পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাত্তন ত, হাত পা না ভাঙলে তোমার যদি ভাল না লাগে, তাই ভাঙতে ষেও এখন ৷” নৃপেন্দ্রবাৰু নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করিলেন না অবগু, किढ़ कशन शाहेब, कथन ८ष थशन कब्रिएलन, उोश জ্ঞানদাও জানিতে পারিলেন না। স্বধা বলিল, “ভাল भाग्लश शा cशांक ८ङांभांब्र कéी छांननांनि । बtज यांब्र বিয়ে তার খোজ নেই, পাড়াপড়গীর ঘুম নেই, এ হয়েছে তাই । তবু ধরে ভত্রে স্বরেশ্বরের সঙ্গে উনি পরিচয়টা করে দিয়েছেন। না হলে তুমি ডাকতেই বা কি করে ? জ্ঞানদা বলিলেন, “র্বাচিয়েছ ভাই। সত্যি এমন মানুষ নিয়ে, আমার সকল দিক দিয়ে হাত পা বাধা । সাহায্য ত কিছু হবেই না, কি করে কাজ মাটি করবেন এই ভাবনা ভাবতেই আছেন।" . স্বধা বলিল, “কাকে আর বলছ বাপু, ওসব আমার ঢের দেখা আছে । বাবারই জাতভাই আর কি ? দেথছ না আমাদের বুড়ীর দশা । যেমন বাবা, মা-ও ত তেমনই ? নিতান্ত আমি একেবারে লক্ষ্মীছাড়া স্বভাবের তাই ও বাড়ির বেড়া ভেঙে বেরিয়েছি। বুড়ী এখনও আকাশের তারা গুনছে।” জ্ঞানদা বলিলেন, “সত্যি বাপু, বাপ মায়ের মেয়ের বিয়ের ভাবনা নেই, এ এক এদেরই দেখেছি । মেয়ে যেন ঘরে পুষে রাখতে পারলে বত্তে যায় সব ।” এমন সময় অমূল্যের সঙ্গে স্বরেশ্বর আসিয়া বসিবার ঘরে প্রবেশ করিল। অমূল্য বলিল, “স্বরেশ্বরকে আমি রাজধানীর সব স্রষ্টব্য জিনিষ দেখাবার ভার নিয়েছি বৌদি, অতএব বুঝতেই পারছ।” স্বধা বলিল, “বুঝতে ত পারছি। দাড়াও ফ্রষ্টব্যটিকে খুঁজে আনি, বলিয়া সে বাহির হইয়া গেল । অমূল্য জ্ঞানদার সঙ্গে স্বরেশ্বরের আলাপ করাইয় দিল । তিনি শিশিরের সঙ্গে মিহিরের যে কি প্রকার গলায় গলায় ভাব, সৈই বিষয়ে গল্প জুড়িয়া দিলেন, স্বরেশ্বরের পরিবার পরিজনের খোজ-খবরও ঐ স্থত্রে অনেকখানি জানিয়া লইলেন। স্বধা যামিনীকে দোতলা হইতে খুজিয়া লইয়া आकृक्षण ԾՊԳ আসিল । অনাত্মীয় যুবকের সহিত আলাপ করার অভ্যাস যামিনীর বিশেষ নাই। তাহ ছাড়া এ ক্ষেত্রে মায়ের যে কি মতলব তাহা সে খানিকটা জানিতই । ঘরে ঢুকিতে না চুকিতেই তাহার স্বন্দর কোমল মুখখানি গোলাপ ফুলের মত লাল হইয়া উঠিল । অমূল্য পরিচয় করাইয়া দিল, “ইনি কুমারী যামিনী সরকার, আমাদের সমাজের উজ্জ্বলতম রত্ন, আর ইনি সুরেশ্বর রায়, আমাদের হতভাগা জাতের একজন ।” যামিনী নমস্কার করিয়া মায়ের পাশে বসিয়া পড়িল । জ্ঞানদা রসিকতা যে খুব পছন্দ করিতেন তাহা নয়, তবে আজ তিনি সব কিছুই পছন্দ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া আসিয়াছিলেন। বলিলেন, “অমূল্যব কথা শুনলে মানষের হয়ে আসে । এতও হাসাতে পারে । এবার কষ্ট্রা মাতুস হলে বাছ, একটু ভারিঙ্কি হতে শেপ।” স্বধা বলিল, “সে আর গুর দ্বারা এ জন্মে হবে না। ছোটবেী ত ওর রকম সকম দেখে হা হয়ে গেছে । ও-বাড়িতে বোধহয় খুব ভাণ করে গম্ভীর হয়ে থাকত, এখন নিজ মূৰ্ত্তি ধরেছে।” অমূল্য বলিল, “গম্ভীর হলেও বিপদ, হাস্লেও বিপদ । কোনদিকে যে যাই । আচ্ছ। যামিনী, তোমার কি রকম মাতুল পছন্দ । পেচার মত গষ্ঠীর ?” Ds যামিনী হাসিয়া ফেলিল, বলিল, “না।” স্বধ বলিল, “না না, যামিনী খুব হাসিখুশি পছন্দ করে । ছোটবেলা মনে নেই জ্ঞানদা পি ? কারো মুখ ভার দেখলেই কান্না জুড়ে দিত। আমার একটা নসারী রাইমৃদ্ধ ছিল, তার মলাটের উপর একটা বুড়োর ছবি, সে হেসেই খুন হচ্ছে । সে বইখানা এক বার যামিনীর হাতে ধরিয়ে দিলেই হত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপ করে বসে থাকবে। জ্ঞানদা বলিলেন “ওমা, সে কথা স্বধার এখন মনে আছে ? সত্যি ছবিটা খুকী বড় ভাল বাস্ত। বড় হয়ে যখন পেটিং শিখল মেমের কাছে, তখন ঐ বুড়োর ছবিখানা মন থেকে একেছিল । বেশ হয়েছিল সেট”। স্বরেশ্বর যামিনীকে জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি পেটিং খুব করেন বুঝি ?”