পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&छटा কেউ জানে না ; মরতে কেমন লাগে, মরলে পর কি হয়, কিছু হয়-ই বা কি না জীবিতলোকে কোথাও তার নির্দেশ নেই : সেই মৃত্যু সে জানবে, প্রত্যক্ষ করে জানবে, পরিপূর্ণ ক’রে জানবে—শ্ৰুতিতে নয়, স্মৃতিতে নয়, জাজ্জল্যমান দর্শনে। মরতে কেমন লাগে সে-কথা আর কাউকে শিখিয়ে দিতে হবে না। মৃত্যুর সেই তীক্ষাগ্র মুহূৰ্ত্তটিতে দেহের বন্ধন ছেড়ে প্রাণের সেই সবেগে বিছিন্ন হ'য়ে যাওয়ায় যে কি উন্মাদনা তার স্বাদ সে-ও একদিন পাবে : মরবার পর সেই অকুল অন্ধকারের রূপ সে-ও একদিন দেখবে, সে-ও আর তা বর্ণনা করতে পারবে না। তারপর মরবার আগে শরীরের সেই নিফল কাকুতি, সেই দুৰ্ব্বিষহ যন্ত্রণা—তারও হাত থেকে তার রেহাই নেই। সে না-জানি কি ভয়াবহ, কণ্ঠনালীর ওপর মৃত্যুর সেই নিষ্ঠর নিষ্পেষণ না-জানি কি সাঙ্ঘাতিক । 'না' বললে চলবে না, তাকেও সেই অগ্নিকুণ্ডে ঝাপ দিতে হবে - মৃত্যু তাকে জোর করে ইচ্চার বিরুদ্ধে সেই অগ্নিকুণ্ডে টেনে নিয়ে যাবে, কোন যুক্তি কোন কাকুতিই সে শুনবে না। ভয়ে অরিন্দমের সমস্ত শরীর কাঠ হ’য়ে গেল। সে কি ভয়ঙ্কর সভ্য, কি অপ্রতিরোধ্য অভিজ্ঞতা ! থাকুক তখন আকাশ লাল, সমুদ্র সবুজ, আর পুথিবী হলদে,—কোথাও কোনো সাম্বন নেই : থাকুক বন্ধুর স্নেহ মার, শোক, প্রিয়ার কবিতা—কিছুরই কোনো দাম নেই, সে মরল,—এই দেহ তার ছাই হ’য়ে গেল-তারপরে তার কি যায়-আসে । কিন্তু তা ভো মরবার পর ; মরবার সময়ে তো সে একেবারে C T1 || - অরিন্দমের ভয় করতে লাগল। কি ক’রে না-জানি সে মরবে ! বাঙালী হ’য়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ষে সে মরবে না তা সে জানে : সে-মৃত্যুতে দেশপ্রেমের যত বড়ই প্রেরণা থাক না কেন, সে বড় ভীষণ স্বত্যু ! তেমন মরার ছ-একটা ছবি সে ৰায়স্কোপের পর্দায় দেখেছে : উঃ, চোখ সে খুলে রাখতে পারে নি। শক্ৰ-সীমানার অরিন্দ্রমের স্বত্যু પ્નર ক্ষুধার তাড়নায় নিজের নাড়িজুড়িই নিজের মুখে পুরছে—সে-কথা ভাবতে গেলেও তার সারা শরীরে কোটি-কোটি কাটা দিয়ে ওঠে। আর একেই বলে দেশের নামে আত্মবলি। না, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই, তেমনি, ফাসিকাঠেও সে ঝুলৰে না। একমাত্র খুন করলেই ফঁাসি হয়, তা-ও যে-খুন বড় ক’রে তোড়জোড় ক'রে, নাছোড়বান্দ হ’য়ে। খুন করবার পক্ষে এ-কাজ ষে যথেষ্ট বা অবস্থাহুসারে এতে যে খুন সম্ভব তা সম্পূর্ণ জেনে। অরিন্দম জানে তেমন কঠিন কাজ তার দ্বারা সম্ভব হবে না—তার মাঝে সেই বৰ্ব্বর, বস্ত উৎসাহ নেই। পুরুষায়ক্রমে রক্তে সে ক্রিমিয়ালিটির কোনো বাজ পায় নি ; ঐ মৃত্যুটাও সে তালিকা থেকে জনায়াসে বাদ দিতে পারে। কিন্তু তাই ব’লে তার নিজের খুন হ’তে বাধা আছে নাকি? কে জানে, কোন শক্রতার ওজুহাতে কে একদিন পেছন থেকে তার ঘাড়ে কোপ বসিয়ে দিলে । * ঘাড় ফেরাবার সে সময় পেলে না। ভয়ে অরিদমের মেরুদণ্ডে সিবু সি ক’রে একটা কাপুনি উঠে গেল । না, ভয় নেই, ভদ্রসমাজে সচরাচর এতটা আশা করা যায় না ; তা ছাড়া জাম-কাপড়ের বাইরে সে নিতান্ত নিরীহ গোবেচার, পৃথিবীতে শক্রসংখ্যা তার শূন্ত বললেই চলে। এক, বহু বছর আগে কয়েকটা টাকা ধার নিয়ে ফিরিয়ে দিতে তার দেরি হয়েছিল ব’লে বরেন আঙল তুলে খুব শাসিয়েছিল, তা, সেই টাকা স্বদেআসলে কবে সে তাকে শোধ ক’রে দিয়েছে । মরবে সে এমনি—দীর্ঘ দিন রোগে ভূগে, স্তুপীকৃত বয়সের ভারে পদু, চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে—ফিট্‌ফাটু বিছানার ওপর, আত্মীয়পরিবৃত হ’য়ে। সে-মৃত্যু শুনতে সহজ, স্বাভাবিক—মরতে যখন হবেই তখন বয়সের পরিপক্কতার ভারে বৃত্তচু্যত হওয়াই বাঞ্ছনীয়, তবু—তবুও সে মৃত্যু, তবু সে-অবস্থায়ও নিঃশ্বাসের জন্ত বাতাস উঠবে পাথর হয়ে, চোখের পাতায় আসবে অনিশ্চয়তার নিবিড় অন্ধকার । শেষপৰ্য্যস্ত তাকেও সেই নিঃশ্বাসের জঙ্কে আপ্রাণ প্রয়াস তারের বেড়ায় শরীর বিদ্ধ হ’য়ে রয়েছে, গায়ের, করতে হবে—শেষপৰ্য্যন্ত সেই বৃদ্ধাবস্থায়ও তার দেহের উপর পড়ছে গুলির পর গুলি, নাড়িজুড়ি বেরিয়ে এসেছে, তৰু সে প্রাণপণে মুক্ত হবার চেষ্টা করছে, S@@一命 প্রতি আলীম মমতা ! দেহ থেকে প্রাণমূল উৎপাটনের সময় তার সেই সমান অভিজ্ঞতা। কিন্তু বয়সে বুড়ে