পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন বিবিধ প্রসঙ্গ—সকল হিন্দুর দেৰমন্দিরে প্রবেশ ዓወፃ বস্তুতঃ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কিছু থাকিতে পারে বগিয়া আমরা বিশ্বাস করি না। অক্সচেঞ্জ। মানুষের প্রাত্যহিক আদিম ব্যাপার। পরাধীন অপরাধীন সব জাতির লোক পেট ভরিয়া খাইতে পাইবার চেষ্টা করে। কিন্তু পেট ভরিয়া খাওয়াটার মত চরম রাজনৈতিক কাজ কি হইতে পারে ? মানুষ স্বপুষ্ট হইলে বলিষ্ঠ হয়, বলিষ্ঠ হইলে সোজা হুইয়া দাড়ায় ; তার শিরদাড়াট। সোজা হয়, মাথাটাও উচু হয়। তদনুরূপ মানসিক পরিবর্তন, যথা স্বাধীনতা লাভ বা রক্ষার ইচ্ছা ইত্যাদি, হয়। অতএব, যাহারা রাজনৈতিক সব ব্যাপারের বিরোধী উহাদের দেখা উচিত, যে, লোকে যেন পেট ভরিয়া খাইতে ন পায় । কিন্তু তাহাতেও বিপদ আছে। কেন-ন, ইতিহাসে লেখে, ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লব এবং আরও অনেক তদ্রুপ বিপ্লব ক্ষুধিত লোকেরা ঘটাইয়াছিল। যে-সব হিন্দু এখন মন্দির প্রবেশ করিতে পান না, অন্ত হিন্দুর র্তাহাদিগকে মৈত্রীর সহিত তথায় প্রবেশ করিতে দিলে, সমগ্র হিন্দু সমাজের সংহতি ও শক্তি বাড়িবে। তাহার পরোক্ষ রাজনৈতিক ফল আছে। যদি তাহার, গবন্মেন্টের বা গোড় হিন্দুদের সহানুভূতির অভাবে, মন্দির-প্রবেশের অধিকার না-পান, তাহা হইলে অবস্থা অন্তরূপ দাড়াইবে । তাহারও পরোক্ষ রাজনৈতিক ফল আছে। অতএব, রাজনীতির সহিত মন্দির প্রবেশের সম্পর্ক কি সে-সম্বন্ধে মাথা না ঘামাইয়া, যাহা ন্যায্য তাহী করাই গবন্মেণ্ট ও জনসাধারণের কৰ্ত্তব্য । সকল হিন্দুর দেবমন্দিরে প্রবেশ কাহারও কাহারও মত এইরূপ, যে, র্যfহার স্বয়ং মন্দিরে গিয়া দেবদেবীর পূজা করেন না, “অস্পৃগ”দের মন্দির-প্রবেশের অধিকার সম্বন্ধে তাহাদের কিছু বলা উচিত নয়। আমাদের মত সম্পূর্ণ এ-রকম নয়। আমরা মনে করি, যাহারা দেবদেবীর পুজা করেন, তাহদের অধিকাংশের সন্মতি অনুসারেই সকল হিন্দুর মন্দিরসমূহে প্রবেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাঞ্ছনীয় ; কিন্তু প্রশ্নটি সম্বন্ধে মত-প্রকাশের অধিকার অহিন্দুদেরও আছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলি, আমেরিকায় অনেক স্থানে খ্ৰীষ্টিয়ানদের গির্জায় কেবল শ্বেত খ্ৰীষ্টিয়ানদিগকে ঢুকিতে দেওয়া হয়, কৃষ্ণকায় নিগ্রোঞ্জষ্টিয়ানদিগকে ঢুকিতে দেওয়া হয় না। অখ্ৰীষ্টিয়ান লালা লাজপৎ রায় এবং অন্য অনৈক অখ্ৰীষ্টয়ান শ্বেত খ্ৰীষ্টিয়ানদের এইরূপ ব্যবহারের সমালোচনা করিয়াছেন—আমরাও করিয়াছি। কারণ, जैडेिब्रान भांटबब्रहे बांङि ७ ग्रांटञ्चब्र ब्र६ निर्विदल८ष बै?