পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কার্তিক বিড়ি, সিগারেট বা পান সংগ্রহে যথেষ্ট বীরত্ব আছে সন্দেহ নাই। মান-সন্মানের বেড়ার বাহিরে বলিয়া ও-গুলি কোনকালে অভ্যাগতকে অপদস্থ করে না। অথচ সন্দেশ ? মান নষ্ট ত হয়ই, পকেটও । সংসারের উপর তার ভারি রাগ হইল। যত সব হাংলা ছেলেমেয়ে কি তার ঘরে ? - মায় স্বশীলা পৰ্য্যন্ত ! আসিবার সময় কালে রুমালখানা দিবার কথা না বলিলেই কি তার হুইত না ? লোভকে উস্কাইয়া দেওয়া বইত না! আসিয়া অবধি সে কালো রুমালখানার কথা অনবরত ভাবিয়াছে । অভাবগ্রস্ত সংসার, হাংলা ছেলেমেয়েগুলার বায়ন, আগামী মাসের খরচের হিসাব—ষত ছাই আর ভস্ম । ম্যাজিক, গান, কৌতুকাভিনয় কোনো কিছুই তাহাকে আকর্ষণ করে নাই। কেবল শততালি দেওয়া সংসার जौबां ७१ । । ও তার চারিদিকে কুৎসিত কালে ছায়া। ঐ সৰ ভাবনা যেন ঝাঝওয়ালা বড় পিয়াজ–চোখের জল টানিয়া বাহির করিতে উহাদের ক্ষমতা অদ্ভূত। পান চিবাইতে চিবাইতে সিগারেটের ধোয়া ছাড়িয়া কোণের দিক হইতে পকেটটা টানিয়া উন্টাইয় অবশিষ্ট সন্দেশ কেলিয়। দিতে দিতে কহিল,—৪ই বিমলট বসেছিল আমার পাশে—এ-সব তারই কাজ। জাহাম্মক ! চার আনা দামের স্তাণ্ডেল পায়ে দিয়ে গার্ডেন পাটিতে এসেচে-লজ্জা ও নেই ! এ কথায় ট্রেনের কেহ হাসিল না । এবং সেই স্তব্ধতার দুঃসহ লজ্জায়, সত্য বলিতে কি, সেই মুহূৰ্বে দশ টাকা মাসিক ভাড়ার ঘরখানি রমেশের চক্ষে বড়ই অসুন্দর ঠেকিল । সীমা শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য সীমা—সীমা-সারা বিশ্ব কঁাদিল কাতরে, কোটা কোটা পণ্ডিতের ভাষা নিরুজ্ঞর ; ক্ষুদ্র প্রাণ দিশাহীন না পায় সন্ধান, সীমা খুজিবারে গিয়া ব্যাকুল কাতর। অনন্ত জীবন-পথে চাহিমু বিস্ময়ে, হেরিস্থ তাহার দূর স্থদুরের পানে ; অস্ত কোথা ? কি যেন কি হেঁয়ালীর মত জটিলতা বেড়ে যায় হৃদি-মাঝখানে । দর্শন কাদিয়া ফিরে সীমার লাগিয়া, বিজ্ঞান সে সীমা লাগি ফিরে নিশিদিন ; রূপ অরূপের পিছে ফিরিছে কাদিয়া, সীমারে থিরিয়া বাজে অসীমের বী। নীল ধিরে ঘিরে নাচে অনস্ত নীলিমা, অসীম সে বিশ্ব ঘিরে রচিয়াছে সীমা । അങ്ങ്