পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মননশীল ব্যক্তি। মানসিক সাধনাই মুনিদের সাধন । পরের শ্লোকে৪ তাহাই প্রমাণিত হইয়াছে । ৫।১৮—“যে মুনি ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধি সংযত করিয়াছেন, যিনি মেক্ষিপরায়ণ, র্যাহার কামনা, ভয় ও (ङ्गश विशंउ श्हेप्लएझ् उिनि गर्लन श्रृङ अक्शाउद्दे श्रांछिन ।" ৫২৫-২৮ শ্লোকের তাৎপৰ্য্য কেবল যে কৰ্ম্মত্যাগী সংস্থালী মোক্ষলাভের অধিকারী তাহা নহে। মুনি, ঋষি ও যতিগণ কৰ্ম্মযুক্ত সাধনার দ্বারাই ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন। ৬ অধ্যায়ে বলা হইয়াছে যে পাতঞ্জল যোগীও কৰ্ম্মময় সাধনায় মুক্ত হন। ৫২৯—“আমাকেই যজ্ঞ ও তপস্যার ভোক্তারূপে, সৰ্ব্বলোকের মহেশ্বরক্সপে অর্থাৎ সৰ্ব্বলোককে আমিই প্রবর্ধিত করিতেছি, এবং সৰ্ব্বভূতের স্বঙ্গদরূপে অর্থাং যতেলিয় মনোবুদ্ধিমুনিৰ্ব্বোক্ষ পরায়ণ: | বিগতেচ্ছা ভয়ক্ৰোধো য: সদা মুক্ত এল ম: ॥ ২৮ সৰ্ব্বভূতের আমি হিতসাধনে রত আছি জানিলে সাধক শান্তিলাভ করেন।” এই শ্লোকের উদ্দেশ্য এই যে যজ্ঞাদি কর্থের ভোক্ত হইয়াও লোকসমূহের কর্তৃত্ব ও হিতসাধন করিয়াও ভগবান নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বভাবই থাকেন অতএৰ সাধকও ইহা বুঝিয়া যজ্ঞাদি কৰ্ম্মের বন্ধনে পতিত হয় না ; তাহাকে সংস্কাসী হইয়া নিক্রিয় অবস্থা প্রাপ্তির চেষ্টার সৰ্ব্বভূতের মঙ্গলজনক উত্তম কৰ্ম্মসমূহ হইতেও বিরত হইতে হয় না। পরের অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকেই শ্ৰীকৃষ্ণ বলিতেছেন—যিনি নিষ্কামভাবে কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম করেন তিনিই প্রকৃত সংম্ভাণী ও যোগী। যজ্ঞাদি ক্রিয়া বর্জন করিলেই বা নিক্রিয় থাকিলেই সংন্যাসী বা যোগী হয় না। সামাজিক আদর্শ গীতায় সৰ্ব্বত্র উচ্চস্থান পাইয়াছে। ইতি সংন্যাস যোগ নামক পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত । ভোক্তার যজ্ঞতপসাং সৰ্ব্বলোক মহেশ্বরম্। স্বইদং সৰ্ব্বভূতানাং জ্ঞাত্বা মাং শাস্তিমুছতি | ২৯ আচল স্ত্রীপ্রবোধকুমার সান্যাল এক মাস আগে বিবাহ হইয়াছে, যামিনী এই প্রথম স্বামীর ঘর করিতে আসিল । কলিকাতার একটি একান্নবৰ্ত্তী পরিবারে তাহার শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুর-মহাশয় পরলোকে । যামিনীর পরিচয়ের বৈশিষ্ট্য কিছু নাই। পিতা অবসরপ্রাপ্ত সামান্ত কেরানী, নিতান্ত মধ্যবিত্তের মধ্যে সে মানুষ, যৎসামান্ত শিক্ষা এবং নিরানব্বইটি বাঙালীর মেয়ের মতই তাহার চরিত্র। যামিনী বেশ ঘরজোড়া বউ। হেরম্ব স্ত্রীকে পাইয়া খুব খুশী হইল। বিবাহের রাত্রি হইতেই স্ত্রীকে সে সোনার চক্ষে দেখিয়াছে। যামিনীও জাসিয়া হাসিয়া তাহার হাত ধরিল। স্বামী তাহার রূপে-গুণে মুন্দর। আমার কথা? আমার কথা আর বলে। ন দেখছ ত ঘরদোরের অবস্থা ? তোমার আসার আশাতেই ছিলাম । আঃ বাঁচলাম, বাঁচলাম যামিনী, তুমি এলে। যামিনী কহিল,—বাড়িতে এত লোক, তোমার ঘরের দিকে কেউ তাকাত না ? কি হয়ে আছে এসব ? হেরম্ব হাসিয়া বলিল,—এমনই বরাবর, আর কি জান জঞ্জাল জমে মাহুষের চোখের আড়ালে, চুপি চুপি । যামিনী ঘরের ভিতর এদিক-ওদিক তাকাইয়৷ খানিকক্ষণ পায়চারি করিতে লাগিল। এই ঘরে তাহাকে থাকিতে হুইবে, এই তাহার ঘর। হেরম্ব বলিল,—শুধু জঞ্জাল নয় যামিনী, আমি অত্যন্ত অগোছালো। ঘর ত নয় যেন বারোয়ারীতলা ; জিনিষপত্রগুলো যে কেমন করে ঘরের মধ্যে মারকুট