পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরিন্দমের মৃত্যু শ্ৰীঅচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত মরবে, তা ঠিক ; একদিন-না-একদিন মরবেই—কিন্তু কবে মরবে, তার চেয়ে কিলে কি ক’রে মরবে অরিন্দমের কাছে তাই হচ্ছে বড় রহস্ত। এখন ৰয়েল তার প্রায় চল্লিশের কাছে, দেখতে তাগড়া জোয়ান, টনকো শরীরে স্বাস্থ্যের মদির উছলে-উছলে পড়ছে। কয়লাঘাটা ট্রিটে ই-ৰিআর-এর য়্যাকাউন্ট আপিলে সে কাজ করে, একজনের পক্ষে মাইনে তার যথেষ্ট্র, সবটা সে মুঠো ক’রে ধ’রে রাখতে পারে না, আঙলের ফাক দিয়ে দিকে-দিকে ছিটুকে পড়তে থাকে, আর বেশীর ভাগ টাকা তার খরচ হয় এই শরীরচর্চায়, শরীরের ইনভর অপচয়ের পথে নয়। যেমন রক্ত দিয়ে লে টাক। রোজগার করে, সেই টাকাও লে তেমনি ব্যয় ক’রে এসেছে এই রক্তের পুষ্টতে, রক্তের পরিপূরণে। যত ব্যায়ামের সরঞ্জাম, পুষ্টিকর আহার্ধ্যের পারিপাট্য, পরিচ্ছন্নতার নানাজাতীয় প্রসাধন। শরীরের আধারে জীবনকে সলমারোহে বহন করবারই তার বিলাসিভা। লে-বিলাল তার পোষাকে পৰ্যবলিত নয়, সেবিলাস তার মূৰ্ত্তিমান নীরোগ দেহ, বলদীপ্ত দুঃসহ স্বাস্থ্য, যখন যা খুশী করতে পারার শারীরিক স্বাধীনতা। মাংসপেশীকে দৃঢ়, পরিপাকশক্তিকে তীক্ষু ও ক্লাম্ভ হবার প্রবণতাকে স্বল্প করাই তার সাধনা। আর পৃথিবীতে এক, নির্ভার-নির্ভাবনায় থাকাই ছিল তার খেয়াল । থাকে সে খোলা হাওয়ার রোদালো বাড়িতে, আহারেবিহারে পরিমিতি তার ধ্রুবতারা ; ঘড়ি ধ'রে ক্লটিন বেঁধে গে পথ চলে। কাজ বল, নেশা বল, সব তার এই মৰ্ত্ত্য মরদেহ । গুণীর হাতে যেমন বীণা, অরিন্দমের হাতে তার এই শীর। পরিপার্থের সমস্ত পঙ্কিলভ থেকে সে দূরে থাকে, হাওয়ায় বা ধূলোয় কোথা ধেৰুে एच ७ चणका ८कान् बौबां५ फेफ़ चाप्ग, छांद्र चरत्र সমস্ত রোমকুপে তার খাড়া পাহার। তার বিশালায়ত শরীরে দ্বর্গের সে দুভেধ্যতা এনেছে—এই তার একমাত্র অহঙ্কার। কোনদিন কৰে তার কি অস্কখ করেছিল অরিন্দ্ৰম মনে করতে পারে না ; যৌবনে শরীর সম্বন্ধে তার এই সজ্ঞান উপলব্ধির পর থেকে কেননি তার এক ফোট ঘুমের ব্যাঘাত হয় নি, দাতের মাড়ি ফেলে নি বা গলা খুস্থুল করে নি। নিজের রক্ষণাবেক্ষণে চলে এসে অবধি স্বাস্থ্য তার আগাগোড়া মন্থণ ও4নটোল ; শীড বা বর্ষার এতটুকু আঁচড়ও কোথাও লেগে নেই। জামার তলায় প্রায় সে প্রচ্ছন্ন হারকিউলিস, কিন্তু তাই বলে মাসূল ফুলিয়ে রড বেঁকিয়ে ডিগবাজি খেয়ে সে তার বিজ্ঞাপন দিতে চায় না; লে বে প্রচুর বেঁচে আছে এই কথাটা নিজের কাছে নীরবে জাহির ক’রেই লে খুলী। অন্ধকারে স্বটির এই বিরাট শোভাযাত্রায়, লেও একজন মশালচী, হাতে তার এই জীবনের রঙীনমশাল । কিন্তু হঠাৎ সেদিন এক্সারসাইজ ক'রে ভূেয়ালেতে. বুকের ঘাম মুছতে সে তার আয়নার সামনে এসে দাড়াল। শরীর ক্রমশ আরও তেজীম্বান হ’য়ে উঠছে এই ভাবট মনে দৃঢ় ক'রে আরোপ করবার জন্তে ব্যায়ামের সময় সামনে সে আয়না রাখে ; শরীরের সঙ্গেসঙ্গে মনেরও সক্রিয়তা চাই । মিনিটের কাটার সঙ্গে ঘন্টার কাটার লম্বন্ধে বাধা এই শরীর আর মন-একসঙ্গে দুইয়ের চলমানতায় এই দেহযন্ত্র। কিন্তু সেদিন আয়নার সামনে দাড়িয়ে তার স্ফীত-স্ফার বুকের দিকে চেয়ে হঠাৎ তার মনে হ'ল : কেন কিসের এত আয়োজন ? আঙ্গ ষা ছুৰ্দ্ধধ, কালক্রমে তা জর ও জরায় জীর্ণ, হতশ্ৰী হ’য়ে যাবে। থাকবে না এই স্বাস্থ্যের উচ্ছ্বাস, এই রক্তের উদ্ধামত । চামড়া আসবে রেখায় কুঞ্চিত হয়ে, বয়সের ভারে মেরুদণ্ড পড়বে ভেঙে, তার কঙ্কাল হবে শুকৃনে৷ ब्रानाप्ने थिच्न विश्ध्रोङ्कङ । ७ङ चाइ, ७७ ौद्धि, ७ङ