পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র আস্তে আস্তে বেবিয়ে এল লম্বী ছুটে ঠ্যাং, বটুয়া থেকে লাঙ্ক দিলে এক মস্ত কোলা ব্যাং। ব্যাং বললে—“আয় রে ছলাল, পড়বি আমার কাছে।” কোথায় দুলাল ? লেপের ভিতর ঐ যে লুকিয়ে আছে ! দুলালচাদের রকম দেখে কষ্ট পেয়ে মনে ব্যাং বেচারা পালিয়ে গেল খগুগিরির বনে । দুলাল তখন ইষ্টিশানে গিয়ে একৃকেবারে কোলকাতাতে রওনা হ’ল পুরী-প্যাসেঞ্জারে । পটোলডাঙায় ছু-তিন বছর হয়ে গেল শেষ, বিস্তর বই পড়লে দুলাল, বুদ্ধি হ’ল বেশ । কিন্তু হঠাৎ একদিন তার খেয়াল হ’ল মনে— “এখানে নয়, পড়ব আমি শাস্তিনিকেতনে ৷” ভালমানুষ হলেও দুলাল বড়ই জেদী লোক, যt চাইবে করবেই তা, যেমন করেই হোক । ছোটকাকার সঙ্গে দুলাল জিনিষপত্র নিয়ে শান্তিনিকেতনের ক্লাসে ভৰ্ত্তি হ’ল গিয়ে । ইংরেজী আর বাংল। কেতাব পড়লে একটি রাশ, পাটীগণিত ব্যাকরণ আর ভূগোল ইতিহাস । দিগ্ন ঠাকুর শিখিয়ে দিলেন গানের অনেক স্বর, তাকাগাকি শিখিয়ে দিলেন কায়দা যুযুৎস্থর । নন্দলালের কাছে দুলাল আঁকতে শিখলে ছবি, আর সমস্ত যা যা আছে শিখিয়ে দিলেন কৰি । অনেক রকম শিখলে দুলাল শাস্তিনিকেতনে, গায়ে হ’ল ভীষণ জোর আর অসীম সাহস মনে । গোমড়া মুখো মাষ্টার-ধার সদাই হাতে বেত, নাকে কথা বলেন ধারা—ভূত পেত্নী প্রেত, প-ফাট সেই কানকাট যে থাকে খেজুরগাছে, ছোট ছেলের কান ধ’রে যে যখন-তখন নাচে, বাঘ ভালুক সাপ ল্যাং আর ভিমরুল আর বিচ্ছু— এ-সব দেখে দুলালের আর ভয় করে না কিছু । কারণ, দুলাল জানে ওরা সবাই জুয়োচ্চোর ; আর, ছলালের বুদ্ধি আছে, গায়ে ভীষণ জোর । झलांजन्न शंख्र ፃፃኔ . তারপরেতে বোশেখ মালের ভেসরা রবিবারে टैिंक ছুপপুর বেলা যখন ভূতে ঢেলা মারে, সমস্ত দিক নিঝুম যখন রোদুরে কাঠ ফাটে, জুজুর খোজে গেল দুলাল ঙেপাস্তরের মাঠে । জুজু তখন ঘুমুছল ভিজে গামছা পরে ; সাড়া পেয়ে বেরিয়ে এল ঘাড়ের মূৰ্ত্তি ধ’রে । কাধের ওপর মস্ত ঝুঁটি, শিং দুটে। খুব লম্বা ; দৌড়ে এসে ধাড় বেকিয়ে ডাক ছাড়লে—ইম্বা। তেড়ে গিয়ে বললে দুলাল—“শোন রে জুজু হাদ, চেহারা ভোর বাড়ের মতন, বুদ্ধিতে তুই গাধা । যুযুৎস্থতে শিক্ষা জামায়ু দিলেন তাকাগাকি, জুজুর বুদ্ধি নিয়ে আমার সঙ্গে পার্বুধি না কি ? শিং ধরে তোর দুমড়ে দিয়ে লাগাই যদি চাড়, হুমূড়ি খেয়ে পড়বি তখন ওরে গদভ ঘাড় ! আমার সঙ্গে লড়তে এলি মুখ ধু কে তুই রে ? জানি, আমি পটোলডাঙার দুলালচন্দ্র দে - ফটাস ক’রে ঘাড়ের তথন পেটট গেল ফেটে, ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন মাহুষ একটি বেঁটে । পরনে র্তার পেণ্ট লুন হাট কোট নেকটাই, হাতে একটি মস্ত থাত চামড়ার বাধাই । বুকের ওপর দশট। মেডেল, ফাউণ্টেন পেন ছ-ট,* হাত ঘড়িতে কেবল দেখেন বাঙ্গল এখন ক-টা । দুলাল জানে ভদ্রলোকের সঙ্গে ব্যবহার ; ছ-হাত তুলে বললে তাকে—“মশাই, নমস্কার । মাপ করবেন—আপনাকে স্তার গfল দিয়েচি যা— ঘাড়ের পেটে আপনি ছিলেন তা তো জানতুম না!” : ঘাড়টি নেড়ে জবাব দিলেন জুজু মহাশয়— "ছেলেদের সব কাগু দেখে বড়ই দুখ খু হয় । এই দুপুরে জিয়োমেটির অঙ্ক-কথা ফেলে রোদুরেতে টো-টো কর কেমন তুমি ছেলে ? পরখ করে দেখব তোমার বিদ্যে কতদূর । এই চারটে কোশ্চেনের দাও দেখি উত্তর—