পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বান্তিক বেদাঙ্গাঙ্গ Woo र इश्लेल, नदपूद८कब्र भङ cनथाम्न । बनिस त्रामद्रण স্বশীলা আর কোনো কথা কহিল না --রমেশ চলিয়া তার বয়স বত্রিশ ! গেল । চোয়ালের হাড় উঠিয়াছে, চক্ষু বসিয়া গিয়াছে, ও কপালে কয়েকট শিরা দেখা দিয়াছে। তবুও জামা কাপড় ও কেশের পারিপাট্যে একটা শ্ৰী ফুটয়া উঠে । স্বশীল বুদ্ধি করিয়া তাড়াতাড়ি ট্রাঙ্কের কাপড় ও জাম। ওলটপালট করিয়া বহু পুরাতন একটি এসেন্সের শিশি বাহির করিল। বিবাহের সময় এই শিশি গায়ে হলুদের তত্ত্বে গিয়াছিল—সে আজ বার-তের বছরের কথা । গোছালো বলিয়া শিশিটি স্বশীল তুলিয়া রাখিয়াছে। পূজার সময় ছেলেমেয়েদের গায়ে বিন্দুকয়েক খরচ হয়। এসেন্সের রং ফ্যাকাসে হইয়াছে, গন্ধ ত নাই-ই, আছে একটা ঝাক । রমেশ আনন্দিত হইয়া বলিল,—আর সিদ্ধের সেই রুমালখানা ? মুশীলা ভাজ-কর রুমালখানি সস্তপণে রমেশের বুকপকেটে গুজিয়া দিয়া কহিল,—আস্তে আস্তে বার ক’রে মুখ মুছে । খবরদার খুলে না যেন। রমেশ কহিল,—আবৃশিখানা একবার দাও ত । আরশির সামনে নানা ভাবে ঘাড় কাৎ করিয়া চেহারা দেখিয়া রমেশ খুশীই হইল । ছোট ছেলেটি আসিয়া বলিল,—ছ বাবা, আমার জন্তে লুচি সন্দেশ আনবে ত? রমেশ তাহাকে অল্প একটু ধমক দিয়া বলিল, ইনেমভন্ন খেতে যাচ্চি কি-না ! যত সব হাংলা । স্থলীলা ভাড়াতাড়ি তাহাকে কোলের কাছে টানিয়া লইয়া বলিল,—ছাদে যাবি ? চ উড়োজাহাজ দেখাব ৷ ঠাঁট ফুলাইয়া বালক বলিল,- জাহাজ, না ছাই! সন্দেশ আনবে না—তাই । স্বশীল মৃদ্ধ কুষ্ঠিত স্বরে রমেশকে বলিল,—কালো Fমালখানা দেব ! যদি পার ত— রমেশ ক্রুদ্ধ হইয়া কহিল,—হাংলার গুষ্টি। এই জামকাপড় পরে সদেশের ছাদা আনলে মুখখানা বুঝি পুড়ে iাৰে না ? মনটায় একটু ষে দাগ না ধরিল তাহা নহে। একটি টাকা চাদ দিতে হইয়াছে। টাকাটা থাকিলে আধ সের ভাল মাছ ও দুটি করিয়া সন্দেশ বা রসগোল্লা ছেলেদের পাতে দেওয়া যাইত। খাইতে পায় না বলিয়া ছেলেগুলা বড় হাংলা হইতেছে । কিন্তু না,-টাকাটা থাকিলে কি আর সন্দেশ মাছ আসিত ? দেন। শোধ করিতেই কোথায় কপরের মত উবিয়া যাইত । কিছুতেই মন শাস্ত হয় না দেখিয়। অবশেষে রমেশ মনে মনে ভীষণ প্রতিজ্ঞ করিয়া বসিল, আগামী মাসের মাহিন হইতে একটি টাকা সে পৃথক করিয়া রাখিবেই। হয় সন্দেশ নতুবা বড় একটা ইলিশ মাছ। ট্রেনের যে কামরায় দুইজন সহকৰ্ম্মী বসিয়াছিল রমেশ অনেকখানি খালি জায়গা দেখিয়া তাছাদের পাশে গিয়া বসিল। বিমল এখনও আসে নাই। প্ল্যাটফরমে ফেরিওয়ালার চীৎকার ও যাত্রীদলের ব্যস্তভাবে যাতায়াতের দৃপ্ত নিশ্চিন্তে বসিয়া উপভোগ করা যায়। মাঝে মাঝে সঙ্গীদের দিকে মুখ ফিরাইয়া গল্প ও রুমালপ্পানি বাহির করিয়া মুখ মুছিতেও বেশ ভাল লাগে। রি৯ওয়াচ । থাকিলে ট্রেন ছাড়িবার সময় উত্তমরূপে জানা সত্ত্বেও পাশের ভদ্রলোককে ট্রেনের সময় জিজ্ঞাসা করা ও নিজের ঘড়িটি পুনঃ পুনঃ দেখায় খানিকটা গৰ্ব্ব ফুটিয়া উঠে। ভদ্রলোকের ছেলেরা সব পাস করিয়া ক্যান্‌ভাসার झ्हेब्राप्छ । झाकब्रि छुट्णि कि श्राब्र गड़े जाहेरन ८कश् আসিত ? ধে পরিশ্রম : কানে তুলা গুজিয়া বড় বুলি বা ভারী হটকে বহিয়া বেড়াইতে হয়। মুখে চুরুট গুজিয়া দিব্য বেঞ্চের উপর পা তুলিয়া দিয়া ত্ৰিশ টাকা মাহিনার কেরানীবাবু তাহাদের নিকট হুইতে কখনও-বা কোনো জিনিষ কেনে, কখনও-বা বিদ্রুপের হাসি হাসে। ঢং ঢং করিয়া ঘণ্টা পড়িল । ট্রেন ছাড়িতে পাচ মিনিট বিলম্ব আছে। কুগীরা ছুটাছুটি করিতেছে। — গাড়া ব্যস্ত হইয়া নোট বুকে কি টুকিয়া লইতেছে। ষ্ট্রেশন স্থপারিস্টেণ্ডেণ্ট ছড়ি-হাতে প্ল্যাটফরমের এধার-ওধার