পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনদিন দেখে নাই বা অস্থবিধাও ভোগ করে নাই । चोख किङ्क भएन इंद्देज ७ जश्वरप्लहे विकृश्न । कांग्रण গতকল্য সে একটা গার্ডেন পার্টিতে যোগদান করিয়া ছিল। আপিলের কোন পদস্থ কর্মচারীর বিদায় অভিনন্দন উপলক্ষ্যে শহরের উপকণ্ঠে একখানি মুন্দর বাগান-বাড়িতে সকলে সম্মিলিত হইয়াছিল। শনিবার। বেলা ছটায় আপিস বন্ধ হইবামাত্র শততালিযুক্ত ছাতাটি মাথায় দিয়া রমেশ গ্রীষ্মের দ্বিপ্রহরে পথ অতিবাহন করিতেছিল। ফুটপাথের যে-ধারটায় ছায়া পড়িয়াছে, সেদিকে একজন মুসলমান বালক ময়লা কাপড় বিছাইয়া একরাশ 'কেডস জুতা স্তপীকৃত করিয়া উচ্চৈঃস্বরে হাকিতেছিল,— সন্তামাল—লেও বাৰু, আট আট আনা জোড়া—আট আট আনা।— নিজের পায়ের জুডার পানে চাহিয়া রমেশ একবার १भकिञ्चों मैंप्लांझेल । না, কালি মাথাইলেও এই জুতা পায়ে দিয়া নিমন্ত্রণ রক্ষাই করা যায় ন—তায় গার্ডেন পার্টি। ভলার কাচা চামড়ার বোঝায় হাফ শুলটা ভারী হইয়াছে পাচ সের। গার্ডেন পার্টিতে কেহ আর জুতার ডলাট বিশেষ করিয়া দেখিবে না, কিন্তু উপরের তালিগুলি ! ব্রাউন চামড় মিলে নাই বলিয়া একখানি তালি ত কালে চামড়ারও cमeब्रां श्ब्रां८छ् । পকেটে হাত দিয়া দেখিল কয়েকটা টাকা অাছে। কাল মাসকাবার হইয়াছে—মাহিনী মিলিয়াছে। এখনও মুদী ও গোয়ালার হিসাব মিটানো হয় নাই। বাড়িভাড়াও বাকী। সমস্ত দেন। পরিশোধ করিলে যাহা হাতে থাকে তাহাতে আরও কর্জের গোটাপাচেক টাকা যোগ করিলে তবে সংসার কোন রকমে চলে । পুরা মাহিনী কখন সে পায় না। বাচিয়া থাকুক কো-অপারেটিভ, ক্রেডিট সোসাইটি। দেন শোধ হইতেনা-হইতে নূতন দেনার জন্য দরখাস্ত দিতেই হয়। তৰু গার্ডেন পার্টিতে যাইবার জন্য জুতা কিনিবার ইচ্ছাটা তাকে কেমন যেন পাইয়া বসিল । দুঃখ-কষ্ট ত चांtइहे । नाळ्छानब्र गांधान ७क क्प्लेिशहे इहेब न গেলে ভদ্রলোকের প্রাপ্য সন্মানটুকুও সে পাইবে কি-না সন্দেহ ! বহু দরদস্তুর করিয়া আট আনার জুতা হইতে সে ছুইটি পয়সা বাচাইল। কাগজে জুতা মুড়িয়া চলিবে এমন সময় সহকৰ্ম্মী বিমল পিছন হইতে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল,—কি হে, কতয় কিন্‌লে ?— রমেশ এক গাল হাসিয়া বলিল,—আট আনার কম কিছুতে কি দেয় ! কত ভূজং-ভাজুং দিয়ে সাড়ে সাত জানায় বাগিয়েচি । বিমল বলিল,—ষাই হোক, গার্ডেন পার্টির মান ওতে বজায় থাকৃবে। আমার ভাই—যা করেন এই স্তাগুলি। রমেশ বিমলের দুঃগে সহানুভূতি দেখাইয়া কহিল,— তা ওই বা মন্দ কি ! পরে গৰ্ব্বিত অপাঙ্গে নিজের কাগজমোড়া জ্বতার পানে চাহিয়া মনে মনে বলিল,—কেডস পায়ে দিলে বোধ হয় বেশ একটু আভিজাত্যের গন্ধ পাওয়া যায়। বিমল জিজ্ঞাসা করিল,—ক’টায় যাচ্চ ? একটু ভাবিয়া রমেশ বলিল,—পাচটায়। বিমল বলিল,-আমিও তাই। এই টুইল শার্টটাই বাড়ি গিয়ে কাচবো। রোদে শুকিয়ে গরম জলের ঘটী বসিয়ে ইন্ত্রি করব, তবে ত । রমেশ মনে মনে বলিল—আমারও ওই দশা । কিন্তু হাতে কেডস ছিল বলিয়া সে অল্প একটু পা চালাইয়া দিল। সবে দুটা বাজিয়া ২০ মিনিট হইয়াছে। সুৰ্য্যের তেজ প্রখর, জামা দিব্য শুকাইয়া যাইবে । পাচটার মধ্যেই জামা শুকাইল এবং ইন্ত্রি করা হইল। সুশীলা জামাগুলা কাচে ভাল। দিব্য ফরসা হয়। ফরসা যেন বেশীই হইয়াছে ! কাপড়খানার সঙ্গে বেমানান হইবে নাকি ? না, ও একটু ইতরবিশেষ কাহারও চোখে পড়িবে না। খানিকটা ত ফরসা জামায় ঢাকিয়া গেল, বাকী অংশে কে আর নজর দিতে যাইবে। চুলগুলাঙ্গাচড়াইয়া পিছন দিকে ঠেলিয়া দিল। কি বলে ভাল, আমেরিকান ফ্যাশান। চেহারা এককালে রমেশের ভালই ছিল। এখনও প্রসাধন করিলে ছোকুর