পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন ছিলেন যে অধ্যবসায়, ষে দৃঢ়ভ। আর লাঞ্ছন। সহ করবার ষে অমাতুৰী শক্তি নিয়ে—ছনিয়ার যে-কোন বড় সৈনিক, যে-কোনো বড় সংস্কারকের শক্তির সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে,-এ-কথা আজ আমি বড়গলায় বলতে পারি। জীবনে যারা তাকে বোঝেননি, মরণের পরে আজ তাদের বিচার করবার সময় এসেছে—কত বড় সৈনিক, কত বড় যোদ্ধা ছিলেন এই বেগম রোকেয়া, কত ক্ষতবিক্ষত, কত জর্জরিত হয়েছিলেন তিনি এই দীর্ঘ পচিশ বংসপ্রব্যাপী সংগ্রামে। আগেই বগেছি, এই অল্প সময়ে এত অল্প কথায় বেগম রোকেয়ার পরিচয় দেবার চেষ্টা করা ভুল। শুধু একটা স্কুলের প্রতিষ্ঠাত্রী বললে কিছুই বলা হ’ল নী—স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্তে অনেক কষ্ট করেছেন বললেও অনেক কথাই বল বাকী থেকে গেল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ শাজাহানকে বলেছেন—“তোমার কীৰ্ত্তির চেয়ে, ক্রোমার তাজমহলের চেয়ে তুমি ছিলে মহত্তর।’ ঠিক বেগম হোসেন সম্পর্কেও এই কথাই বলা চলে। তার কীৰ্বির চেয়ে--র্তার প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়ের চেয়ে তিনি ছিলেন ঢের ঢের বড়। বাংলার মুসলমান নারী প্রগতির তিনি ছিলেন অগ্রনায়িকা-গ্রীশিক্ষার ছিলেন সৰ্ব্বপ্রথম নিশানবরদার। “ভূমি আলোকের, ভূমি সডোর খরার ধূলার ভাজমহল রেীয় গুপ্ত আকাশের গেধে পরালে স্কিন্ধ নীল কাজল। बन्नकांबाब थाकाएर फूलझ् रबियौष्प्रब छद्र बिनांब, অবরোধ রোধ করিয়াছে দেহ, পারেনি ক্লখিতে কণ্ঠে গান।" कदिब्र ७झे कथांब्र जडिाकांtब्रव्र गांर्थकड शि কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তা পাওয়া গিয়েছিল একটি মাত্র নারীর জীবনে ; তিনি এই বেগম রোকেয়ী । ভারতে মুসলমান রাজত্বের অবসান হ’ল। মুসলমানের রাজ্য গেল,ক্ষমতা গেগ,ঐশ্বর্ঘ্য গেল—সেট তত দুঃখের কথা নয়। সবচেয়ে বড় কখা তাদের জ্ঞানের বাতি নিবল – সেদিন থেকে মুসলমান মেয়ের, বিশেষ ক'রে বাংলার মেয়ের, হলেন খাচার পার্থী, সেই অন্ধকার যুগে কেমন ক'রে তার মনে জেগেছিল জ্ঞানের পিপাস, কেমন করে श्रुश्णि चांशैौनडांद्र बांकाङ्क-वककांtब्रव्र ढूँफ़िाउ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন Vుతా: কেমন ক’রে তিনি ফুটে ছিলেন আলোকে শতদল পদ্মের মত, সে-কথা আজও আমাদের কাছে একটা বিরাট রহস্যই রয়ে গেছে। অজ্ঞানতার অন্ধকারে, কুসংস্কারের নিবিড় ভিমিরে দীপ জালালেন তিনি জ্ঞানের, আলো দেখালেন মুক্তির, বাণী শোনালেন স্বাধীনভীর। এই যে আজ আমরা দেখতে পাছি মুসলমান মেয়েরা ‘চলি চলি পা পা’ ক'রে মুক্তির পথে অগ্রসর হচ্ছেন—এর গোড়ার কথা খুঁজতে গেলে কি বলতে হয় ? বলতে হয়—এর জন্য বেশ অনেকখানি দায়ী মিসেস্ হোসেনের সাধনী—তার দাঘ পঁচিশ বছরের সংগ্রাম। মেয়েদের জন্য তিনি করেছিলেন স্কুল—আর মেয়ের মায়েদের জন্য করেছিলেন এক নারীসমিতি। তঁদের অনেককেই তিনি এই সমিতির ভিতর দিয়ে তিলতিল ক'রে প্রেরণ জুগিয়েছেন। দিনের পর দিন চেষ্টা করে ঘরে ঘরে গিয়ে তঁদের মুখের ধোমটা খসিয়েছেন, হাত ধ’রে ধীরে তাদের ধরের বার করেছেন। আর যার সাক্ষাংভাবে তার সঙ্গে পরিচিত নন-প্রত্যক্ষে যারা তার কাছ থেকে প্রেরণা পাননি, তারাও প্রত্যেকে তার কাছে ঋণী। এ-কথা আজ আর অস্বীকার করবার উপায় নাই, জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে, প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে বাংলার প্রত্যেকটি মুসলমান মেয়ে স্টার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছে; &fraja: fèfà für R-friend, philosopher and guide. বেগম রোকেয়ার প্রতিভা ছিল বহুমুখিনী প্রতিভা। সাখাওয়াং মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের আরএস, হোসেনকে হয়ত অনেকে জানেন ; কিন্তু “মতিচুরে’র আর-এস, হোসেন, "পদ্মরাগে”র আর-এস, হোসেন আজও অনেকের কাছেই অপরিচিত। তার মতিচুর, পদ্মরাগ", "মুলতানার স্বপ্ন’ প্রভৃতি পুস্তক বহুদিন পৰ্য্যন্ত বাংলা ভাষায় স্থায়ী আসন অধিকার ক’রে থাকবে, সহজ, সরস, সাবলীল অথচ তীক্ষ, জোরালে ভাষার জক্ট বাংলা সাহিত্যসেবী তাকে বহু দিন স্মরণ করবে। আজ বাংলার মুসলমান বাংলাকে মাতৃভাষারূপে গ্রহণ क्ब्राउ निश:इ। क्रुि ७शन ७क गया श्णि पथन