পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سيbوئولW ফল প্রদান করিবে দেখিবার জন্য। বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করিয়া ব্যয় সংক্ষেপ করিবার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের সাহায্য লইয়া দেখিতে হুইবে তুলার ফলন কত বাড়াইতে পারা যায়। এক একটি আদর্শ কৃষিক্ষেত্ৰ পাচ ছয় বিঘা জমি লইয়াই চলিতে পারে । এইরূপ আদর্শ কৃষিক্ষেত্রের ফলাফলের উপরেই বাংলায়ু কাপাসের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে । কারণ কোন স্থানে কোন জাতীয় তুলা ভাল হইবে, কি সার প্রদান করিতে হইবে, আধুনিক কোন যন্ত্র ব্যবহার করিতে হুইবে, কার্পাসের সহিত অন্ত ফসল চাষ চলিবে কি-না, জলসেচন দরকার কি-না, ইত্যাদি কাপাস সম্বন্ধীয় যাবতীয় তথ্য সাধারণ লোক জানে না। আদর্শ কৰ্ম্মীরা হাতে-কলমে যে তথ্য আবিষ্কার করিবেন তাহাই সাধারণ লোকের ভরসা-স্বরূপ হইবে । বঙ্গীয় কাপাস সমিতি যদি অনেকগুলি জেলায় এইরূপ আদর্শ কাপাস কৃষিক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত করিতে না পারেন, তাহা হইলে অন্ততঃ উত্তর-বঙ্গে, পশ্চিম-বঙ্গে, পূৰ্ব্ববঙ্গে ও মধ্যবঙ্গে, উপযুক্ত জমি লইয়া চারিটি কৃষিক্ষেত্র স্থাপন করিয়া কাৰ্য্য করিতে পারেন। পরীক্ষার দ্বারা র্তাহারা স্থির করিবেন স্থানীয় কাপাস বা বাহিরের শ্রেষ্ঠ জাতীয় কাপাস, কোনটা সেই স্থানের উপযোগী, এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষের দ্বারা ইহার উন্নতি হইতে পারে কি-না। কাপাস চাষ সম্বন্ধে একটা স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে কিছু সময় লাগিবে। ততদিন তাহারা স্থানীয় কাপাস ও বাহিরের শ্রেষ্ঠজাতীয় কাপাসের বীজ ও তাহার চাষপদ্ধতি সাধারণে প্রচার করিয়া তুলার চাষের দিকে লোকের অনুরাগ বাড়াইতে থাকিবেন । পরে কাপাস চাষ সম্বন্ধে ঐরুপ পরীক্ষার দ্বারা স্থিরীকৃত চাষ-পদ্ধতি প্রচার করিলেই চলিবে । এই প্রচারের প্রথম উপায় হইতেছে শিক্ষানবিশী যুবকদের দ্বারা, বেকার যুবকদের লইয়া গ্রামের মধ্যে সমবায়-কাপাস-কৃষিক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত কর । যখন চাষীরা এ চাষ স্ববিধাজনক বলিয়া বুঝিবে তখনই তাহার এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করিবে । সঙ্গে সঙ্গে যদি তাহার সমবায় কৃষিক্ষেত্র বা আদর্শ কাপাস কৃষিক্ষেত্র হইতে সাহায্য ও উপদেশ পায় তাহা হইলে খুব শীঘ্রই কাপাস চাষে দেশ {{ প্ৰবামনী ; YS99āు ছাইয়া যাইবে । বেকার ইহাতে একটা মীমাংসা যুবকদের অন্নসমস্তারও হয় এবং দেশের সাধারণ চাষীরাও সংঘবদ্ধভাবে কৃষিকাৰ্য্য করিতে শিখিতে পারে । সমবায় সমিতির ভিতর দিয়া কাজ ন! করিলে এ-দেশে কৃষির উন্নতি হওয়া একেবারে অসম্ভব, কাজেই তাহাদের সম্মুখে এইরূপ আদর্শ সমবায়ু কৃষিক্ষেত্র স্থাপন ছাড়া তাহাদিগকে শিখাইবান্ধ আর অন্ত পন্থা কি আছে। যাহা হউক বঙ্গীয় কাপাস সমিতি ও সমবায় সমিতিগুলি উচিত মূল্যে সাধারণ চাষীদিগের নিকট বীজমৃদ্ধ তুলা ক্রয় করিবেন।.পরে ভাল যন্ত্রের দ্বারা ভুল হইতে বীজ ছাড়াইয়া, গাটবন্দী করিয়া মিলগুলিকে সরবরাহ করিবেন। এই তুলার বীজ হইতে তৈল প্রস্তুত করিয়া তাহার একটা নূতন ব্যবসায়ের পথ খুলিতে পারেন। যতদিন না সমস্ত চাষী সমবায় পদ্ধতিতে চাষ করিতে শিখিবে, সাধারণ চাষী ও মিলওয়ালাদের মধ্যে একজন মধ্যবৰ্ত্তীর দরকার হইবে, কারণ তুলা হইতে বীজ ছাড়াইবার, গাটবন্দী করিবার ও বীজ হইতে তৈল প্রস্তুত করিবার যন্থ প্রত্যেক চাষীর থাকা অসম্ভব। এক্ষেত্রে বেকার যুবকের ঐ ভূল ক্রয় করিয়া তাহার বীজ হইতে তৈল প্রস্তুত করিয়াও নিজেদের অল্পসমস্তার মীমাংসা করিতে পারেন। অবস্ত যদি গ্রামের মধ্যে এরূপ প্রতিষ্ঠান না গড়িয় উঠে তাহা হইলে বঙ্গীয় কাপাস সমিতি তুলাক্রয়-কেন্দ্র স্থাপন করিয়া চাষী ও মিলের মধ্যে মধ্যবৰ্ত্তী স্বরূপ হইবে। মোট কথা, চাষীরা যদি তুলা বিক্রয় করিবার স্থবিধা না পায় তাহা হইলে কাপাস-চাষ দেশ হইতে লোপ পাইবে । বঙ্গীয় কাপাস সমিতিকে এই দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হইবে, দেখিতে হুইবে কাহারও তুলা যেন অবিক্রীত অবস্থায় পড়িয়া না থাকে । এক্ষণে দেখা যাউক বাংলার সৰ্ব্বস্বদ্ধ পতিত জমির পরিমাণ কত ? ১৯৩০-৩১ সালের হিসাবে দেখা যায় বাংলায় পতিত জমির মোট পরিমাণ ১,৫৯,৮৬,৫২২ একর। তন্মধ্যে কর্ষণযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ৫১,১৩,২৩৮ একর । এই কর্ষণযোগ্য পতিত জমি নেহাৎ কম নহে। এক্ষণে আমরা যদি মোট কর্ষণযোগ্য