পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনন্তন ৰোধনার ব্যথা ও বোগমার কথা و چون \ স্বপ্ত চেতন অন্ধ করেছে কমল নয়ন তোর, বিশ্বভরা ছড়ান মাধুরী তোর কাছে সব খোর ! জগতের মাঝে রবি চিরশিশু, বার্থ জনম তাই, নিষ্ঠুর জগৎ জঞ্জাল ভেবে করে শুধু দুর, ছাই । বিশ্বের নিতি নব উৎসবে তুই শুধু গ্রহ, পাপ, পথের কাঙ্গাল,—তোর মাখি লোরে কারো নাই পরিতাপ । 豪 豪 臺 এ জগতে কি গো-দেবতার বাণী, মরমের ব্যথা, মায়া ? জাগে না, বাজে না কারো প্ৰাণে কহু, কন্তু কি হয় না দয়া ? তোঁমারি অপর শিশুদের মত জনম দিয়েছ তারে, জঞ্জাল ভেবে এবে পায়ে ঠেলে কেন দাও দূর করে ? বিশ্বের মাঝে নর নারায়ণ, নরের সেবাই পূজা,— প্রেমের প্রদীপে, বোধনার পীঠে আরতির ডালি সাজা । ঐ যে অসহায়, চির-অনাদৃত, লাঞ্ছিত শিশু, ঐ শিশুর ব্যথা বুঝেছ কি ? জননী-জঠর হতে ভূমিষ্ঠ হয়ে তোমারি মত সেও একদিন জীবনের ক্ষুদ্র মাহেক্সক্ষণে তার সংসারের প্রত্যেক প্রাণীরই নয়নানন্দ হয়ে হাসির রোল উঠিয়েছিল, তোমারই মত মাত, পিতা, ভ্রাত, ভগিনী প্রভৃতি আত্মীয়স্বজনের পরম স্নেহে ও স্বত্বে লালিত-পালিত হয়েছিল। তারপর ? তারপর, তোমাদের জগতের সাধারণ হিসাবে তোমাদের তালে তালে তার বুদ্ধিবৃত্তি পরিস্ফুট হ’ল না। জগতের প্রত্যেক জীবই বুৰে নিলে যে জগতের কোনও কাজে সে লাগবে না, আর তারপর জগৎও এইটে বুঝিয়ে দিলে যে, জগৎও তার কোনও কাজে লাগবে না । তুমি ত "মানুষ" এই আখ্যা নিয়ে ধরার বুকে বেশ ম্পদ্ধ করে নিজের অর্থ ও সামথ্যের গৌরবে ঘুরে বেড়াচ্ছ । একটি বীর ভেবে দেখ, এ-বিষয়ে তোমার জগৎ ও এই শিশু—এদের মধ্যে অপরাধ করি ? শিশু ত জন্মগ্রহণ করছে, এ জন্মের তার কোনও কুম্ভকৰ্ম্মের ফলে অবশ্য নয় । তার এই যে জড়বুদ্ধির অবস্থা, এর জন্য দায়ী সে কিসে? অথচ তার এই অবস্থার জন্য সে আজীবন শাস্তি ও লাঞ্ছনা ভোগ করবে তোমাদেরই হাতে। আর তোমরা,--বুদ্ধিমান, বিবেচক, জগতের সর্থরকম বাঞ্ছিত ৪ কাম্য আদায়ে সক্ষম হয়ে, তোমরা তাকে অপদার্থ, হতভাগা বলে পায়ে ঠেলে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ । সাধারণ জগৎ অতীতে চিরকালই এই রকম স্বাধপর ও নিষ্ঠুর হয়ে চলে এসেছে। অতি পুরাকাল হতেই তার এই ধারা চলে আসছে—যে শক্তিমান তারই জয়, সেই জগতে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ও তার জগুষ্ট জগৎ, আর যে দুৰ্ব্বল সে হেয়, ঘৃণ্য এবং মৃত্যুই তার পক্ষে বাঞ্ছনীয় ও একমাত্র ব্যবস্থেয় । কিন্তু আজকালের জগতে ত মে-ধারার বদল হয়েছে। শক্তির সঙ্গে এখন দুৰ্ব্বলতাও তার একটা স্থান অধিকার করেছে মামুষের প্রাণের মধ্যে। এখন জগতের কত বড় বড় পণ্ডিত ও চিকিৎসক নিজের স্বাথে সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে কেবলমাত্র জীবের দুঃখ মোচনের উপায় বা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার অন্বেষণে সারা জীবনটাই অতিবাহিত করছেন, কত ধনী তাদের সমস্ত অর্থ জগডের হিতকারী এরূপ কার্ধোর জন্য দান করে নিজেদের ধন্ত মনে করছেন। এখন ত জগতের সর্বত্রই যক্ষ্ম, কুষ্ঠ, মৃগী প্রভৃতি রোগাক্রান্ত এবং পঙ্গু ও জড়বুদ্ধি ব্যক্তিদের অন্ত হাসপাতাল বা তদ্রুপ প্রতিষ্ঠান হয়েছে ও ঐ সব ব্যক্তিদের চিকিৎসা, সেবা বা শিক্ষার জন্য কত প্রভূত অর্থ ব্যয় হচ্ছে । এ সব প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিই হচ্ছে প্রাণ ও ( || আমাদের ভারতবর্ষে পুরাকালে “নর-নারায়ণ” তবের