পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র হার ማፃው উপদ্রব নাই, দিব্য আরামে এখানে ঘণ্টাকয়েক ঘুমান স্বায় । বাড়িতে তাহারা কাটাকাটি মারামারি ধাহ! ইচ্ছা করুক—বারে মাস রাত্রিদিন ছেলেপিলের এত দৌরাত্ম্য আর সহ হয় না। এই বাড়িটি একটি বিশ্রামের স্থান ; কোথায় ভ্রাতৃজায়ার উপর সেজন্ত একটু কৃতজ্ঞ হইবার কথা, কিন্তু কেমন যে श्रडॉरु छू-कथा ना उनश्ब्रिां भcनम्न cयन ड्रक्षुि श्ञ्च नl । ইন্দির দিদির এ-বাড়ি আসিবার কারণ খুবই বোঝে এবং সেজন্যই তাহার বিদ্রুপের কথায় তাহার আরও বিরক্তি १८द्म । বাড়িতে বেচারী একটু বিশ্রাম পান না, বেশ ত, ইন্দিরার কাছে আসিয়া ঘুমান না সারা দুপুর। বয়স হইয়াছে, এতগুলি সস্তানের দৌরাত্মা রাতদিন সহ করিতে করিতে মেজাজও একটু খিটখিটে হইয়া পড়িয়াছে, তাহাও ইন্দিরা বোঝে এবং সেজন্য বড় ননদের উপর তাহার সময়ে সময়ে মায়াও হয় । ভাবে "আহ বলুন-গেনা হয়, আমি কেনই-বা রাগ করি, ও-রকম অবস্থায় পড়লে আমার ত মাথা খারাপই হয়ে যেত। দিদি ত তবু তার পক্ষে ভালই আছেন বলতে হবে।” কিন্তু তবু বড় ননদ আসিয়া যেই তাহার ঘরের প্রতি সখের জিনিষটি লইয়া পড়িতেন অমনি ইন্দিরার সাধুসঙ্কল্প টলিয়া ষাইত ; ভাবিত “ভাগ্যে সাজিয়ে গুজিয়ে এরই মধ্যে ঘরটা একটু ভদ্ধর লোকের মত করে রেখেছি, তাই ত নিজের বাড়ির ঐ অবিলির মধ্যে থেকে ছুটে ছুটে এখানে বেরিয়ে এসে বঁাচেন । এই ত ঘরের ভ্ৰ, এই ত টাকা-পয়সার ছড়াছড়ি, নেহাৎ আমি এত করে গুছিয়ে রাখি বলেই এর তবু শ্ৰী বেরিয়েছে।” রমার সংসারে শাশুড়ী আছেন, তাহা ছাড়া বিধবা ননদ ভাগ্নে ভাগ্নীতে বাড়ি ভরা—সে দিদির মত আমন যখন ইচ্ছা আসিতে পারে না। তবে দিঙ্গি যখন জিগ্রহরে গলি দিয়া হাটিয়া চলিয়া আসেন তখন এক-আধ দিন রমার বাড়ি চুকিয় তাহার শাশুড়ী ঠাকুরাণীর অনুমতি লইয় তাহাকেও সঙ্গে আনিয়া থাকেন। রমা মুণে বৌদির ঘর-সাজানর পরিপাটিত্ব লইয়া টিকারী দিী গেলেও ৰাড়ি গিয়া স্বামী সম্ভোবকে বলে, “আমাকে একটা বেশ বড় দেখে ফুলদানা আর একটু ভাল পরদার ছিট এনে দিও ত গে। আর থাম থাম, এই নমুনাটুকু নিয়ে যাও—বোঁধি দেখলাম বেশ জামার কাপড়টি কিনেছে, আমাকেও গজখানেক এনে দিও।” সস্তোষ হাসিয়া ধলে, “এদিকে ত বৌ-ঠাকুরুণের নিন্দেঘ্ন দেখি পাড়া ফাটিয়ে দাও—আবার তার দেখে দেখে বুঝি সব করাটুকুও চাই ?” রম রাগিয়া বলে, “দেখে দেখে করার কি এত দেখলে শুনি ?” সস্তোষ উত্তর ধিল, “সেই রকমই ত যেন মনে হচ্ছে । কিন্তু শুধু তার বাড়ির পরদা দেখে এসে সে-রকম একখানা পরম্বা বুলিয়ে দিলেক্ট ত হ’ল না, তার মত অমনি যে জায়গায় যে জিনিষটি, সবসময়ে সেটি গুছিয়ে রাখতে পার ত বুঝি যে, ই একটা জিনিব শিখেছ। বেশ আছে কেশব । সেদিন গিয়ে দেখি খাটের স্বৰধৰে বিছানার পাশে ছোট টেপাইটিতে রাজের জন্যে পান জল সন্ধ্যের আগে থেকেই গুছিয়ে রাখা । স্বন্দর একটি মোমদানীতে মোমবাতি, আবার খাটের পাশে ফুলটুকুও বাদ পড়েনি—দেখতে ভারী স্বন্দর লাগল। রাত্রে হয়ত কেশব পড়ে-টড়ে—একটি বইও দেখলাম রাখা রয়েছে । আমার বইটই ত দূরের কথা, গালুর চারখানা এই স্তপাৰায় কাপড়-বোঝাই আনলাটা থেকে খুঁজে বার করতে রোজ খানিকটা ক’রে রক্ত ঘাম হয়ে cव८िम्न याग्न । ८शक्षझ ना उाहे Cद्राश श्८म्न शांछि দিন-দিন ?” রমার স্বভাবটা অভ্যস্ত ঢিলেঢালা অগোছাল, তাহা সে নিজেও জানে এবং সেইজন্য অপর কেহু, বিশেষ করিয়া স্বামী তাহার সেই দোষটার উল্লেখ করিলে তাহার রাগের সীমা থাকে না । অনেকবার সে চেষ্টা করিয়াছে যে বৌদির মত ধরখানাকে সাজাইয়া গুছাইয়। রাখিবে— দু-এক দিন সম্মার্জন ও ঝাড়ন হুস্তে গৃহুসংস্কার আরম্ভ অবধি করিয়া দিয়াছে । কিন্তু সন্তোষ ধেই জাসিয়া বলিল, “এই যে বৌ-ঠাকুরুণের ছোয়াচ ষে দিব্যি লেগেছে দেখছি। বেশ বেশ এখন টেকলে বাচি এ স্ববুদ্ধিটা—” আমনি রমার আপাদমস্তক জলিয়া উঠে। “ও,