পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sలిరిశు জনাৰ ডাষ্ট (কবির পশ্চাতে, বুকে রুমাল) ও নব্য ইরাণি সঙ্গ পরিচয় পেলাম টেহেরানের কাছে এক বিট চিনির কারখানায়। কল-কারখানা ধূমায়মান চিমনি এই-সব দেখে মনে হল যে, সভ্যতার ( ) মধ্যে ফিরে এলাম। আরও এগিয়ে একটি অতি ক্ষুদ্র রেলওয়ে—টেহেরান থেকে শাহু, আবাল আজিমের দরগা ও মসজিদ পধ্যস্তদেখা গেল। এবার বিংশ শতাব্দীর ইরাণে এসে পড়েছি স্বনিশ্চয়। টেহেরানে প্রবেশের পথে জগদ্বিখ্যাত রাগিস বা রায়ই নগরীর ভিত্তির উপর দিয়ে গেলাম। সন্ধ্যার অন্ধকারে কিছুই বোঝা গেল না—দিনের আলোতেও পার্থকদের এই প্রসিদ্ধ পুরীর বিশেষ কিছু দেখতে পাওয়া যায় না, যা ভগ্নাবfষ্ট আছে তাও মৃত্তিকাস্তপের নীচে। নগর প্রবেশের সময় কবির প্রথম সম্বৰ্দ্ধনা করলেন টেহেরানের জরথুষ্ট সম্প্রদায়। সেখানে অনেক গণ্যমান্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে মানাবর পারস্তের শিক্ষাসচিব কবিকে অভ্যর্থনা ক’রে নিজের গাড়ীতে তাকে নিয়ে চললেন। শ্ৰীযুক্ত কালিদাস নাগের বন্ধু জাকা রহিমজাদ সাফাবী আমার সঙ্গে এসে আলাপ করলেন। অল্পক্ষ৭ আলাপের পর আমাদের জন্ত নিৰ্দ্ধারিত বাগ নেয়েরেদৌলেহ, উদ্যান প্রাসাদে যাওয়া গেল। স্বন্দর বাগানের মধ্যে প্রাসাদ, সেখানে আমাদের সকলের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। এখানে কবির জন্ত প্রায় সকল প্রকার আধুনিক ব্যবস্থাই ছিল । আসাদি নামে এক ভদ্রলোক কবির অন্ধুবাদক এবং আতিথ্যের ব্যবস্থাপক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। যথাস্থানে উপস্থিত হওয়া গেল । পথে প্রায় একমাস, { কবির হিসাবে তিন সপ্তাহ, কেন না, তিনি সাতদিন পরে কলিকাতা থেকে যাত্রা করেন ) এবং এই মাসের মধ্যে এত নতুন জিনিষ দেখাশোনা এবং অন্ত ভাবে উপলব্ধি করাগেছে যে, তার সম্যক जैयूख्यूबषि বর্ণনায় একটা বড় বই লেখা চলে। তার সামান্ত জাভাসমাত্র পাঠক এই প্রবন্ধগুলিতে যদি পেয়ে থাকেন তৰে লেখক সন্তুষ্ট ।