পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২০ প্রথথবামনী ; S99ēు কাছে বসিয়া এই ক'দিন যখনই স্থযোগ পাইয়াছে নিমীলিত নেৰে তাছার আরোগ-কামনা করিয়াছে। স্বভজের টোটুকা-গুলিই কি সব ? একটি তপোনিষ্ঠ মানবাত্মার একাগ্র নীরব শুভকামনা মন্দিরাকে কোনও রূপে কি কিছুমাত্র সাহায্য করে নাই ? ইহার পর কয়েকটা দিন আবার নিজেকে লইয়া কাটিতেছে। মনের চতুর্দিকে অন্ধকার রচনা করিয়া ততোধিক অন্ধভমসাচ্ছন্ন অতীতের ধ্যান করে। দুরন্ত প্রখর কল্পনাকে অধীত ইতিহাসের পলকা স্থতায় বাধিয়া দেয়, সেই রশ্মির শাসন অলক্ষ্যে কখন ছিড়িয়া খসিয়া পড়ে, কল্পনা উধাও হইয়া মায়া-মরীচিকা-ভর অনিৰ্দেশ্যতার জগতে আনাগোনা করে, সত্যকারের পৰ অন্যুষিত পড়িয়া থাকে। এই অন্ধকারের ধ্যান লইয়া আরও কিছুদিন তাহার চলিতে পারিত, বিমান হঠাৎ একদিন সব ঘোলাইয়া দিল। কছিল, “কিছু মনে কোরো না অজয়, আজকাল কি খুব কবিতা লিখছ ?” जखब्र कहिल, “cधांटकॅझे जिथछ् िन, किरू हठोर, ७कथा কেন ?" বিমান কহিল, “এই, কিছুদিন থেকে ভাবের হাওয়া একটু জোর বইছে যেন। কলেজে যাবার নাম কর না, উন্ম-খুদ্ধ চুল, চোখের দৃষ্টিও কেমন যেন ঝাপসা হয়ে জাগছে। এত সাধের জীবন তোমার, শেষটা কবিতা লিখে না শেষ করতে হয়, বন্ধু-মাস্থ্য, আগে থেকেই তাই সাবধান ক’রে দিচ্ছি।” অজয় কহিল, “তা কবিতা জিনিষটা এমনই কি আর খারাপ ? তুমিও ত ছবি অঁাকে, তুমি আর কোন মুখে অন্তদের সাবধান করতে এলো ?” বিমান কহিল, “ভুক্তভোগী বলেই সাবধান করতে পারি, তা না হলেই কাজট অনধিকারচর্চা হ’ভ। দেখছ ত আমার গতিক।--•ত ছবি আঁকা ত ভালো, ছবির ভাষা সব দেশের মান্বযেই বোঝে, কিন্তু বাঙালী জাত কবিতা লেখেই কেবল, পড়ে না, আর বিদেশীরা তোমাদের ভাষা বোঝে না, সুতরাং সময় ধাকৃতে সাবধান হও, কলেজে গতিবিধি স্বরু কর, ভালো ক’রে পাস ক’রে বেরুতে পারলে আর-না-হোক ত্রিশ টাকা মাইনের মাষ্টারীও কোথাও একটা জুটে যাবে।” অজয় কছিল, “চিরটা কাল কি টাকার মূল্যেই সবকিছুর বিচার করূবে ” বিমান কহিল, “মিথ্যে আমার ওপর রাগ কব্‌ছ, টাকার মূল্য কোনো জিনিষের জন্তে না দিতে হলে আমিই সবচেয়ে বেশী বেঁচে যাই । এই দেখো না, একটা ছবিও ষে এবার শেষ পৰ্য্যন্ত বিক্রি হবে তার সম্ভাবনা আর দেখা যাচ্ছে না।--কিন্তু তুমিই এমন একটা জিনিষের নাম কর, টাকার মূল্য কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে না দিয়ে এই হতভাগা দেশে যা পাওয়া যায়।--তুমি কি বলবে বুঝতে পারছি, কিন্তু সময় থাকতে তোমাকে ব’লে দিচ্ছি, সে-গুড়ে বালি। যে-তল্লাটে যাওয়া-আসা করছ, গাড়ীর তেলের খরচ জুগিয়ে উঠতে পারবে না। ভাবছ, দুচারটে লাগসই রকম কবিতা লিখে লুকিয়ে ঐহস্তে গুজে দিলেই কাজ উদ্ধার হবে, মোটেই তা Er H I GY-HR romantic soulzyx is wfMR পার হয়ে এসেছি, অন্ততঃ এযুগের রোমান্স মোটরকারেই জমে ভালো •••কথায় কথায় মনে পড়ে গেল, তোমার কাছে পাচটা টাকা হবে অজয় ? আগচে মাসে দিয়ে দেব ॥* ইদানীং মনে মনে অজয় গান্ধী এবং টলষ্টয়ের শিষ্য হুইতেছিল। ভাবিতে চেষ্টা করিতেছিল, অভাব-বোধটাই সত্যকারের দারিদ্র্য, সম্পদ আছে কি নাই, থাকিলে কতটুকু আছে, তাহ দিয়া দারিদ্র্যের বিচার হয় না। কিন্তু হায় রে, নিজেকে লইয়া সে যাহা-খুলি করিতে পারে, করিবার অধিকার তাহার আছে, কিন্তু অপরকে সে বঞ্চিত করিতে চাহে কোন অধিকারে ? না, তাহার অন্ধকারের ধ্যান তাহার থাকুক, সে-তপস্তা তাহার একলার । কিন্তু তাহার যে-জীবনে সে ঐজিলাকে চায় সেখানে কোনও একদিক্কার চরিতার্থতা লইয়া অজয় খুসি হইবে না, সেখানে অসীম তাহার তৃষ্ণ। সেখানে দেহে সে চায় অপরিমিত স্বাস্থা, চায় সৰল মাংসপেশী, মনে । চায় অপরাজেয় পৌরুষ। বুদ্ধির দৰ্পে জীবনের জটিলতম সমস্তাগুলির সন্মুখীন হইয়া সে জী হইতে চায়।