পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓ8 S99ēు উমাশশী জল পান করিয়া পান দুইটা মুখে দিতে ষাটতেছিলেন হঠাৎ থামিয়া নিৰ্ব্বাক বিশ্বয়ে চাহিয়া রছিলেন। দিদির মুখের ভাব দেখিয়া তাহার দৃষ্টি অনুসরণ করিয়া ‘ইন্দির ব্যাপারটা বুঝিল । দিদি বলিলেন, “ষ্ঠ্য গ, জানলায় যে পরদা ঝুলছে ওটা কিসের ?” ইন্দিরা গঞ্জীরমুখে উত্তর দিল, “গরদের ।”

  • ও বাবা কালে কালে কতষ্ট হবে—শেষে জানলায়

ঝুলতে লাগল গরদের পরদা ! এবার এসে দেখব বোধ হয় যে, বেনারগীর টুকরো তোমার স্থাত হয়েছে । টাকাগুলো কি খোলামকুচি পেয়েছ না কি বেী । এ ষে দেখি দু-হাতে ওড়াচ্ছ।” & ইন্দিরার অতান্ত রাগ হইল, একটু ঝাজের সহিত উত্তর দিল, “ওটা নতুন কিনে লাগাই নি দিদি, আপনার ভাবনা নেই। আমার গরদের শাড়ী একটা ছিড়ে গিয়েছিল, নেহাৎ সেটা ফেলে দেব তাই সেখানা কেটে পরদা করেছি, কটা জামাও করেছি খোকার । এতেও যদি দোষ হয় ত জানিনে বাপু ।” দিদি আর কিছু বলিলেন না ; পাশ ফিরিয়া শুইয় একটু নিদ্রার জোগাড় করিলেন। ঘরে র্তাহার আটনয়টি সম্ভান, দ্বিপ্রহরে যে একটু গড়াইবেন হতভাগ ছেলেমের্মেগুলোর উপত্রবে বাড়িতে তাহার জে+টি নাই। তাহারা যেন সকল উপত্রবগুলা ঐ ছপুরটুকুর জন্তই তুলিয়া রাখে । একবার যদি একটু চোখ বুজিয়াছেন আমনি মণি কাদিতে কাদিতে আসিল “ম, টুলু জামায় মেরেছে।” মণিকে দুইটা খাবড়া দিয়া মা বলিলেন, “কেন যাও ওর সঙ্গে খেলতে ? মেরেছে ? মেরেছে তা আমি কি করব ? বলি না যে দু-জনে কথখনো একসঙ্গে থাকবে ন—তা না ঠিক সেই ঘুরে ফিরে ক্রমাগত একজোট হবে। শো বলছ এখানে—উঠলে হাড় ভেঙে দেব।” মণি বোধ করি মায়ের নিকটে এরূপ অবিচার প্রত্যাশা করে নাই। সে তারস্বরে চীৎকার করিতে করিতে সেইখানে মায়ের আদেশ-মত শুটা পড়ে বটে, কিন্তু এত হাত পা ছড়িতে থাকে যে, তাহাকে ঠিক শোওয়া বলা চলে না। যাহা হউক, মিনিট দশ-পনের পরে হাত-পা ছোড়ার বিক্রম কfমতে কমিতে শেষটা খামিয়া যায়—ব্রুগম্ভ মণি উপযুপিরি টুলু এবং মাতার চড় খাইবার পর ঘুমাইয়া পড়িয়া মায়ের হাড় জুড়ার। কিন্তু তাই কি নিস্তার আছে ? চোখে সবে আবার একটু ঘুম আসিয়াছে মেজমেয়ে চারুশশী আসিয়া বলিল, ও মা, হাৰু কি ক’রে পা-ট কাটল একবার দেখ । রক্তে তোমার বালিশ একেবারে ভিজে গেছে।’ পা উহার প্রায়ই কাটে—হাত-পা কাটিয়া কোন দিন যে একটা মরিবে তাহা তাহাদের মা ঠিক করিয়াই আছেন ; তাই সে-সংবাদে বড় বিশেষ উৎকণ্ঠ প্রকাশ করিলেন না। চোখ খুলিয়া বলিলেন, “বালিশ আবার রক্তে ভিজল কি ক’রে ? বালিশের মাথা খেতে ওটাকে আমার বিছানা থেকে নামিয়েছে কে শুনি ? চারুশশী বলিল, “হাবু ভাড়ার ঘর থেকে তোমার বঁটি বার করে কাচা আম কাটছিল, দিদি একটু চাইলে, হেবে। বললে দেব না । তাইতে দিদি রাগ ক’রে তাকে বালিশ ছুড়ে মারলে। হেবোর পা খুব কেটে গেছে মা, আর বালিশেও খুব রক্ত লেগেছে।’ উমাশশীকে নিদ্রার আশায় জলাঞ্জলি দিয়া বঙ্কিতে বকিতে উঠিয়া পড়িতে হয়। হাবুর পায়ে ব্যাণ্ডেজ বাধাটা বড়মেয়ের ঘাড়ে পড়ে—উমাশশী বালিশের ওয়াড়টা খুলিয়া লইয়া কলে গিয়া সেখানা সাবান দিয়া কাচিতে কাচিতে র্তাহার কপালে যে মোটে বিশ্রাম-স্বথ উপভোগ লেখা নাই তাছা ভগবান বাছিয়া বাছিয়া যখনষ্ট তাহার ঘাড়ে এই রাজ্যের অখাটে-বখাটে দস্তিদুরন্তু অবাধ্য ছেলেমেয়ের দল চাপাইয়াছেন তখনই তিনি জানেন— ইত্যাদি-ৰূপ বিলাপ করিতে থাকেন । মেজাজ ক্রমেই সপ্তমে চড়িতে থাকে-নিজাদেৰী ত দূরের কথা বাড়ির নিকট কাক চিলও আসিতে সাহস করে না । কাজেই স্ববিধা পাইলেই তিনি বড় ও মেজ মেয়ের উপর বাকিগুলির ভার চাপাইয়া দিয়া ছুপুরে খানিকক্ষণের জগু ভ্রাতৃজায়ার বাড়ি চলিয়া আসেন। ঘরগুলা ধোওয়া মোছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন-বাড়িতে একটা মাত্র ছেলে, তাও উrহার ছেলেগুলার মত আমন দুপুরে দাপাদ্যপি করিয়া বেড়ায় না, শান্ত হইয়া ঘুমাইয়া থাকে, কোনও