পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক এখানে যোগী শৰে কৰ্ম্মযোগী বুঝাইতেছে। পাতঞ্জল-যোগের কথা পরবর্তী অধ্যায়ে আছে। এই শ্লোকগুলির তাৎপৰ্য্য—অনাসক্ত হইয়া কৰ্ম্ম করিলে এবং আত্মার প্রতি মনোনিবেশ করিলে সংসারে থাকিয়াও সংসারত্যাগী সংন্তাসীর লভ্য স্থখ-দুঃখে অবিচলিত ভাব, সৰ্ব্বভূতে সমদৃষ্টি ও ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। সংস্কাস মার্গের অর্থাৎ কৰ্ম্মত্যাগের কোনও বিশেষ আবশ্বকতা নাই ইহা দেখাইবার জন্ত পরবর্তী শ্লোকসমূহে বলা হইয়াছে যে সৰ্ব্বভূত হিতে রত থাকিয়াও ঋষির ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন, প্রাণায়াম-ক্রিয়াপরায়ণ যতি, মুনিরাও ব্রহ্মলাভ করেন। খিনি আমাকেই যজ্ঞ তপস্য। ইত্যাদির ভোক্তা, সৰ্ব্বলোকের ঈশ্বর ও সৰ্ব্বভূতের হিতসাধক বলিয়া জানেন তিনিই শাস্তি প্রাপ্ত হন” অর্থাৎ যজ্ঞ, তপস্যা, সৰ্ব্বভূতের হিতসাধনে ব্যাপৃত থাকিয়াও তিনি মুক্ত হন। যজ্ঞ, তপস্যা, লোকহিতকর কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকা সংন্যাসীরা অকৰ্ত্তব্য মনে করেন—সে জন্যই এই সকল শ্লোকের অবতারণা । ৫।১৩ শ্লোকে দেহকে নবদ্বার-পুর বলা হইয়াছে। দুই চক্ষু, দুই কৰ্ণ, দুই নাসারন্ধ, মুখ, পায়ু ও উপস্থ এই নয়টি দেহ-রূপ পুরের দ্বার। কঠোপনিষদে ৫১ শ্লোকে দেহকে একাদশ দ্বার পুর বলা হইয়াছে। পাচ কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়, পাচ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও মন এই একাদশ ইন্দ্ৰিয়-জার মন্থয়োর বহির্জগতের সহিত আদান-প্রদানের পথ। দেহকে নগর বা গৃহের সহিত তুলনা অতি প্রাচীন। আশ্চর্ঘ্যের কথা এই যে, স্বপ্নে গৃহ বা নগর দেহের প্রতীক রূপেই দেখা দেয় । ৫১৮ শ্লোকে সমদৃষ্টির উদাহরণে একদিকে বিদ্যাবিনয় সম্পন্ন ব্রাহ্মণ ও অপর দিকে ঘৃণিত চণ্ডাল ও কুকুরের কথা বলা হইয়াছে। বিদ্যাবিনয়সম্পন্ন ব্রাহ্মণ সমাজে সৰ্ব্বাপেক্ষা সম্মানাৰ্ছ ব্যক্তি। কেবল ব্রাহ্মণ-বংশে জন্মিয়৷ যজ্ঞোপবীতধারী হইলেই ব্রাহ্মণ হয় না। গুণকৰ্ম্মম্বারাই লভজে ব্রহ্মনির্বাণমৃষয়: ক্ষীণকল্মষা: | ছিন্নদ্বৈধাৰতাত্মানঃ সৰ্ব্বভূতহিতে রতা: ॥ ২৪ গীতা ৭১ ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণত্ব প্রতিপাদিত হয়। যে ব্রাহ্মণ বিদাসম্পন্ন ও বিনয়সম্পন্ন তিনিই শ্রেষ্ঠ । ‘বিনয়’ শব্দের অর্থ বিদ্যালব্ধ আচারনিষ্ঠ ( discipline ) ৫৷২৫—“যাদ্ধাদের কালুয্য ক্ষয় হইয়াছে অর্থাৎ র্যহাদের পাপাদি দোষ নষ্ট হইয়াছে, যাহাদের মন সংশয়শূন্ত হইয়াছে র্যাহারা আত্মসংযমশীল এরূপ ঋষিগণও সৰ্ব্বভূত হিতে রত থাকিয়া ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন।" 'সৰ্ব্বভূত হিতে রত কথার অর্থ শঙ্কর 'অহিংসাপরায়ণ’ করিয়াছেন। জীবের অনিষ্ট না করাই একমাত্র হিত কৰ্ম্ম নহে। সৰ্ব্বপ্রকার মঙ্গলসাধন ‘হিত’ শব্দের অস্তর্গত। ঋষিরা যজ্ঞাদি অনুষ্ঠানের দ্বারা স্থষ্টিচক্র প্রবর্হিত রাখিতে সাহায্য করেন এ জন্যই তাহাদের সর্বভূত হিতে রত বলা হইয়াছে। তৃতীয় অধ্যায়ে যজ্ঞের ব্যাথ্য দ্রষ্টব্য । ৫২৬-২৭—“কামনা ও ক্রোপ শন্ত সংযতচিত্ত আত্মজ্ঞানী যতিগণ উভয়ত অ-iৈং ইহলোকে ও পরলোকে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন।” ইহলোকেই কি করিয়া ব্ৰহ্মনিৰ্ব্বাণ হয় তাহা বলিতেছেন “বাঙ্গবিষয়ের অনুভূতি রোধ করিয়া ক্রযুগলের মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া নাসার অভ্যন্তরে বিচরণশীল প্রাণ ও অপান বায়ুকে ‘সম’ করিয়া অর্থাং সংযত করিয়া” অর্থাৎ সমাধি অবস্থায় ইহলোকেই ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ হয়। প্রায় সকল ভাষ্যকারই ২৭ শ্লোকের অন্বয় ২৮ গ্লোকের সহিত করিয়াছেন । ২৮ শ্লোকে মুনিদের কথা আছে এবং ২৬ শ্লোকে যতিদের কথা আছে । ২৭ শ্লোকে বfণত প্রাণায়াম সাধনা স্মৃতিদেরই সাধন।। ৪২৯ শ্লোকেও প্রাণায়ামের কথা আছে এবং তাহার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী শ্লোকেই যতিদের কথা বলা হইয়াছে। প্রাণায়াম যতিদেরই বিশিষ্ট সাধনা-পদ্ধতি ছিল বলিয়া মনে হয়। চতুর্থ অধ্যায়ে প্রাণায়ম সম্পর্কে মুনিদের কোন উল্লেখ নাই। পূৰ্ব্ব-প্রকাশিত প্রাণায়ামের আলোচনা দ্রষ্টব্য (প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৯ )। মুনি’ শব্দের ধাতুগত অথ কামক্ৰোধ বিযুক্তানাং যতীনাং যতচেতসাম্। অভিঙে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণং বওঁতে বিদিতাল্পনামূ॥২৬ স্পর্শাল কৃত্বা বহিৰ্ব্বাস্থ্যাংশ্চক্ষুশ্চৈবাস্তরে ক্ৰলোঃ । &वाणाश्राप्नो मरओ कृषी नामांडाखब्रकीब्रिtभी ॥ २१