পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

esسb ং প্রবাসী ; S99ళేు সেই আয়নায় সেদিন মুখ দেখার পর থেকে অরিন্দম ধারে-পাশে কেবল মৃত্যুর ছায়া দেখছে। কত দিকে ষে তার জন্‌লা খোল, অসাবধানতার কোন ছিদ্রে ষে সে হঠাৎ হাত বাড়িয়ে দেয় ঠিক কি ! দিনে-রাতে এই প্রশ্নই তাকে পেয়ে বসেছে। স্বাস্থ্যচর্চা ক’রে যতদূর সম্ভব ব্যাধিকে সে দূরে রাখছে বটে, কিন্তু হয়ত হঠাৎ এমন এক দুর্ঘটনায় মরবে যাতে তার স্বাস্থ্যে আর কিছু কুলিয়ে উঠল না। তা’র শরীরে কোনো রোগের উপসর্গ নেই, এ-বিষয়ে হেরিডিটি তার জীবনের জমার ঘরে একটা প্রকাও সম্পত্তি, তার সমস্ত চাল-চলন একান্ত বিজ্ঞানসন্মত, এবং প্রকৃতির হাতে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করাই হচ্ছে নতুন স্বাস্থনীতি। একদিকে যেমন ডিঙ্গুইনফেক্‌টেন্ট ওষুধ, তেমনি আবার খটখটে রোদ আর উড়িয়ে-নেওয়া হাওয়া । তৰু যেখানে যেটুকু অপচয় বা অনিয়ম হয়, তা সে নিজের রক্তের জোরে পরিপূরণ ক’রে নেয়। দাতের ফঁাকে যেমন তার কোন মুহূৰ্ত্তে ক্ষুদ্র খাদ্যকণা থাকে না, তেমনি তার ঘরে-ছুয়ারে নেই এডটুকু একটি ধূলিকা। স্বাস্থ্যের দীপ্তিতে সে বকৃষ্ণক করছে। কিন্তু কি ক’রে যে সত্যি মরবে এই চিন্তায় অরিনামের মন দিনে-দিনে ক্লান্ত হয়ে উঠেছে । সেই শেষ মুহূৰ্ত্ত তার জন্তে কি মূৰ্ত্তিতে প্রতীক্ষা করে আছে তার দুই চোখে আজ-কাল শুধু সেই সন্ধানের তীক্ষতা। বুকে তার যেন কিসের একটা ভার, অর্থহীন অবসাদের ভাব খেন তার মুখে । স্বাকড়ার আগুন যেমন ছেড়েও ছাড়ে না, তেমনি এই চিন্তাটা তার মনের মধ্যে অনবরত ধোয়াচ্ছে। প্রতি পদে যেন সে আর কারও পদ্ধশব্দ শুমছে : প্রতি পদে তার সেই সাতষ্ক, জও মন্থরতা। যেখানে সে যাচ্ছে, সঙ্গে-সঙ্গে সেই অদৃশ্বরূপিণী ছায়, নিঃশাসঞ্চারিণী পদধ্বনি! কখন বে সে ঘোমটা খুলে ফেলে তার নগ্নভা উদঘাটিত ক'রে বসে অরিনামের স্বায়ুতে শিরায় সৰ্ব্বদা সেই গীতাৰ্ত্ত रुिछौशिक । মনের এই অস্বাস্থ্য আস্তে-আস্তে তার শরীরেও সংক্রামিত হ’তে লাগল। আজকাল তার আর ভাল ক’রে খিদে পায় ন, কাট-কাটা ঘুমের মধ্যে সে র্যাংকে ওঠে, তার সমস্ত জীবনীশক্তিকে কুরে-কুরে ঝাজরা আয়নায় নিজের মুখে সে আজকাল যেন মৃত্যুরই প্রতিবিম্ব দেখতে পায়, মুখের মধ্যে কেমন একটা জালার ভাব, রক্তে কেমন একটা নিস্তেজ নিরানন্দ ক্লাস্তি, চোখের পাতায় গভীর করে অবসাদের কালি পড়েছে। মৃত্যুকে সে ভয় করে না, যখন সে একান্ত আসবেই তখন মন থেকে আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে-সঙ্গে ভয় পৰ্য্যন্ত মিলিয়ে গেছে, কিন্তু কবে ও কিসে ষে সে মরবে তার দেহে-মনে প্রতিক্ষণে কেবল এই ভয়ের ভার। প্রেমের মত মৃত্যুকেও সে নিৰ্ব্বাচন করতে পারবে না, কখন যে তার আকস্মিক আবির্ভাব ঘটবে সৰ্ব্বাঙ্গে তার সেই অনিশ্চয়তার আতঙ্ক । এই অনিশ্চয়তার হাত থেকে তার মুক্তি নেই। তার চেহারায় অপ্রভাশিত পরিবর্তন দেখে সবাই তাকে জিগগেস করে : কি হয়েছে ? সত্যি, কি যে তার হয়েছে নিজেই সে কিছু বুঝতে পারেন, কি-একটা আতঙ্ক ক’রে ফেলছে। ব্যায়াম ক’রে শরীরে আপাদমস্তক রক্তের একটা প্রবল উত্তেজনা এনে সে এই কলুষিত অবসাদকে দূর করতে চায়, কিন্তু ব্যায়ামের শেষে আয়নার কাছে এসে দাড়াতেই নিজের মুখ দেখে সে শিউরে ওঠে। শিটে চিমূলে মুখ, শিকারীর লক্ষ্যের সামনে হরিণের ক্ষিপ্র, অসহায়ু ভ্রস্তভা। এক নিমেষে তার সমস্ত দৈচিক উৎসাহ আবার উবে যায়, মনের মধ্যে সেই মুখের ছাপ চন্দ্রের উপর রাহুর কলুষ-স্পর্শের মত লেগে থাকে। তার পর একদিন আয়নায় এমনি মুখ দেখতে গিয়ে অরিনাম দেখল তার জিভের উপর ঠিক মাঝখানে লালমতন গোলাকার একটা স্ফীতি, একটা বিন্দুর মতন চেহারা, কিন্তু কেমন-যেন অস্বাভাবিক রকমের দেখতে । প্রথম ভাবলে জিভের ময়লা থেকে কোনো অসতর্ক মুহূৰ্বে একটা ফুস্কুরি ' উঠে থাকবে : কোনো একটা ডিঙ্গুইনফেকৃটেন্ট মাউথ-ওয়াশ বা গরম গরম ধি-ভাতেই এর বিনাশ। কিন্তু দিনের সঙ্গে-সঙ্গে সেই বিলুট ক্রমশ বেশী করে জায়গা জুড়তে স্বর করেছে, ভিটা কেমন छात्रौं, विवाद श्रङ्ग फेरेश्, जै ७को दिन्यूड cक्धन cबन