পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պ8 శ్రిడ్జ్తో এমনি লোকের সঙ্গে মাদের সঙ্গে আলাপ তাদের কাছ থেকে ছাড়াছাড়ি হলেই আর কেউ কাউকে মনে রাখিনে । এই ত নিয়ম ! এই নিয়মটর সহিত যামিনীর যথেষ্টই মতভেদ আছে । সে অন্য কথা পাড়িয়া বলিল, তিনটি চারটি পাস করেছ শুনলাম, কাজকৰ্ম্ম কিছু কর না ? —পাস করলেই কাজ করা যায় না, ছাড়া, কি হবে ? ব:মিনী । তা আবার খানিকক্ষণ চুপচাপ। তারপর হেরম্ব নিজেই কথা মুরু করিল। বলিল, আমার কিছুই হয়ে ওঠে না, যামিনী তুমি সব ক্ষম ক’রে নিও । জীবনে ক ভ-কি ভেবেছিলাম, ভেবেই এলাম চিরদিন, কিন্তু কিছুষ্ট হ’ল না। এই ধরখানার বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমার অসংখt স্বপ্ন চুরমার হয়ে আছে, অগণন নিশ্বাস। কিছুই আমার হয়ে উঠল না। যামিনী চুপ করিয়া রছিল। হেরম্ব তাহার একখানি হাত নিজের হাতের মধ্যে লইয়া কহিল, আচ্ছা যামিনী, তোমার এখনও মন বসেনি, ন ? মেয়েদের মন বোধ হয় সহজে বসে না, কিন্তু একবার বলেই তুমি একেবারে ঘোর সংসারী হয়ে যাবে। ওই যা, তোমার জন্যে একটা ফুলের তেড়ি; আনব ভাবলাম, ভুলেই গেছি । —ফুলের তোড়া কি হবে -যামিনী বলিল । —কেন, বেশ ত। ফুল তুমি ভালবাস না, যামিনী ? —ফুল এনে আর কি হবে ? তা বটে। হেরম্ব চুপ করিয়া রহিল । সম্ভবতঃ কেবলমাত্র ফুল পাইলে এখনকার মেয়েরা আর খুশী হয় না । কিন্তু যামিনীর পক্ষেও কিছু কথা ছিল। যেটুকু আশ। করিয়া সে আসিয়াছিল, সেটুকু তাহার উচ্চাশ নয়। শুধু মাত্র স্বামী পাইয়াই যাহার। আত্মবিশ্বত হয়, ভালবাসা পাইয়াই যাহারা বিহবল হইয় পড়ে যামিনী সে দলের cभाग्न नश् । नाङ्गो झ्हेब्र, श्रृश्बर् श्हेब्रा cरु-नादिप्लु उाशब्र করিবার অধিকার, তাহার সম্বন্ধে সে সম্পূর্ণ সচেতন। অভাবের মধ্যে যে সস্তাব ক্ষুণ্ণ হয় এ কথাটা বুঝিবার শিক্ষা সে সঞ্চয় করিয়া আনিম্নাছিল । S99*> অথচ মেয়েট ভাল। তেজ এবং দপের লেশমাত্র তাহার ভাবভঙ্গীতে নাই। শাস্ত, ভদ্র এবং সংযত প্রকৃতি । ইহার আগে চিঠি-পত্রে ও অল্প কথালাপে সে এমন এক ট আত্ম-পরিচয় দিয়াছে যে, যে-কোনো স্বামী তাহাতে খুশী হইতে পারিড । একটি সহজ প্রেমের কমনীয়তায় ৪ কোমল কারুণ্যে হৃদয়খনি তাহার পরিপূর্ণ। সেখানে কোথাও ভুল বুঝিবার অবকাশ নাই । —যামিনী ? যামিনী কহিল, কি ? —তুমি ত ভাল করে কথা বলচ না ? —তুমিই বল না, আমি ত শুন্‌চি । হেরম্ব কহিল, আমার কথা অন্তি সামান্ত, অত্যপ্ত ব্যক্তিগত তাই অভিরিক্ত নীরস । কিন্তু তোমার ও! নয়, চিঠিতে তোমার ধে মুথরতা দেখেছি, যে উচ্ছ্বাস শু মনের কথা তোমার শুনেছি, যামিনী, এমনি স্নেহ দিয়েই তুমি আমায় সারাজীবন আড়াল করে রেপো । যামিনী এই কয়দিন ধরিয়া দেখিয়া আলিতেছে, এই লোকটির সমস্ত কথাবাৰ্ত্তার ভিতর দিয়া কেমন যেন একটি দৈন্য-দারিদ্র্য ফুটা উঠিভেছিল। কথা বলিতে আসিলেই তাহার কুণ্ঠ, তাহার লজ্জা, মুখের ভিতর হইতে তাহার যেন একজন নিঃসম্বল কাঙাল কথা বলিয়া ಆ: | —সামান্ত স্নেহও আমি পাই নি, যামিনী, ভালবাসা ত দুরেয় কথা। আমার এই আত্মীয়স্বজনদের দেখছ ত ? নিশ্চয় ভাল করেই এদের তুমি দেখেছ! এদের আশ্চৰ্য্য জীবনযাপন,--নিৰ্ব্বিল্প, নিরাপদ, নিশ্চিম্ভ। মানুষের মৃত্যু কখন হয় জান যামিনী, যখন তারা কায়ক্লেশে বঁাচে । যামিনী বলিল, তুমি বুঝি এইসব কথা ভাবে ? —ভাবিনে, মাঝে মাঝে মনে হয় । যামিনী চুপ করিয়া রহিল। এমনি একদল লোকের কথা সে যেন কবে শুনিয়াছিল। সংসার ইহার রচনা করিতে পারে ন, অথচ বিশ্বসংসার লইয়া ইহারা ব্যস্ত । ছন্নছাড়া জীবন লইয়া ইহাদের আনন্দ, স্বশৃঙ্খল ও সহজ জীবনকে ইহার বন্ধন বলিয়। এড়াইয়া চলে। নিজের