পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুলালের গপঞ্জ পরশুরাম জুলাল নামে একটি ছেলে পটোলডাঙায় বাস, গরম গরম পটোলভাজা খায় সে বারো মাস । পটোলডাঙার চারদিকেতে পটোলগাছের বন, ভাল ধরে তার নাড়লে পড়ে পটোল দু-দশ মণ । পাড়তে পটোল ছিড়তে পটোল মোটেই বারণ নেই, বারণ কেবল পটোল তোলা—আইন হচ্চে এই ৷ অটল ঘৈাষের পিসির ননদ পটোল তুলেছিল, ইস্থলে তাই অটল ঘোষের নামটি কেটে দিল । যাক্ সে কথা। বলচি এখন গল্প দুলালের ; মন দিয়ে খুব শোনো যদি, বুদ্ধি হবে ঢের । জুলাল ব'লে একটি ছেলে পটোলডাঙায় ধাম, বাপ হচ্চেন যতীশচন্দ্র, গৌরী মায়ের নাম । তিনকড়ি আর সাধনচন্দ্র দুঙ্গালের দুই চাচা, জাড়াই-হাতী খন্ধরেতে দেয় না তারা কাছা । জুলালচাদের আছে আবার ফুটুফুটে পাচ বোন— বীণা, রাণু, বুলু, দুলু—এই নিয়ে চার জন । আর একটি বোল-চান!—নামটা গেছি ভুলে— দেখতে যেন মোমের পুতুল, গাল দ্বটো তুলতুলে। এ-সব ছাড়া দুলালচাদের আছে অনেক জন জেঠতুতো আর মাস্তুতো আর পিস্তুতো ভাই-বোন। থাক সে কথা । মন দিয়ে খুব শোনো এখন ভাই— বলচেন যা দুলালচাদের ন-পিসে-মশষ্ট । জুলালচন্দ্র ছিল যখন সাত বছরের ছেলে, একদিন সে লুচি দিয়ে পটোলভাজা খেলে। পাকা পাকা পটোল তাতে ক্যাচর-ক্যাচর বিচি, বিচি খেয়ে মুখ বেঁকিয়ে দুলাল বলে—“ছি ছি,

  • ॐञांन कृन्नांल भांछिनिटकठरमञ्च झांझ । एठांच्च रूitछ ठीव्र •

निटम-अझांनटग्नब्र ●रै कविद्धांÉि यन्नकृञ्च क्लिल ।। 4£ aयकांनं कद्रबांब cणांख जचब्रन कङ्गाङ गोब्रगूध नl ॥-ब्रदौटानांष *ांकूब রইব না আর কোলকাতাতে পটোলভাজার দেশে, যাচ্চি আমি পণ্ডিচেরি মাদ্রাঞ্জাঁদের মেসে ।” এই-না ব'লে টিকিট কিনে দুলাল তাড়াতাড়ি । কটকেতে চ'লে গেল সেজ-পিসির বাড়ি। ভবেন তখন দুলালচাদের তিন নম্বর পিসে— উড়ের দেশে এ ছেলেটির বিদ্যে হবে কিসে। অনেক খুজে মাষ্টার পেলেন,—নামটি বাঞ্ছা ঘোষ, নাকটা কিছু থ্যাবড়াপান, এই যা একটু দোষ । বললে দুলাল—“আপনার স্তার, নাকটা কেন খাদা ? আপনি যদি পড়ান আমার বুদ্ধি হবে হাদ৷ ” বাঞ্ছানিধি হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন ধরে, নাক-লম্বা গোবৰ্দ্ধন এলেন দু-দিন পরে । দুলাল বলে—“আপনার স্তার খাড়ার মতন নাক, নাকের খোচায় শেষে আমার বুদ্ধি ছিড়ে স্বাকৃ!” গোবৰ্দ্ধন বরখাস্ত হলেন চাকরি থেকে, পিসে তখন ব’লে দিলেন চাপরাসীকে ডেকে— "জলদি লে আও এসা মাষ্টার নাক নেই যার মোটে— কটক পুরী দিল্পী লাহোর যেখান থেকে জোটে।” চাপরাসীটা পাগড়ি বেঁধে বন্দুক কাধে ক’রে দেশ-বিদেশে দেখলে খুঁজে একটি বছর ধরে । তারপরে সে ফিরে এসে বললে—“হজুর সেলাম । নাক নেই যার এমন মানুষ কোথ খাও না পেলাম । কিন্তু অনেক চেষ্টা ক’রে ছুঙ্গালবাবুর ভরে ধরেচি এই ওস্তাদকে মহানদীর চরে । নাকের বালাই নেই, কিন্তু আওয়াল্পটি এর খাস, শিখিয়ে দিতে পারবেন খুব উর্দু-ফার্স ভাষা।” চাপরাসী তার লাল বটুয়ার মুখ করলে ফাক, জবাক হয়ে শুনলে সবাই গুরুগম্ভীর ডাক ।