পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीळ्ळ নুপেন্দ্রকৃষ্ণের ঐতিহাসিক আলোচনায় প্রবৃত্ত হুইবার ইচ্ছা তখন ছিল না। তিনি বলিলেন, “ভাল যখন নম্ব, তখন অনাবগুক হাঙ্গাম করতে যাও কেন ? যা না হ’লে নয়, সেইটুকু করলেই হয় ।” জ্ঞানদা বিরক্ত হইয়া যলিলেন, “কি যে না হ’লে নয়, সে-বিষয়ে তোমার আর আমার মতে মিলবে না। যখন, তখন তা নিয়ে তর্ক করে আর হবে কি ? তর্ক করবার মত শরীরের অবস্থাও আর আমার নেই। বরং মেয়েটাকে কাজে একটু সাহায্য কর গিয়ে । ছেলেমানুষ হাবুডুবু থাচ্ছে একেবারে, কোন জন্মে এ সব ত তাকে করতে হর নি ?” নৃপেজবাবু আপিসের কাপড় ছাড়িয়া ধুতি পাঞ্জাবী পরিয়া বাহির হইয়া চলিলেন । জ্ঞানদা আবার তাহাকে ডাকিয়া বলিলেন, “দেখ সাড়ে চারটায় ওদের আসবার কথা। অস্তুত: সাড়ে তিনটায় যামিনীকে উপরে পাঠিয়ে দেবে, কাপড় পরতে, গা ধুতে। ষাকে দেখতে আসছে, সে-ই যেন তাদের সামনে কালি বুলি মেখে, ভূত সেজে হাজির না হয় । তাহ’লে আমার এত পরিশ্রম সব মাটি হবে। আর দেখ, মাংসের সিঙাড়া তুমি নিজে একটা চেখে দেখবে, পুরট তৈরি হলেই চেখে দেখবে, তাতে যেন একরাশ জুন দিয়ে না বসে । আইসক্রীমটাও দাড়িয়ে থেকে করাতে হবে যেন এক গাদা ভ্যানিলা ঢেলে অখাদ্য না ক’রে রাখে ।” স্ত্রীর কথা শেষ হইবার আগেই নৃপেন্দ্রবাৰু নীচে পৌছিয়া গেলেন । যামিনী তখন ভাড়ারের অালমারী খুলিয়৷ পাচককে ঘি ময়দা, চিনি চা সব মাপিয়া বাহির করিয়া দিতেছে। নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “মা, এই আড়াইটে বেজেছে আমার ঘড়িতে দেখে রাখ। সাড়ে তিনটায় তোমার মা তোমাকে উপরে যেতে বলেছেন, কাপড় পরে তৈরি হবার জন্তে । দেরি যেন না হয়। . আর ষ কাজ বাকি থাকবে উ আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে ষেও, আমি করব।” ঘামিনী বলিল, “আচ্ছা বাবা। সব কাজ প্রায় দুয়ে এসেছে, বেশী বাকি নেই।” कांज ७कब्रकय कब्रिब्रां यक्षगब्र इहैश्च छजिल । छांननांब्र बाङ्क-क्षण toS চোখ পড়িলে সব কিছুর ভিতরেই অসংখ্য খুং বাহির হইয়া পড়িত, কিন্তু সেগুলি অন্ত কাহারও চোখে বিশেষ পড়িল না। নৃপেন্দ্রবাবু স্ত্রীর আদেশমত সিঙাড়ার পুর চাখিয়া দেখা, আইসক্রীমের ভ্যামিলার পধ্যবেক্ষণ করা, সবই করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । ড্রয়িংরুমেও একবার উকি মারিয়া দেখিলেন। কয়েকটি দামী ফুলদানী জ্ঞানদা সচরাচর তুলিয়া রাখিতেন, আঞ্জ সেগুলি বাহির করিতে আদেশ দিয়াছেন, এক সেট বিলাতী মসলিনের বাহারে পরদাও তোলা থাকিত আজি সেগুলিও বাহির হইয়াছে। যামিনী ফুলদানীতে ফুল সাজাইয়া এখানেওখানে রাখিতেছে। পেপ্রবাবু মেয়েকে আবার মনে করাইয়ু দিলেন, “মা সাড়ে তিনটে বাজে যে " যামিনী বলিল, “এই যাচ্ছি বাবা।” শেষ ফুলদানীট। পিয়ানোর মাথার উপর বসাইয়া দিয়া সে তাড়াতাড়ি উপরে চলিয়া গেল । মনটার ভিতর তাহার যেন পাথরের মত ভার চাপিয়া আছে। তৰু তাহাকে সাঞ্জিতে হইবে, হাসিয়া কথা যলিতে হইবে । না হইলে রুগ্ন। অন্ধস্থা মাতার অমঙ্গল ডাকিয়া আনা হইবে । তিনি যামিনীর বুকে শেলের আঘাত করিতে পশ্চাৎপদ হন নাই, কিন্তু যামিনী ত প্রতিশোধ তুলিবার কথা স্বপ্নেও ভাবিতে পারে না । তাহার সবচেয়ে ভালবাসার নিধি যে ছিল, অকরুণ ভাগ্য তাহাকে ত কঠিন হাতে দূরে সরাইয়া দিল, যামিনীর জগৎ হইতে সে জাজ লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। কিন্তু ইহাতে যামিনীর মন আরও যেন দুৰ্ব্বল, আরও অক্ষম হইয়া পড়িয়াছে। মনের বল অতি সামান্তই তাহার ছিল, সেটুকুও যেন সে এখন ভারাইয়া ফেলিয়াছে। প্রচণ্ড আঘাতে তাহার হৃদয় মন এত বিকল যে আরও আঘাত পাইবার সম্ভাবনামাত্রেই সে যেন শিহরিয়া ওঠে । জ্ঞানদা পাশের ঘর হইতে ডাকিয়া বলিলেন, “কই কি কাপড় বার করলি, দেখি একবার ।” ঘামিনী অগত্যা কাপড় জামা উঠাইয়া লইয়া মাকে দেখাইতে আসিল । জ্ঞানদা বলিলেন, “এ কি ? স্বতী