নক্ষত্ৰখচিত নীলাকাশের দিকে दौ८ब्रन ७रुनृप्डे दरुक्न ठांकाइंग्रा ब्रश्णि । *ाण-महबांब्र বনের ফাকে জ্যোৎস্নার তরল রূপালি অালো চঞ্চল হরিণশিশুর মত কঁাপিতেছে । গাছের পাতায় একটা অতি স্বছ মর্শ্বর ধ্বনি উঠিতেছে। মেঠোফুলের একটি করুণ গন্ধ... আকাশের অগণিত নক্ষত্রমালার চোখে বীরেন একটি অন্তহীন জিজ্ঞাসার অপরিসীম ক্লাস্তি লক্ষ্য করিল। দূরে হঠাৎ কোথায় একটা পেচকের চীৎকার, আর শৃগালের কর্কশ শৰ শোনা গেল । বীরেন একবার চমকিয়া উঠিয়া পকেট হইতে একটা পোড়া চুরুট বাহির করিয়া ধরাইল । –এই ংে বাবাজি তুমি এখানে ? ওঠে, ওঠে, সব তৈরি। দেখবে এস একবার কেমন মানিয়েছে । আরও কি যেন বলিতে যাইতেছিল, বীরেন কহিল, "ভাগবতরত্ব এসেছেন ? --ཟླ রামাই তামাটে মুখখানাকে যথাসাধ্য করুণ করিয়া কহিল, ‘হ্যা বাবাজি, বলি অত বড় বংশের বে), তুটি আমরা কিছুই রাখতে দেব না-বেঁচে থাকলে তুমি আমন কত টাকা রোজগার করবে বাবাজি, কিন্তু ষে গেল তার এই খতম। ‘চন্ত্রনকাঠ দিয়ে এমন সাজিয়ে দিলাম বাবাজি, যেন বৌমা আমার হাসচেন!’ বীরেনের মুখ দিয়া হঠাৎ বাহির হইয়া গেল,—টাক, টাকা কোথায় পেলে রামাই-দা, আমার কাছে ভ— ততক্ষণে তাহারা স্থসজ্জিত চিতার কাছে আসিয়া দাড়াইয়াছে। রামাই শুধু কহিল, ওসব হয়ে যায় বাবাজি, তুমি কিছু ভেবো না—আমরা ত আছি ! সতীলক্ষীর এই শেষ কাজ...’ বীরেন দেখিল, চন্দন-কাঠের বিস্তীর্ণ শয্যায় মাধবীর সেই অনিৰ্ম্ম্যম্বন্দর দেহলত আপাদ-মন্তৰু মুঙ্গে.স্কুলে