ीब्र গির্জায় উপাসনা করিবার অধিকার থাকা উচিত, নতুবা बैं?ीञ्च १८*ब्रट्टे अशृभान ३ब्र । यैशिप्रl tइन्छू न८६न, छैोशब्रte এইরূপ বলিতে পারেন, ষে, হিন্দুদের ধৰ্ম্মমম্বিরে হিন্দুমাত্রেরই প্রবেশের ও পুজার অধিকার থাকা উচিত, নতুবা হিন্দুধর্থেরই অগৌরব হয় এবং হিন্দু সমাজের ক্ষতি হয়। অনেক নিষ্ঠাবান হিন্দু নিজেদের মন্দিরে সকল হিন্দুকে প্রবেশ করিতে দিতেছেনও। সম্প্রতি প্রয়াগে পণ্ডিত মদনমোহন মালবায়ের নেতৃত্বে সনাতন হিন্দুদিগের মহাসভার যে অধিবেশন হইয়াছিল, তাহাতে এইরূপ স্থির হইয়াছে, যে, “অস্পৃশ্য"দিগকে মন্দিরে প্রবেশ করিয়া দূর হইতে দেবদর্শন করিতে দেওয়া হইবে । কিন্তু র্তাহার গভমন্দিরে, অর্থাৎ মন্দিরের অভ্যস্তরস্থিত যে-অংশটিতে মূৰ্ত্তি বা বিগ্রন্থ প্রতিষ্ঠিত, সেখানে, প্রবেশ করিতে বা বিগ্রহসমূহকে স্পর্শ করিতে পাইবেন না। গোড়া হিন্দুরা যে কতকটা অগ্রসর ও উদার হইয়াছেন, তাহা আশাপ্রদ বটে। এ-বিষয়ে ন্যায় ও যুক্তির কথা আগেই উত্থাপন না করিয়া আমরা বঙ্গে নালাবিধ সাৰ্ব্বজনীন পূজার আয়োজন হইতে যাহা বুঝা যায় তাহাই বলিতে চাই । কয়েক বৎসর হইতে বাংলা দেশে সাৰ্ব্বজনীন দুর্গাপুজ, সাৰ্ব্বজনীন কালীপূজা ও সাৰ্ব্বজনীন সরস্বর্তী পূজা হইতেছে । এই সকল পুজায় সকল হিন্দুর দেবীমূৰ্ত্তি দর্শনের অধিকার ত থাকেই, অধিকন্তু সকল জাতির হিন্দুর পৌরোহিত্য, মন্ত্রপাঠ, ভোগরন্ধন, প্রসাদ পরিবেষণ এবং এক পংক্তিতে বসিয়া প্রসাদ ভোজন করিয়া থাকেন । অবশ্য এরূপ ব্যবস্থা সকল গোড়া হিন্দুর অনুমোদিত নহে । কিন্তু ইহু হইতে তথাকথিত নিম্নশ্রেণীর হিন্দুদের মনের ভাব বুঝা যায়—তাহারা কি না হইলে সস্তুষ্ট হইবেন না, বুঝা যায় না। স্থায় ও যুক্তির দিক্ দিয়া বিচার করিলে ইহাই প্রতিপয় হইবে, বে, যে-কেহ ষে-প্রকারের হিন্দুত্বে বিশ্বাসী, তাহার সেই প্রকার হিন্দুত্বের সকল অনুষ্ঠান করিবার অধিকার থাক। উচিত, নতুবা হিন্দুদ,াজ অক্ষুঞ্জ থাকিবে না, তাহার ক্ষয় হইবে—যেমন উহার ক্ষয় অনেক শতাব্দী হইভে আরুব্ধ হইয়া খ্ৰীষ্টীয় ও মুসলমান সমাজের বৃদ্ধি হইতেছে । মন্দিরের সকল স্থানে প্রবেশ যখন কীটপতঙ্গ ও অন্ত নানা ইতর প্রাণী করিয়া থাকে, তখন জীবশ্রেষ্ঠ মানুষেরও তাহা করিবার অধিকার থাকা উচিত । অবশু যে-সব মানুষ দেব-দেবীর পূজা করেন না, স্বতরাং যাহারা কেবল কৌতুহলবশতঃ বা অবজ্ঞাভরে মন্দির প্রবেশ করিলেন-প্রদ্ধার সহিত নহে, সে-সব মামুষের সেখানে যাওয়া অকৰ্ত্তব্য, যাইবার অধিকারও থাকিতে পারে না ।