পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीछटी এেশীতে তো তার ভারি আসে যায় ! না, ভয় নেই, কলকাতার চৌবাচ্চায় ডুব দেবার ব্যবস্থা নেই, যদিও সাতার সে ভাল জানে, বেরালের মত জলকে সে ভয় করে না। তবুও দেহ দিয়ে যখন মৃত্যুকে আয়ত্ত করতে হচ্ছে তখন জলীয় মৃত্যুতে তা’র সায় নেই, সে যেন আরও নীচে তলিয়ে যাওয়া, উপরে ওঠা নয়। উ:, সে ভয়ানক । না, আগুনের সঙ্গেও তার কারবার নেই। সে "স্মোকৃষ্ণ পৰ্য্যন্ত করে না । চাকরে ষ্টোভ ধরায়, উকুনের সঙ্গে ঠাকুরের সম্পর্ক। একবার আগুনে-পোড়া মৃত্যুও সে দেখেছে, পাশের বাড়িতে। একটি মেয়ে। ছেলের জন্যে দ্বধ গরম করতে গিয়ে আঁচলের এক পাশে আগুন লেগে বার, প্রথমে সে টেরই পায় নি, যখন পেল তখন আগুন দাউ-দাউ ক’রে উঠেছে। শাড়িতেসেমিজে মেয়েটি এত সলজ্জা, নিজের দেহটাকে পৰ্য্যন্ত মুক্ষা করতে পারল না । যে-দেহের জন্যে তার এত লজ্জা, স্বয়ং মৃত্যু এসে তাকে আরও বেশী লজ্জিত করলে । হয়ত আগুনে পুড়েও সে মরবে না। যদি কখনও পোড়ে, মরবার পরেই পুড়বে। সত্যি, কি ক’রে ন+জানি সে মরবে। পৃথিবীতে সমস্ত জিজ্ঞাগার মধ্যে এটাতেই বেশী উত্তেজনা, বেশী কৌতুহল ! মরবার পরে কি আছে বা ন-আছে তা নিয়ে জীবদ্দশায় মাথা ঘামানো একেবারে নিছক পাগলামি, কেন-না নেহাৎই তা মরবার পর ; ঈশ্বর আছে কি নেই, পরজন্ম সভ্য না ভূয়ো, এ-সিদ্ধান্তটা একদিন সকলের পক্ষেই সমান হ’য়ে দাড়াবে, যে ঈশ্বর মানে ও যে ঈশ্বর মানে না—দু-জনের পক্ষেই। কিন্তু কি ক’রে মরবে,—মৃত্যুর এই রীতিটা প্রত্যেকের পক্ষে আলাদা, সেখানে কোনো একটা বিশ্বব্যাপক নিদিষ্ট নিয়ম নেই, বার-ষার মৃত্যু, নিতান্তই তার-তার আপনার জিনিস। অরিদমের মনে হয় সকল প্রশ্নের চাইতে এটাই মহত্তর প্রশ্ন, কেন-না ঈশ্বর আছে কি নেই এই প্রশ্নের চাইতেও এতে অনিশ্চয়তার মাত্রা অনেক, অনেক বেশী। बृङ्कारक cन बन नित्य उच्च क्रङ्ग न, किस्त्र उच्न थछि তার অগাধ শারীরিক আতঙ্ক । এবং মনকে ভাবের অরিদমের মৃত্যু b*లి) জারক রসে আচ্ছন্ন ক’রেই লোকে মৃত্যুকে নিয়ে কবিতা করে । তার শোকটা হয় তাই নিতান্তই একটা তুচ্ছ মানসিক বিলাসিভা। শোক করবার সময়েও শোকার্ভ তার শারীরিক প্রয়োজনকে ভুলতে পারে না, তার ঘুম পায়, থিজে পায়, কখনও বা মুখের স্বপ্ন দেখতে হয়। মৃত্যুর সঙ্গে শরীরটাই একান্ত সম্পর্কিত ব’লে সেটা নিতাস্ত কুৎসিত, সে শরীরকে ক্ষভাক্ত করে, পচায়, দুৰ্গন্ধ করে তোলে। তার এই শরীর | শত বলগাধন করেও মৃত্যুর উপদ্রব থেকে একে রক্ষণ করা যাবে না। বিজ্ঞানের কৌশলে রোগের বীজাণু সে এড়াতে পারে, কিন্তু দুর্ঘটনা ? হয়ত মাথার ওপর তার একদিন ৰাজ ভেঙে পড়ল, ক্লিংবা পায়ের তলায় সাপ মাঞ্চল ছোবল ! মৃত্যু না-জানি তার কাছে কোন মূৰ্ত্তিতে দেখা দেবে— কি ছদ্মবেশে ! হয়ত বা কোনো লুকোচুরির ধার ধারবে না, ভূমিকম্পে বাড়ি পড়বে ট’লে—ভগ্নস্ত পের মধ্যে সেও ধূলায় মিশে গেছে। তা'র পাহাড়ে-জলে শিকারে যাবার বাই নেই, নইলে সে বাঘের মুখে বা হাতীর পায়ে পড়েছে কল্পনা করতে পারত। স্বপ্নে বোবায় ধরা তা’র অভ্যেস নেই, ব্লাড-প্রেসারও তার নমাল, নইলে ভাৰতে পারত সে কোনদিন হঠাৎ আলগোছে হার্ট-ফেল ক’রে গেছে । আজ হোক, কাল হোকৃ, সেই অবশুম্ভাবী মৃত্যু একদিন তারও দুয়ারে এসে ঘা মারবে, কিন্তু সেদিন হয়ত সে আর প্রস্তুত হবার সময়ে পাবে না, দেখবে সামনে সেই বিস্তৃত গ্রাম, সেই নিষ্ঠুর শূন্ততা ! কত তা’র রূপ ও রীতি অরিন্দম কোটি-কোটি মানব-ইতিহাসেও ভা’র কুল পাবে না। সেদিন খবরের কাগজে পড়ল জলজ্যান্ত দুই ভাইকে একটা শকুন এসে পাখার বাড়ি ও পায়ের নখ দিয়ে আঁচড়ে-কামড়ে মেরে রেখে গেল। ছাত থেকে লাফালে কেমন হয় ভাবতে-ভাবতে সত্যি একজন লাফ দিয়ে মাটিভে পড়ে গুড়ো হয়ে গেল। তার বেলায় মৃত্যু কি পথ ছকে রেখেছে কে জানে! ছেদেহকে সে এত ভালবালে তাকে স্বত্যু কেমন ক’রে যে পৰিল করে তুলবে তা’র কোনই আজ ইসারা নেই।