পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীত শ্ৰীগিরীশ্রশেখর বসু ס\ צ পঞ্চম অধ্যায় ৫১-অৰ্জুন বলিলেন, “হে কৃষ্ণ তোমার কথার ভাবে বোধ হইতেছে তুমি কৰ্ম্মত্যাগ ও কর্থের আচরণ দুই-ই করিতে বলিতেছ; এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি শ্রেয় ঠিক করিয়া আমাকে বল।” এই শ্লোকে ‘শংসসি' কথা আছে, ইহার অর্থ ইঙ্গিত করিতেছ অর্থাৎ কৃষ্ণ এরূপ কথা স্পষ্ট বলেন নাই, তাহার কথার ভাবে ইহা মনে হইয়াছে। তৃতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল ক্রুর কৰ্ম্ম কেন করিব ও পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্ন ভালমন্দ-নিৰ্ব্বিশেষে সমস্ত কৰ্ম্মই কেন পরিত্যাগ করিব না। এই প্রশ্ন অর্জনের মনে কেন উঠিল ৩১ শ্লোকের ব্যাখ্যায় তাহা দেখাইয়াছি। গীতায় উল্লিখিত বিভিন্ন সাধন-প্রণালীর বিচারকালে বলিয়াছি যে তখনকার দিনে এখনকার মতই অনেক ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি সংস্কাস অবলম্বন করিতেন । এই সংন্যাস-মার্গ সাংখ্য মার্গের অন্তর্গত। গীতাকার প্রশ্নোত্তর-ছলে অতি নিপুণভাবে তৎকাল-প্রচলিত সকল প্রকার নিষ্ঠার আলোচনা করিয়াছেন। এই অধ্যায়ে সংস্কাস-মার্গ আলোচিত হইয়াছে। অর্জুন প্রশ্ন করিতেছেন, সংসারে থাকিয়া কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মাদি সম্পাদন করা ভাল, না, গৃহত্যাগী হইয়া ও সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম বর্জন করিয়া সংন্যাসী হওয়া ভাল। ৫২–ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, “সংস্কাস ও কৰ্ম্মযোগ উভয়ই মঙ্গলপ্রদ কিন্তু ইহাদের মধ্যে কৰ্ম্মসংন্যাস অপেক্ষা কৰ্ম্মযোগই উৎকৃষ্টতর।” শ্ৰীকৃষ্ণ সংস্কাস-মার্গের পক্ষপাতী নহেন। সংন্যাসমাগী ভাষাকার ও টীকাকারগণ এই শ্লোকের শ্ৰীকৃষ্ণের স্পষ্ট উক্তির নানা প্রকার বিকৃত অর্থ वर्द्धन छैषांछ সংস্থাসং কৰ্ম্মণাং কৃষ্ণ পুনৰোগঞ্চ শংসসি । যচ্ছেয় এতয়োরেক ভয়ে ক্ৰহি সুনিশ্চিতম। ১ করিয়াছেন। সংস্কাসই একমাত্র সাংখ্য মার্গ এই ধারণা অনেককে ভ্রান্ত করিয়াছে ; শ্ৰীকৃষ্ণ জ্ঞানের নিন্দা করিবেন তাহা হইতে পারে না, কাজেই তাঁহাদের এই শ্লোকের অর্থ বদলাইতে হইয়াছে। শ্ৰীকৃষ্ণের উপদেশের বিশেষত্ব এই যে, তিনি কোন মার্গকেই সম্পূর্ণ দুই বলেন নাই । সংস্কাস-মার্গের যাহা কিছু ভাল শ্ৰীকৃষ্ণ তাহার সমস্তই গ্রহণ করিয়াছেন ও কৰ্ম্ম-মার্গে থাকিয়াও কি করিয়া সংস্তাসীর মত শ্রেয় লাভ হইতে পারে, শ্ৰীকৃষ্ণ তাহার উপায় নির্দেশ করিয়াছেন। তিনি সংস্তাসের এক অভিনব নিৰ্ব্বচন দিয়াছেন। গৃহত্যাগ করিলেই সংন্যাসী হয় না, কৰ্ম্মত্যাগ করিলেই সংন্যাসী হয় না। নিত্যকৰ্ম্মশীল গৃহীও সংস্থাসী পদবাচ্য হইতে পারে। পরের শ্লোকগুলিতে ইহার আলোচনা আছে। ৫।৩—“যিনি কোন বস্তু বা বিষয়ে দ্বেষও করেন না আকাঙ্ক্ষাও করেন না তিনি নিত্যসংন্যাসী বলিয়াই জ্ঞাত হন ; কারণ রাগদ্বেষ-দ্বন্দ্ব হইতে মুক্ত পুরুষ অনায়াসে সংসার-বন্ধন হইতে মুক্তিলাভ করেন।” সংন্যাসীকে যে গৃহত্যাগী হইতে হইবে এখানে তাহ বলা হইল না। সংসারে থাকিয়া.দ্বন্দ্বহীন হইয়া সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বপ্রকার কৰ্ম্ম করিলেও মনুষ্য সংন্যাসী পদবাচ্যই হইয়া থাকে। ইহাই কৃষ্ণের অনুমোদিত সংস্কাস। ৫৪-৫—“বালবুদ্ধি ব্যক্তি সাংখ্য অর্থাৎ জ্ঞানমার্গ ও যোগ অর্থাৎ কৰ্ম্মমার্গকে পৃথক বলে, কিন্তু পণ্ডিতেরা তাহ বলেন না। এই দুইয়ের যে-কোনটিকে সম্যক আশ্রয় করিলে উভয়ের ফললাভ হয়। জ্ঞানযোগলভ্য স্থানে কৰ্ম্মযোগ দ্বারাও যাওয়া যায় । ধিনি সাংখ্য ও যোগ স্ত্রীভগবাম্বুবাচ— সংজ্ঞাস: কৰ্ম্মযোগশ্চ নিঃশ্ৰেয়সকরানুষ্ঠে । তয়োস্তু কৰ্ম্মসংস্তাসাং কৰ্ম্মযোগো খিশিল্পতে ॥ ২ cछाब्र: म निष्ठामद्वjीनैौ cषों ब tषाँडे न कॉछकडि । निश्चाि) श् िबशोषप्हि' इष१ ख्रिीं चमूलङि ॥ ७