পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন প্রথমে সমস্ত শহরটা দেখা গেল । নদী পার হয়ে ক্রমে শহরের দিকে এগিয়ে অ-সা গেল। মসজিদের স্বর্ণমণ্ডিত গম্বুজ এবং নূতন ধরণের মিনার ( কতকটা সমুদ্রতীরের ‘লাইট হাউসে’র মত দেখতে ) দেখা দিল । কুম্ দূরের থেকে আমাদের দেশের পশ্চিম অঞ্চলের পুরাণে। শহরের মতই দেথতে । সেই বেলে মাটির রং, শহরের দে গুয়ালের উপর দিয়ে অপমান ছাদের দৃশ্ব, মাঝে মাঝে দ্ব-sারটে গাছ । আবার শহরের বাইরে নদীর বুকে তীর্থধারী দলের কাপড়-কাচ নাওয়া-খাওয়াও আমাদের দেশেরই মত। তীর্থযাত্রীর মধ্যে সেই গরীব ভিখারী, ফকির সাধু—সবই যেন চেনা চেনা ঠেকে । মসজিদ ও দরগ| অমুসলমানের কাজে রুদ্ধ, কাজেই তার আশেপাশে ঘুরেই সন্তুষ্ট হতে হ’ল । নদীর উপর আর একটি সেতু পার হয়ে শহরের ভিতর যেতে হয় । শহরটি আমাদের দেশের তীর্থপুরীর মতই নতুন পুবাণোর সমষ্টি, যেন জীবন্মত একটা বিরাট প্রতিষ্ঠান। এক সময়ে এখানকার বর্ম চৰ্ম্ম ইস্পাতের i W A. প্রায়ই । প্রাচীন মুৎপাত্রের নঞ্জ কfজ, সুন্দর কলমে লেখা কোরাণ ইত্যাদি প্রসিদ্ধ ছিল । 驅 豪 疊 韃 আiবার নদী পার হয়ে টেংে রানের পথে যাওয়৷ গেল । এবার থাটি মরুভূমি, চারিধারে বালি ধু ধু করছে, দূরে উটের সরি—ক্যfরা ভাল । উত্তর-পশ্চিমে চলেছে, মাঝে মাঝে একটা ধাত্রী-বোঝাই মোটরলরী উ:ণ্টাদিক থেকে এসে ধুলেী-বালির ঝড় উড়িয়ে মরুভূমির চিত্রটি সম্পূর্ণ করে দিচ্ছে । 察 舉 嘯 একদিনে ষ্টস্মীঃ ন থেকে টেঙ্গেরান, পথে মুণ্ঠে গার, মেইমেহ, রোবাং তুর্ক, দেলিজান, কুম্, আলি আবাদ ৯৪ হাসান আবাদ । আগে এই পথ লোকে পনর কুড়ি দিনে যেতে পারলে খুশী হ’ত, তা-ও লোকলস্বর পাইক বরকন্দাজ সঙ্গে নিয়ে, এবং অজস্র টাকা খরচ করে । এটা সম্ভব হয়েছে মোটরকার ও রিজ শাহ পাহ লবীর রাস্তাঘ’টের ব্যবস্থার গুণে । • ইস্ফাহান, কুম্, ইত্যাদিতে বিজলীবাতি মোটর, টেলিফোন এই-সব থাকা সত্ত্বেও কি রকম যেন মনে হ’ত যে, সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যেই রয়েছি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম