পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

میوه سوه বর্ষণ ক’রেই যার মুক্তি। আমার চিন্তাও হয় তো তাদের মতো কখনো কখনো আকাশে সঞ্চরণ করে, কিন্তু সে যেন শরতের মেঘ, কখনো কখনো দিগদ্ষ্টে করে আনাগোনা —নানা রঙ লাগে তাতে, স্বঘ্যোদয় সুধ্যাস্তকে সে অভিনন্দন করে নান সমারোহে, কিন্তু চাতক যখন বুলে জল দাও তখন সে লঙ্গিত হয়ে শূন্তে মিলিয়ে স্বায়। আমাকে আমার বিধাতা এই ফরমাসই করেচেন, তার বিশ্বোৎসবে শোভাযাত্রায় সাজসজ্জার কাজে লাগব, শানাট বাঙ্গাব, পতাকা দোপাব, কখনো কখনো জগবাস্পও হয় তো বাজাতে পারি, কিন্তু দানদক্ষিণার ভার তার যে-বিভাগে সেখানে আমার অনুষ্কিার। আমার উজ্জল ভৰম দেখে লোকে হঠাৎ অনেক আশা ক’রে আসে, তারপরে যখন ফিরে স্বায় তখন তারা ভাবে আমি কৃপণ, গাল পাড়তে থাকে। আমি কুপণ বলে দিইনে তা নয়, আমার হাতে তহবিল নেই বলে দেওয়া অসম্ভব । যারা দেয় তাদের চারদিকে प्रणषण पंi८क, जलवtजम्न श्रडांप्य त्राशि शृकश कf८छ অকৃতাৰ্থ । ডাকব তাদের কী দিয়ে, খোরাক দেব কোথা থেকে । যে রঙে চোখ ভোলে তাতে তো পেট ভরে না। এই জল্পেই আমার দেশে আমি প্রায় একাই কাটিয়ে দিলুম জীবনের শেষবেল পৰ্য্যন্ত। আমার কাজ আমার হোলো বোঝা। তৰু কৰ্ম্মণোবাধিকারস্তে । একটা কথা বলি তোমার কাছে, সেটা আশ্চৰ্য্য ঠেকে। পাশ্চাত্য দেশে এমন কথা কারে কারে কাছে শুনেছি, আমার বাণীতে আমি কেবল ষে তাদের খুশী করেছি তা নয়, তারা জীবনের অন্ন পেয়েছে তার থেকে, ৰাজাপথের পাখোৰুপে তারা তার থেকে কিছু সংগ্ৰহ করেছে । এ কৰা শুনে মনে হয়েছে আমার রচনার সাধনা পার্থক হোলো। সেই সঙ্গে এও ভেবেছি যেভাষায় দেশের লোককে কিছু পথ্য দিতে পারতুম সে ভাষা এবং উপযুক্ত ভঙ্গ আমার জানা নেই। মুককে ৰাচাল করে এমন শক্তি আছে, আবার বাচালকে মুক করে এমন বাধা আছে। আমার অনেক বাক্য আমার "দেশে মূক্ত হয়ে আছে আমার ৰে-ক্ষমতার অভাবে তার 3. প্রবাসী S99లి উপরে কি রাগ করা চলবে, সে কি আমার ইচ্ছাকৃত ? তুমি অনেকবার আমাকে বলেচ, "তোমার নিজের মতে कथां न दtण श्रांभांtनग्न भ८ङ] क५ वtण उ] श्रण .ाशग्न পাবে।" চেষ্টা করতে গেলে আমার কথাও নষ্ট হোতে, তোমাদের কথাও । অতএব এ যাত্রায় বেশি আশা করব ন। তোমার অন্তর ধে শান্তি যে সাম্বন চায় আমি কেমন ক’রে তা দিতে পারি? মনে বেদনা পাই, রোগী আত্মায়কে দেখে আত্মীয় যেমন বেদন পায়, কিন্তু হাতুড়ে হয়ে ডাক্তারি করব কোন সাহসে ? তাই তোমাকে বলি আমার স্নেং যদি গ্রহণযোগ্য হয় তো গ্রহণ কোরো, কিন্তু শিক্ষা যদি চাও তবে মুক আমি –তোমার নিজের মধ্যেই কল্পনাশক্তি আছে। ষে-গুরুকে ভৌতিক রাজ্য থেকে হারিয়েছ সেই গুরুকেই ভাবের রাজ্যে অমর ক’রে পাৰে, সেইখানেই তোমার শাস্তি। তর্ক করে কি কখনো শাস্তি দেওয়া যায় । ইতি ২৮ কাৰ্ত্তিক ১৩৩৯ ৷ ( & ) ধে অনুভূতির মধ্যে কোনো একদিন তোমার আত্মা মগ্ন হয়েছিল, পরম আনন্দ পেয়েছিল, তার স্মৃতির প্রতি তোমার আশ্রদ্ধা জন্মাতে ইচ্ছাও করিনে। অহঙ্কারের যে-বন্ধনে আমরা নিজের ছোটো গণ্ডীর মধ্যে বন্ধ থেকে ংসারের প্রত্যেক তুচ্ছ জিনিষকে বড়ো করে তুলি, মানুষের স্তুতিনিন্দাকে একান্ত সত্য বলে কল্পনা করি ভার থেকে যা তোমাকে নিষ্কৃতি দিতে পারে তাই তোমার পক্ষে শ্রেয়। অনেক সময় সংসার থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে নিজেকে ভোলাই যে নিষ্কৃতি পেয়েচি । সেই প্রমাদ যেন না ঘটে। সংসারের জাল থেকে মুক্তি পেয়েছি, তার একমাত্র প্রমাণ হতে পারে সংসারেই । বুদ্ধদেব যখন নিৰ্ব্বাণের পথে উপদেশ দিয়েছিলেন তখন তিনি তার সত্যকে নির্দেশ করেছিলেন বিশ্বপ্রেমে । চরম সভ্য যদি থাকেন, সকলকে ব্যাপ্ত করে, তবে তাকে পাবার পন্থা সকলকে ত্যাগ করে নয়। সেই সত্যে যথার্থই অগ্রসর হয়েছি কি-না একদিকে তার প্রমাণ মনের কলুষ কেঁটে যেতে থাকে যদি । আর দিকে প্রমাণ সকলের প্রতি প্ৰেম পূর্ণ হয়ে উঠল কি-না তাই জেনে। কলুৰ কেটে যদি