পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাংচন बांकृषणं \yፃ® দেখে । দেখে শুধু টাকা। তা না হলে সত্যিই মেয়ে আমার কিছু দেখতে মন্দ নয়।” যথাসাধ্য স্বশিক্ষাও দিয়েছি।” স্বধা কণ্ঠস্বর নামাইয়া বলিল, “যা বলেছ। এই দেখ না আমার গুণধর দেওর কেমন বিয়ে করে আনলেন, কাউকে জিগগেষ শুদ্ধ করলেন না। কি, না বউয়ের বাপের বাড়িখানিক টাকা আছে, তবু যদি হাড়কিপ্পন না হত। বিয়েতে মেয়েকে জিনিষ পত্তর ষা দিয়েছে, দেখলে লোকে হাসবে।” জ্ঞানদা বলিলেন, “সে যা হবার তা হয়ে গেছে, তা নিয়ে কথা বলে লাভ কি ? তোমাকে কিন্তু ভাই আমার জন্তে একটি কাজ করতে হবে । নিজের ছোট বোনের মত মনে করি তাই বলছি। মৃধা বলিল, “পারলে নিশ্চয়ই করব, তার জন্তে আবার অত করে বলতে হবে কেন তোমাকে ?” জ্ঞানদা বলিলেন, “ঐ স্কুরেশ্বর ছেলেটি বেশ । ওর সঙ্গে একবার চেষ্টা করে দেখতে চাই। কি করে আলাপ করা যায় বলতে পার ? ছোট ছেলেটার সঙ্গে অবিপ্তি খোকার খুব আলাপ আছে, কিন্তু তাকে দিয়ে কি আর সুবিধা হবে ?” স্বধা পরম বিজ্ঞের মত মুখ করিয়া বলিল, “না, ন, ৪ সব ছেলে ছোকরার কাজ নয় । তার চেয়ে এক কাজ করা যাক। সামনের রবিবারে যারা যার বৌভাতে থেটেছে, তাদের খাওয়ান হবে । তোমাদের ত ডাকতামই, স্বরেশ্বরদের দুই ভাইকেও না হয় বল৷ যাবে। সেদিন লোকজন কমই থাকবে, দিনের বেলা খাওয়া, আলাপ পরিচয়ের বেশ স্থবিধে হবে। তারপর একদিন বাড়িত ডেকে এখন ।” জ্ঞানদা বলিলেন, “সেই ভাল। হুটু করে আগেই নিজের বাড়িতে ডাকলে, এখনি দশ কথা উঠবে। সেটা আমি চাইনা। ওতে মেয়ের মন বিগড়ে যেতে পারে, ছেলেটাও* আদিখ্যেতা ভাববে। মেয়ের মা বাপকে নীচু একটু ত হতে হয়ই, তবু যতটা কমের উপর দিয়ে যায়, ততই ভাল।” স্বধা বলিল, “আদিখ্যেতা আবার কিসের ? তাই বলে মানুষ মেয়ের বিয়ের চেষ্টা করবে না ? এই আমাদের বুড়ীকে দেথ না ? ধেড়ে হয়ে গেল, এখন অবধি বিয়ের নাম নেই। কেউ এসে পায়ে ধরে না সাধলে তিনি বিয়ে করবেন না । সংসারটাকে উপকথা মনে করেছে এরা ”

রবিবারে নিমন্ত্রণে যাওয়া লইয়াও স্বামীর সঙ্গে জ্ঞানদার একপাল খিটমিটি বাধিয়া গেল। নৃপেজবাৰু বলিলেন, “মেয়েকে মানুষ করেছে একেবারে মেমসাহেবী আদর্শে, এখন বিয়ে দিতে চাও পাড়াগায়ের জমিদারের বাড়ি, এটা কি রকম হবে ? মেয়ে তাদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবে ?” জ্ঞানদা বলিলেন, “সব কিছুতে গোড়াতেই কুড়াক छांक ८७iभांब्र निग्नभ श्tभ्र मैंiक्लिभtछ् ।। ८कtथlग्न वि८ग्न " তার ঠিক নেই, আগেই মেয়ে গোবর লেপতে, ধান ভান্‌তে পারবে কিনা, তার ভাবনা পড়ে গেল।” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “বিয়ে হোক এই আশা করেই যখন তুমি আলাপ পরিচয় করতে এগোচ্চ, তখন এগুলো ভাৰতে হবে না ? নিজের অহঙ্কার যতই কেন না তোমার পরিতৃপ্ত হোক, মেয়ের স্বগ কিসে. হবে সেইটাই আসলে ভেবে দেখবার জিনিষ ।” জ্ঞানদ রীতিমত ঝাঝিয়া উঠিলেন, “আমি কথাট তুলেছি বলেই এখন এত সব আপত্তি বেরচ্ছে না হলে কেউ টু শব্দও করত না। এর বেল পাড়াগেয়ে বলে মহা চিন্তু, আর সেই কেলে চিম্‌ড়ে হাধরে মাষ্টার ছোড়ার বেলা এ সব ভাবনা কোথায় ছিল । সে বুঝি বিলেতের লর্ড, আর টাকায় বুঝি তার বাণ ডাকছিল ?” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “তার কথা আলাদা। মানুষ ভালবাসার খাতিরে সঙ্ক না করতে পারে এমন কি আছে জগতে ? তা ছাড়া, সে বিলেত গিয়ে শিক্ষিত হয়েও আসতে পারত।" জ্ঞানদা বলিলেন, “সে বিলেত যেতে পারত আর এ পারে না ! তোমার সব গা-জুরী কথা।”