পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতৃঋণ শ্রীসীতা দেব। ૨૭ বেীকে লইয়া যামিনী আর তরু প্রবেশ করিবামাত্র সমাগত অতিথিদের মধ্যে একটা সাড়া পড়িয়া গেল। সকলেই প্রায় উঠিয়া দাড়াইল, যুবকের দল বেশ খানিকট অগ্রসর হইয়া আসিল । যামিনী নীচুগলায় বলিল, “ভারি বিচ্ছিরি লাগে, একরাশ মাছুষের মধ্যে বোকার মত দাড়িয়ে থাকতে ।” তরু বলিল, “দাড়াবার দরকারটা কি ? ঐ ত মাঝে বে। আর বরকে বলাবার জন্তে চেয়ার রয়েছে, চল না ওখানে বেীকে নিয়ে বলাই। অমূল্য বাৰু গেলেন কোথায় ? একটু এসে টোপর মাথায় দিয়ে বহন ।” দুজনে বেীকে লইয়া গিয়া বসাইল । অমূল্যের বন্ধুবান্ধবের দল তাহার নাম ধরিয়া মহা চেঁচামেচি জুড়িয়া দিল । খানিকপরে তাহাকে পাওয়া গেল । তবে বাড়ীতে লোক কম, বরকেও বোধ হয় কোনো কাজে ভিড়াইয়া দেওয়া হইয়াছিল, তাহার বেশ ভূষার অবস্থা মোটেই বরোচিত নয় । সকলে এ বিষয়ে এত মন্তব্য স্বরু করিল ধে হঠাৎ স্বধ ছুটিয়া আসিয়া দেবরকে হিড়হিড় করিয়া বাড়ির ভিতরে টানিয়া লইয়া গেল। যাইবার সময় মুখ ফিরাইয়া বলিয়া গেল, “দাড়াও এখনি বর সাজিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” একজন যুবক তরু এবং যামিনীকে বসিবার জন্ম দুখান চেয়ার অগ্রসর করিয়া দিল । বউ দেখিবার জন্ত চারিদিক হইতে লোক ভিড় করিয়া ঠেলিয়া আলিতে লাগিল, উপহারও দুচারটা বৌয়ের হাতে পড়িল, সে আবার তাড়াতড়ি সেগুলি সঙ্গিনীদের হাতে গছাইয় দিতে লাগিল। তরু ফি ফিস্ করিয়া বলিল, “গিনিबोझैौ cकफे ७कबन गएक ७८णइँ ज्राण इज्र । यङ्ग झु চারটে হারিয়ে গেলেই গেছি আর কি ? বলবে শেষে বে আমি নিজেই মেরে দিয়েছি।” যামিনী বলিল, “যা, তাই নাকি আবার কেউ বলে!” উরু বলিল, “না, তা কি আর বলে ? সেদিন নাতাদিদের বাড়া য। গল্প শুনলাম ভদ্রসমাজে চুরির তা তোকে কি বলব। এই সব বিয়ে বৌভাতেই ত চুরি বেশ হয়। প্রেজেন্ট দেখার নাম করে সব বেটিয়ে ঘরে ঢোকে, তার পর কাপড়-চোপড়, শাল আলোয়ানের তলায় দুচারটে ছোটখাট জিনিষ কি যায় না ভাবিস ভদ্রলোক যদি নাও করে, ভদ্রবেশধারী চোর ঢুকতে কতক্ষণ ? সব অতিথিদের ও আর পাসপোর্ট দেখে ঢেfকান হয় না ?” এমন সময় বর সাজিয়া গুজিয়া আসিয়া বৌয়ের পাশে বসিল। বরের যুবক বন্ধুরা এতক্ষণ যদি বা ७क गगशtभ मूत्र माछाहेब क्ष्णि, ७शन श्रखाडौश भाश्व দেখিয়া সকলে ছড়মুড় করিয়া সামনে আসিয়া পড়িল7 বয়োজ্যেষ্ঠদের কান বাচাইয়া রসিকতা করাও স্বরু হইয়া গেল। কে একজন প্রকাণ্ড দুই তোড়া ফুল আনিয়া বয়কনের সামনে দাড়াইল । বাছ বাছা স্বন্দর বহুমূল্য জিনিষ । স্বগদ্ধে স্থানটি যেন আমোদিত হইয়া উঠিল। কনের হাতে একটি তোড়া দিয়া আর একটি বরের হাতে দিতে যাইবা মাত্র সে বলিয়া উঠিল, “আমার কেঠে। হাতে দিয়ে আমন স্বন্দর ফুলের অপমান করে না, ধার হাতে মানাবে তাকেই দাও" বলিয়া সে দুষ্টামি করিয়া যামিনীকে দেখাইয়া দিল । অমূল্যের সঙ্গে ঘামিনীর বাল্যকাল হইতে পরিচয় আছে, তবু এ হেন রসিকতা সে বিশেষ পছন্দ করিল না। লোকের চোখে পড়িতে এখন তাহার বড় ভয়। আহত পশুর মত মাথা লুকাইয়া থাকিতে পাইলেই সে যে