পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓኬ” {{ প্রবাসনী ; S99ళేు তখনকার আমলে ত এসব বালাই ছিল না, তাই পথ সামলে চলা অত অভোগ নেই আর কি। তারপর আজ আবার দেখলাম তিনি একেবারে সোজা ছু-আধখানা হয়ে গেছেন—একটা অৰ্দ্ধেক ভাগ ত দেখি খাটের তলায় পড়ে আছে, আর বাকি আধখানা কলতলায় যে একটা তেলটেল রাখবার শেলফ, আছে না তার উপর উঠেছে কি জানি কি ক’রে । সতীর দেহত্যাগের ব্যাপার আর কি ! সস্তোষের কথার ভঙ্গীতে ইন্দিরা হাসিল। ও-ঘর হইতে রমা বলিল, “খুব যে লেকচার দিচ্ছ শুনতে পাচ্ছি। এতই যদি ঘর ফিটফাট রাখার সখ ত নিজে করলেই পার। - তোমার ত আর দাদার মত ভাপিসের খাটুনি নেই—খুব ত বন্ধুদের বাড়ি তাসপাশা খেলে বেড়াবায় সময় থাকে। সেটা কমিয়ে এবার না-হয় কাটা ঝাড়ন হাতে মাঝে মাঝে ঘর-পরিষ্কারের কাজেই লেগে ধেও । ঘর ত আর আমার একলার নয় ধে সৰ-কিছু আমাকে একলাই করতে হবে।” সন্তোষ হাসিন্ধা চুপি চুপি বলিল,“শুনছেন বৌ-ঠাকরুণ, নিজে ত করবেই না, আবার কেউ করলে তাকে ভাল বলবারও জো নেই।” তাহার পর এ ঘরে ঢুকিয় শ্যালককে বলিল, “কি হে, আপিস থেকে ফিরতে-না-ফিরতেই চা যে হাতের কাছে দেখছি। আছ বেশ ভায়ী—কেবল ঐ আপিসটুকুতেই যা একটু খাটুনি—তারপর বাড়ি এলেই ত বৌ-ঠাকুরুণের যত্নে দিব্যি নবাবী অবস্থা লাভ, কোনও ঝঞ্চাট নেই।” কেশব রাগিয়াছিল । বলিল, “যত সহজ ভাবছ তত নয় হুে। এ বাড়ি ঐ কেবল দেখতেই ঝকৃঝকে চকচকে, থাকতে আরাম নেই। নড়তে গেলে তোমার বৌ-ঠাকরুণের কোন পুতুলটি নড়িয়ে ফেলি এই ভয়ে নড়তে পারিনে। তোমরা দশ মিনিটের জন্তে বেড়াতে আস, ওর ড্রয়িংরুমের চেয়ারে কাঠের মত বসে খুব বাহুবা বাহুব করে যাও—চব্বিশ ঘণ্টা থাকতে হ’লে বুঝতে পারতে। তাড়াতাড়ি ছিল পরদাটা সরিয়ে যেই বেরোতে গেছি, দেওয়ালে বুঝি কি ছবি ছিল পড়ে চুরমার। তারপর ঐ ওর ড্রয়িংক্রমে ত টেবিল টেপাই ফুলদানীর ভিড়ে মানুষের পা ফেলবার জায়গা নেই। সেদিন তাড়াতাড়ি যেতে একটা টেপাই উলটে ফুলদানী পড়ে জল পড়ে কার্পেট ভিজে সে এক কাণ্ড। বাব্বা নিজের বাড়িতে একটু হাত পা মেলে থাকবার জো নেই—ভাল বিপদ হয়েছে।” সম্ভোষ শ্যালকের কথার ধাচে হাসিয়া বলিল, "একেবারে ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছ দেখছি। তাই ত, তাহলে কিছু দিন ঘর বদলাবে না কি ? আমি রাজী আছি।” কেশব উঠিয়া বসিয়া বলিল, “ওসব স্তুতিবাক্য রেখে দাও হে ভায়া, দু-দিন ঘর করলেই পালাই পালাই করতে হবে সেটি জেনে রেখে।--কই, চল্ রে রম, তোদের পৌছে দিয়ে আসি।” স্ত্রীর সহিত এক মুখোমুখী হইলেই একটা ঝগড়া এখন অনিবাধ্য—যাহা হইয়া গিয়াছে ইহারই তাল সামলাইতে এখন ক’দিন যায় বলা যায় না। কাজেই বাড়ির বাহিরে থাকাই এখন নিরাপদ বুঝিয়া একটা পাঞ্জাবী গায়ে দিয়: কেশব ভগিনীর সহিত চলিয়া গেল ও তাহার বাড়িতে রাত দশটা অবধি কাটাইয়া বাড়ি ফিরিল । আসিয়: দেখিল খাহবার ঘরে ছোট টেবিলটির উপর তাহার খাবার ঢাকা, ইন্দিরা শুইয়া পড়িয়াছে । এরূপ ব্যবস্থ৷ যদিও সম্পূর্ণ নূতন তথাপি নিঃশৰে খাইয়া কেশব গিয়: শুইয়া পড়িল । - তাহার পরদিন আপিস হইতে বাহির হইয়া কেশব ভাবিতে ভাবিতে আসিল যে, ইন্দিরার রাগটা শাস্ত করা প্রয়োজন, কিন্তু কি উপায়ে শান্ত কর: ষায় তাহা ভাবিয়া পাইল না। ঘরের পরদা ঠেলিয়া ভিতরে পা দিয়া ঘরের চেহারা দেখিয়া কেশব অবাক হইয়া গেল। প্রকাও বুদ্ধমূর্ডিটি তাহার কমণ্ডলু ফুলদানী cयाश्वाउि हे७Iागि गश् cकाषाम्न चमूचा श्इब्राप्छन्! ঘরের অতগুলা চেয়ার টেবিল ষে সকালেও বৰ্ত্তমান ছিল, তাহার প্রায় সব কয়টাই কোথায় অন্তরালে অস্তদ্বনি করিয়াছে বোঝা গেল না। শুধু তাছাদের দুই চাংটা অত্যন্ত এলোমেলো ভাবে ঘরের এক কোণে ঠাস । uक छाब्रजाग्न ८षाकां८क cबॉष इम्न छूष शांeघ्नान इहे ब्राझिलैं: