পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

web —তা এক কথায় ঠিক কি বলা যায় বলুন। আপনি সম্প্রতি এই ওষুধটা নিয়ে যান না। এত ব্যস্ত কি ! —উীবণ ব্যস্ত। অরিদম ফি-টা রেখে চম্পট দিলে । এতদূর পর্য্যন্ত সে এড়িয়ে এসেছিল, কিন্তু বড় একজন বাঙালী ডাক্তারের কাছে যেতেই তিনি তাকে আটকে ফেললেন। বললেন : শুধু সন্দেহ করে আমি নিশ্চিন্ত হ’তে পারছি না, সেক্শান কেটে নিয়ে একটা মাইক্রস্কোপিকু একৃঙ্গামিনেশান করতে হবে। মান হেসে অরিন্দম বললে : কি দরকার । —:বাং, দরকার নেই ? ডাক্তার অভয় দেওয়ার স্বরে বললেন,-আলি কেস, ভালও হতে পারেন। দাড়ান, খানিকট সেক্শান আমিই কেটে নিচ্ছি। প্যাথলজিষ্টএর রিপোর্ট নিতে হবে। অরিন্দ্ৰম সমস্ত শরীর স্থির কঠিন করে এক মুহূৰ্ত্ত কি ভাবলে । হা, সম্পূর্ণ নিঃসংশয় হওয়াই ভাল। ডাক্তার নাছোড়বান্দা। ভুয়ো সন্দেহের ওপর তার রায় দিতে তিনি কুষ্ঠিত। মন কী : শরীরে-মনে নিশ্চিম্ব, নির্লিপ্ত হওয়া যায় তা হ’লে । —তা হ’লে কাল সকালে আসব। রিপোর্ট তৈরি ছ’বে তো ততক্ষণে ? অরিন্দ্ৰম টাকা গুণতে-গুণতে বললে । —কাল হ’বে না, দু-দিন পরে আসবেন। দুই রাত্রি অরিন্দ্ৰম সমানে যুমুতে পারে নি, কিছু খেতে পারছে না, কথা কেমন তার আড়ষ্ট হ’য়ে আসছে। তবু, কোনো রকমে সেই অন্ধকার সে সাতরে পার হয়ে এল। নিদিষ্ট দিনে ডাক্তায়ের কাছে যখন সে এসে চাঞ্জির হ’ল তখন তাকে আর আগের মানুষ ব’লে চেনাই যায় না। অরিন্দ্ৰম পরিচয় দিলে ডাক্তার বললেন : ও ৷ ই্য, রিপোর্ট পেয়েছি। ক্যানুসার। বহুদূর হতে যেন উত্তর এল ; ধন্যবাদ। ZETF S99ళేు ডাক্তার বললেন,—রেডিয়াম-নিছল। সকাল-সকাল ধরা পড়েছে, সেরে যাবে। ভয় নেই। বন্ধন । —না, ভয় নেই। অরিন্দম বেরিয়ে পড়ল। উন্মত্তের মত রাস্তায় বেরিয়ে এসে সে নানা ফিকিরফনি ক’রে বিয কিনল। তার সমস্ত শরীরে তখন নেশা লেগে গেছে। বাড়ি যখন ফিরল তপন দুপুর : আকাশময় আগুনের শিখা। ঘরে ঢুকে ছোট টিপয়ের ওপর শিশিট রেখে সে গা থেকে জামাটা খুলে ফেললে ; আয়নায় তা’র বিস্তুত বক্ষতট উদ্ভাসিত হ’য়ে উঠল। হাতে তুলে নিল সেই বিধের শিশি। ছিপিট খুলতে যেতে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে কি আবার সে একটু ভাবলে । চেষ্টা করে দেখা যেত, কিন্তু চেষ্টা করবার সহিষ্ণুতা সে সইতে পারবে না। এই তা’র বিধান, এই তার মৃত্যুর সঙ্গে মুখচন্ত্রিকা। প্রকাণ্ড একটা মুর্থতার মত হয়ত দেখাচ্ছে, কিন্তু মূৰ্খতা ছাড়া মৃত্যু আবার কি ! কিন্তু অনেক কিছু বন্দোবস্ত ক'রে যাবার ছিল। সে চলেই যদি গেল, তবে আবার কিসের বন্দোবস্ত ! পৃথিবীতে যা-কিছু হোকৃ না হোকৃ, তাতে তার কি ! কিংবা গ্রামে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে একটা চিঠি ! সে চলে গেলে তার সঙ্গে আর সম্পর্ক কিসের ! কিংবা পুলিসকে ! না, তার এই দেহের জন্তে আর কোন মায়া নেই। শিশির ছিপিটা সে খুলে ফেলল। এই বার—আর এক সেকেণ্ডের মধ্যে তা’র শরীরটা মেঝের ওপর ভেঙে পড়ৰে ৷ ই্য, দেখা যাকৃ। না, সে মরল না, সে নিজেকে মারল ; নিজের हेक्काइ शृङ्गारक cन उॉब्र नब्रश सेनांगौछ e दिणविड আলস্ত থেকে উদ্ধার করে আনল। এ মৃত্যুর জন্তু নয়, এ তার নিজের কীৰ্ত্তি, নিজের মৌলিক রচনা। এতে স্বয়ং মৃত্যু পর্ষান্ত বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে গেছে। অরিন্দ্ৰম এখনকি বুঝছে,কি দেখছে, তা সে-ই বলতে পারে। o