পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S99తు সমস্ত গাটা তখন কাটা দিয়ে উঠেছে। একবার মনে হ'ল ছুটি। আবার মনে হ’ল,—ন, ছোট উচিত হবে না। খুব সাহলে ভর করে চলতে চলতে জিজ্ঞাসা করলাম, "কে, রাধা ? রাধা আমার স্ত্রীর নাম । হঠাৎ মনে হ’ল আমার ঘাড়ের ওপর কার যেন নিঃশ্বাসের বাতাস লাগছে । কিন্তু দু-হাতে ছটো পুটুলি, একবার যে হাত বুলিয়ে দেখব, তারও উপায় নেই। ‘রাম ‘রাম বলতে বলতে কেমন ক’রে যে সারা পথটা চলে এলাম, বুঝতেই পারি নি। গায়ে ঢুকতেই বটগাছটার একটা ডাল যেন মড়-মড় করে উঠলো। সে শব্দটার কথা ভাবলে এখনও হৃৎকম্প হয়। তারপর ঘরে এসে যখন ঢুকলাম, বুকের ভেতরটা তখনও আমার চিপ-চিপ করছে । এক-গা ঘেমে নেয়ে উঠেছি। মাকে বললাম, দাও এক গ্লাস জল দাও, আগে খাই। জল খেয়ে ঠাণ্ডা হ’লাম। কিন্তু তার পরদিন থেকে সন্ধ্যে হ’লেই গা ছমছম করতে থাকে। দিবারাত্র মনে হয় কে যেন আমার পিছু পিছু আসছে। তখন নিজেই এক কবচ তৈরি করলাম। সমস্ত দিন ভাগবত পাঠ ক’রে পুরশ্চরণসিদ্ধ সেই কবচটি হাতে ধারণ করতেই ভয় ভাবনা আমার গেল। বুঝলে ? তুমিও তাই করে। ভয়া, একটি কবচ ধারণ করো । মানুষ মলেও তার প্রেতাত্মা যাবে কোথায় ? সে আমনি পিছু পিছু ঘুরে বেড়ায়, সুযোগ পেলেই অনিষ্ট করতে ছাড়ে না। বলিয়া তিনি চুপ করিলেন। ভুবন কহিল,—ঠিক বলেছ খুড়ে, আমরাও তাই বলব বলব ভাবছিলাম। বলিয়া সেও একটা গল্প ফাদিবার চেষ্টা করিল বটে, কিন্তু সেটা ফাসিয়া গেল । শন্থ তাহাকে থামাইয়া দিয়া বলিল, তবে শোনো। আমার একেবারে প্রত্যক্ষ জানা কথা। খালিশপুরের সেই যে আমার শালার ছেলেটি আসে মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি—সেই তারই ব্যাপার। ছোকরাটি কলিয়ারীতে চাকরি করতো। বাড়িতে ছিল শুধু বিধবা ম। আর তার বে। প্রতি শনিবার দিন যেমন বাড়ি আলে, তেমনিই এসেছে। অমাবস্যের রাত। গায়ের লোক সুৰাই সম্বো থেকেই ঘরে ঘরে মোর বদ্ধ করে গুছে। নিকাল খারাপ। ছেলেটি বাড়ি গিয়ে ডাকলে, ম! বে। একটি কেরোসিনের বাতি হাতে করে এসে, বললে—“গায়ে বড় কলের হচ্চে, এ সময় না এলেই পারতে ! ছেলেটি বললে, কই তা ত কিছু জানি না। তোমরা সব বেশ সাবধানে আছি ত ? এমন সময় মা এসে বললেন, তা বেশ করেছিল এসেছিল, চল, ওকে চারটি রান্না করে দিই গে, ও খেয়ে নিক। ব’লে শাশুড়ী বে। দু-জনেই রান্নাঘরে গিয়ে রাল্লা ক'রে ওকে খেতে গকলে । ছেলেটি খেতে বলে বললে, লেবু আছে মা ঘরে ? উঠোনে একটা লেবুর গাছে তখন বিস্তর কাগজি-লেবু ধরেছে। মা বললে,—দাণ্ড ত মা, গাছ থেকে একটা লেবু পেড়ে এনে, বঁটি দিয়ে কেটে। বে কাছেই বসেছিল। মুখে কিছু না ব’লে বে। সেখানে যেতেই উঠোনের দিকে হাত বাড়ালে। গাছটা ছিল অনেক দূরে, কিন্তু অবাক কাও ! বউয়ের হাত দেখতে দেখতে ভীষণ লম্বা হয়ে গেল । বউ সেই হাত দিয়ে একটা লেবু পটু করে না ছিড়ে আবার সেই আগেকার মত ছোট ছোট হাত দিয়ে বঁটি দিয়ে সেটাকে কাটতে বসলো। ছোকরাটি তখন ভয়ে কাঠ। হঠাৎ কিছু না বলেই সে ছুটতে ছুটতে পাড়ায় এক বন্ধুর বাড়ি গিয়ে ছাপাতে লাগলো। –কিরে হাপাচ্চিস যে ? এই এলি বুঝি ? সব শুনেছিল । ছেলেটি হাপাতে হাপাতে শুধু বললে ‘কি ? বন্ধু বললে, “কাল সন্ধ্যের সময় তোর মা গেল কলেরায়, ঘন্ট-দুই বাদে ভোর বউ।’ গল্প শেষ করিয়া শঙ্কু একবার সকলের দিকে চাহিল। ভাগবতরত্বের লন্ঠনের সেই স্বছ আলোকে দেখা গেল সকলেরই মুখ আতঙ্কে শাদা ! বাহিরে বিস্তীর্ণ অন্ধকার। বীরেন এইবার ধীরে ধীরে মুখ তুলিয়া চাহিল। কহিল, : রাত অনেক হ’ল রামাই-দা, এইবার আমি উঠি । রামাই তৎক্ষণাৎ উঠিয়া দাড়াইল ॥—‘হঁ্যা হ্যা, চলে৷ ৰাবাজি, তোমাকে পৌঁছেই দিই। অন্ধকার রাস্তা। আর তা ছাড়া এখন ত তোমার—” সকলেই জোট পাকাইয়া ভাগবতরত্বের সঙ্গী হইল। রাত একটু বেশীই হইয়াছে। এতটা রাজি হুইবে এবং ७हे शब्रट*ब्र ग्रंब्रहे छणिtद डांश चबs ८कइहे चान;