পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عيbمواوQ S99āD পর্দা করি, কিন্তু তখন কুলবালার পর্দা করতেন মেয়েদের সঙ্গেওঁ । বেগম রোকেয়া বলেছেন, তাদের পরিবারের অবিবাহিতা মেয়েরা অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়া এবং বাড়ির চাকরাণ ছাড়া অন্ত কোন মেয়েমানুষের সামনে বেরুতেন না। তাদের শুধু দেহই পৰ্দানীন ছিল না—পাছে পরপুরুষের চোখে পড়ে তাদের হাতের লেখার বেপর্দা হয়, এই ভয়ে লেখাপড়া শেখাই তাদের পক্ষে ছিল একেবারে নিষিদ্ধ। সেই আঁধার যুগে র্তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বুকে জলেছিল জ্ঞানের আলো— আর সেই আলো সঞ্চারিত হয়েছিল পয়তাল্লিশ বছর আগেকার সেই অবরোধক্রদ্ধা বন্দিনী বালিকাটির ক্ষুদ্র হৃদয়ে । তিনি বলেছেন—আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা একদিন একখানি বড় ছবিওয়ালা ইংরেজী বই আমার সামনে খুলে ধরে বললেন—“বোন, এই ইংরেজী ভাষাটা যদি শিখতে পারিস, তবে পৃথিবীর এক রত্নভাণ্ডারের দ্বার তোর কাছে খুলে যাবে।" ভাই নিজেও কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ উপাধিধারী ছিলেন না ; কিন্তু তিনি ক্ষুদ্র বোনটিকে সেদিন যে নতুন পথের সন্ধান দিলেন, ষে নতুন আশার বাণী শোনালেন—সে যুগে সত্যিই তা এক বিচিত্র বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। এমনি করে সেই পরম স্নেহময় জ্যেষ্ঠভ্রাতার কাছে তার প্রথম শিক্ষারম্ভ হয়। গভীর রাত্রে পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যেত—আর সেই সঙ্গে জলে উঠত ছটি কিশোরকিশোরীর শয়নকক্ষে স্তিমিত দীপশিখা । চোখ মুছে সেই নীরব নিশীথে ভূ-ভাইবোনে বসতেন পড়াশোনা निtग्न । छांन मान कछtउन ठाँ३-चांद्र बालिक छग्नौ সেই জ্ঞানস্বধা আকণ্ঠ পান করতেন । ठाब्रञ८ब्र छौवन-cबौबटनद्र यांगलौ प्लेबांग्र चाल, স্থখ, ঐশ্বর্ষ্যের প্রতি পরিবেষ্টনের মধ্যে তিনি যখন স্বামীকে হারালেন, তখন থেকে স্বরু হ’ল তার কঠোর ত্যাগ-সাধন-সেই দিন থেকে স্বরু করলেন তিনি জজ্ঞানতার বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম, স্বামীর দেওয়া শেষ गचण श* हाबांब्र छैोक निरग्न डिनि बथन घरब्रब्र बा'ब्र झटणन डशन डिनि खांनाउन ना छूण कि बिनिषकांहक वरण कूण । डिनि बटणाझ्न-“eथषय षषन शैiठाः মেয়ে নিয়ে স্কুল আরম্ভ করি তখন ভারী আশ্চৰ্য্য c5टकश्णि ७हे रूषो, c६ ७क्हे त्रिकझैिौ ८कश्वन क'एब्र একসঙ্গে একই সময়ে পাচটি মেয়েকে পড়াতে পারেন।” এমনি অনভিজ্ঞতা নিয়ে কাজে নেমেছিলেন পচিশ বছর। আগেকার সেই কিশোরীবিধবা-বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন। তারপরে তার পচিশ বছরের কর্মজীবনের কাহিনী—লে একটা বিরাট ব্যখার কাহিনী, একটা বিপুল সংগ্রামের ইতিহাস। পচিশ বছর আগে—পচিশ বছর আগেই বা বলি কেন—এখনও অনেক সম্রাস্ত মুসলমান আছেন ধারা স্কুলে মেয়ে পাঠানোকে একটা মস্ত বড় পাপের কাজ বলে মনে করেন। ধিনি মেয়েকে লেখাপড়া শিখতে দিয়েছেন তিনি মনে করেছেন ‘আমি বেগম রোকেয়াকে ধন্ত করলাম।” আর যিনি স্কুলের ছুতানাত ধ’রে, পান থেকে চুণ খসবার অপরাধে মেয়ের পড়াশোনা বদ্ধ করে দিয়েছেন তিনি মনে করেছেন—“বিরাট শাস্তি দিলাম বেগম রোকেয়াকে । স্কুলে মেয়েদের ব্যায়ামচৰ্চা করবার, গানবাজনা শিখবার বন্দোবস্ত করলেন—পরদিন থেকে স্বরু হ’ল উর্দু কাগজসমূহে তার শ্ৰাদ্ধ, তার স্কুলের শ্ৰাদ্ধ, তার সাতপুরুষের শ্রাদ্ধ। প্রথম মোটর বাস তৈরি *qttwIA-cA v'w *moving Blackhole.* άττι দিন ৰালের ভিতর অন্ধকারে মেয়েদের ভয়ে মূৰ্ছা হ’ল— গরমে হল ফিট। স্বরু হল অসংখ্য বেনামী উদ্বু চিঠি। লেখাপড়া শেখাবার নামে মেয়েদের তিনি মেরে ফেলতে চান নাকি ? তার পরে বাসের ছুপাশের খড়খড়ি ফেলে দিয়ে রঙীন কাপড়ের পর্দা ঝুলিয়ে দেওয়া হ’ল ; এবারে অভিযোগ আসতে লাগল—পর্দা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে মেয়েদের বেপর্দা করে। বড় দুঃখে তিনি “জবরোধ বাসিনী'তে বলেছেন—এ ত ভারী বিপদ। না ধরিলে রাজা ৰখে, ধরিলে ভূজঙ্গ ।" রাজার আদেশে একদিন নয়, ছদিন নয়—পচিশ-পচিশ বৎসর কেউ বোধ করি এমন করে জীবন্ত সাপ ধ’রতে পারেনি। সমাজের এ-সৰ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে দীর্ঘ পঁচিশ বৎসর তিনি জাঘাতের পর আঘাত পেয়েছেন,—জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত তিল তিল করে নিজের প্রতি রক্তবিন্দু বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি জন্মে