পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেমানান শ্রীরামপদ মুখোপাধ্যায় দশ টাকা মাসিক ভাড়ার ঘরখানি–রমেশের চক্ষে বড়ই अश्मग्न ¢किल । দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে ঘরখানি এত বড় যে, পাঁচ-ছয়টি পুত্ৰকল্পা লইয়া অনায়াসে তার মধ্যে মাথা গুজিয়া থাকা যায়। একতলা এবং স্তাতসেতে ! তা পঞ্চাশ টাকা মাহিনার কেরাণীর পক্ষে ও দুইটা অন্ধবিধাই নহে। উত্তর-খোলা নাতিবৃহৎ জানালা দিয়া একটু যে হাওয়া না আসে তাহা নহে, আলোও চোরের মত উকি মারে। চুনবালি দিয়া গৃহস্থ এককালে ঘরের শ্ৰীবৰ্দ্ধন করিয়াছিলেন হয়ত, কিন্তু রমেশ পনের বৎসরের মধ্যে এ বাড়িতে মিস্ত্রিকে প্রবেশ করিতে দেখে নাই। যে বড় বড় ইদুরের উৎপাত কলিকাতায়—মেঝের উপর যেন লাঙল চষিয়াছে। ছেলেময়েরা সেই কৰ্ষিত মেঝে হইতে ছোট ছোট ইটের টুকরা বাছিয়া লইয়া কখনও টকাফক্কা, কখনও বা জোড়বিজোড় খেলিয়া নিজেদের ক্রীড়াপটুতা দেখায়। এ বিষয়ে তারা উৎসাহশীল। বাপের প্রহার বা মায়ের তাড়না কিছুই গ্রাহের মধ্যে আনে না। সামনে ছোট ফালি বারান্দা। দরজা cषद्विश्वां ब्रांक्षांनि १खध्रांग्नौ श्लॆश्वांछ् ि। ब्रांविज्ठ ८खांण'উনানটি ঘরের মধ্যে লইয়া গিয়া রান্না চাপান হয় । সকালের রাধা ডাল তরকারী সবই থাকে—শুধু ভাত ফুটাইয়া লইলেই হইল। স্বশীল হিসাৰী গৃহিণী—কয়লা বেশী খরচ হইতে পারে না । ভাত নামিলেই বাসি ডাল তরকারী গরম করিয়া লয়। উনানের ধোয়ায় বারান্সার কড়িকাঠ ত দেখাই যায় না, ঘরের কড়িকাঠেও কুল প্রচুরতর জন্মিয়াছে। কোণে কোণে মাকড়সার বাসা ; ঘরের বাসিন্দাদের মত তাহদেরও আশ্রয়চুত্যির ভয় নাই। মাঝে মাঝে একটা চড়াই পার্থী কিচ-কিচ করিয়া উঠে। কড়িকাঠের ফাকে সে রাত্রি যাপন করিতে ভালবালে। ঘরের এক পাশে ভাড়ারের জিনিষপত্র-জালায় চাল, হাড়িতে বা বিস্কুটের টিনে ডাল এবং সিগারেটের ছোট ছোট কোঁটাগুলিতে মশলা, চিনি, মুজি ইত্যাদি । পেচে-ভৰ্ত্তি আনাজপাতিও তার এককোণে জড়ো করা। অন্ত কোণে একথান। তক্ত পাতিয়া কেরোলিন ও নারিকেল ভৈলের বোতল এবং আধভাঙা হারিকেন লণ্ঠন গোটা-দুই সাজান রহিয়াছে। ঘরখানিতে গোটাদুই দরজাহীন গা-আলমারী আছে। উপর নীচে তার অনেক জিনিষ। কোনটায় বাসনগুলি মাজিয়া রাখা হয়, কোনটায় ময়দ, তেঁতুল ইত্যাদির ইাড়ি—কিংবা খোকাখুকুদের খেলনা, পড়িবার বই খাতা, ঔষধের শিশি–কোন থাকে অগোছালে ভাবেই রহিয়াছে। আলমারীর পাশে বিছানা গুটানে, তার একটু উপরে দেওয়ালে পেরেকে টাঙানো জাবুলী একখানা। আরণীখানা ভাল। শীর্ণমুখগুলিকে পুষ্ট দেখায়। রং-ওঠা ট্রাঙ্ক, বেতের স্কটকেস-বিছানার পাশেই। " কড়িকাঠ হইতে পাচটি শিকা বুলিতেছে। বিড়ালের ভয়ে হেঁসেল-পাট উহারই উপর ঝুলিতে থাকে। বারান্দার এক কোণের দেওয়ালে পেরেক পোতা। তাহার উপর ছোটবড় অনেকগুলি জুতা টাঙানো। মানুষের বুদ্ধির অপ্রতুলত না থাকিলে এক ফালি জায়গার মধ্যে প্রকাগু সংসারটাকে অনায়াসে ভরিয়া রাখা যায়। এক জানালায় জলের কুঁজা, অন্যটায় পানের ভাবর । চুন-চুনে সেখানকার দেওয়ালটা চিত্র-বিচিত্র হইয়াছে। দড়ির আলনায় কাপড় জামাগুলি ঝুলিতেছে। গরিব হইলেও গৃহস্থের রুচি আছে। কালী, দুর্গা, গান্ধী ও সি-জার দাসের ছোট ছোট ছবিগুলিও দেওয়াল-গাত্রে বিলম্বিত রহিয়া ধৰ্শ্ব ও রাজনীতিকে বঁাচাইয়া রাখিয়াছে। ulहे दफ़ घब्रथांनिब्र ब८षा ८कांन क्लश्रृं चटलांछनडां ब्रtभ*