পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՆ S99ఉు অসম্মানিত, ইহারাই তাহার সমস্ত মন ছাইয়া থাকে। রৌদ্র প্রখর হইয়া উঠিলে সে অকারণে পথ ভাঙিয়া বেড়ায় বৃষ্টির দিনে গঙ্গায় ধারে দাড়াইয়া জলে ভিজে, রাজপথের জনসমারোহের একাস্তে বসিয়া সে নিবিষ্ট চিত্তে সংবাদপত্র পড়ে, তারপর যখন ফিরিয়া আসে তখন তাহার ক্লিষ্ট দেহ, অবসন্ন মন, অপরিছন্ন পরিচ্ছদ । তাহাকে দেখিলে বুঝিবার উপায় নাই যে, সে বঁাচিবার মত করিয়া বাচিয়া আছে। কাহারও সহিত তাহার সংঘাত নাই, প্রতিযোগিতা নাই, গা ঘেসাধেসি নাই। উগ্রতা, ঔদ্ধত্য এবং আত্মপ্রচার, ইহারা তাহার জীবনে স্বপ্নের মত। তবু সংসার তাছাকে ছাড়িয়া কথা কঙ্গিল না। উপাজন এবং সংস্থান ইহাদের এড়াইয়া সে যাইবে কোথায় ? মা একদিন একটি স্থখবর লইয়া তাহার দরজায় আসিয়া দাড়াইলেন। বলিলেন, পয়মন্ত আমার ছোটবৌম, স্ত্রী-ভাগো ধন । এইটিই আমি চেয়েছিলাম হেরম্ব । হেরম্ব কহিল, কি মা ? মা বলিলেন, বে-থা ক’রে আর ক'দিন ফাকি দিয়ে বেড়াবি বাবা, তাই ৰৌমাকেই আমি বলতে বলছিলাম— হেরম্ব তাহার মুখের দিকে তাকাইল । তিনি কহিলেন, দেবেন যাচ্ছে বিলেত, দেবেন তোর পিসতুতো ভাইরে ? –S, KT —সে যাচ্ছে ভfর কারবার বেচে দিয়ে। বাইরের লোক আর কেন কিন্‌বে, তোমার বড়ভাইকে দিয়ে আমি আজ টাকা পাঠিয়ে সব ব্যবস্থা করলাম বাবা, তুমি তার জায়গায় বসোগে। —তারপর ঐ —তারপর আর কি ? তোমারই কারবার। টাকাও তোমার ভাগের । হেরন্থের মনে হইল, একটা সামুদ্রিক অষ্টভূজ যেন প্রবল শক্তিতে তাহাকে অাকর্ষণ করিয়া কঠিন আলিঙ্গনে বঁাধিতেছে। ভয়ে তাহার নিঃশ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসিতেছিল। জীবন-সংগ্রাম ? উপার্জন ? মৃত্যু তবে আর কত দূরে ? মাথা ষ্টেট করিয়৷ ক্লিষ্ট কণ্ঠে সে শুধু কহিল, अध्छि1 म ! ম। আশীৰ্ব্বাদ করিয়া চলিয়া গেলেন, এবং সেই আশীৰ্ব্বাদের স্বত্র ধরিয়া যামিনী কাছে আসিয়া বসিল । খুশী মুখে তাহার হাত ধরিয়া কহিল, যাক, আমি বঁাচলাম এতদিনে, সকলের মাঝখানে মুখ দেখানো দিন-দিন আমার কঠিন হয়ে উঠছিল, কত বিদ্ধপ, কত কটাক্ষ, এতদিন পর আজ রাতে আমার ঘুম হবে। তোমার যে এত সহজে স্বমতি হবে আমার তা মনে হয়নি, লক্ষ্মী আমার – বলিয়া সে আনন্দে ও ভালবাসায় হেরম্বর একখান হাতের উপর জোরে একটা চাপ দিল । হেরম্ব কথা বলিল না, শুধু অদ্ভুত হাসি হাসিল। তাহার মুখের দিকে হঠাৎ একবার চাহিয়া একটু একটু করিয়া যামিনীর মুখের হাসি নিবিয়া আসিল । কহিল, ‘এখন হয়ত তোমার খুব কষ্ট হবে, প্রথম-প্রথম কি-না, মন লাগবে না কাজে, কিন্তু একবার অভ্যেস হয়ে গেলে অমন ক’রে তাকিয়ে আছ কেন বল ত ? বলিয়া যামিনী সস্নেহ ও মমতাময় তাহার স্বকোমল হাতখানি তুলিয়: হেরম্বর চোখ ও মুখের উপর বুলাইয়া দিল । পুনরায় কহিল, অমন ক’রে চেয়ে না তুমি, আমার ভেতরে কেমন ক'রে ওঠে । তুমি চুপ ক’রে থেকে, কিন্তু আমন ক’রে হেসে না । হেরম্বর হাতের তলায় মুখ দিয়া যামিনী চুপ করিয়া স্থির হইয়া রহিল। কিন্তু হেরম্ব অকৰ্ম্মণ্য নয়। তাহার হাতে পড়িয়া কেমন করিয়া ষে মোটর-কারখানাটা ফাপিয়া উঠিল, তাহা সে নিজেও বুঝিতে পারিল না। এমনি করিয়া দুই মাস কাটিল। স্নানাহার ত্যাগ করিয়া এই দুই মাস সে চূড়ান্ত ব্যবসায় করিয়া লইল । তারপরে একদা হিসাবনিকাশ করিবার সময় দেখা গেল, কারবার তাহার যেপরিমাণে ফুলিয়া উঠিয়াছে ঠিক সেই পরিমাণেই তাহার ভিতরটা হইয়াছে ফোপরা। সমস্ত খাতাটা খরচে ভরিয়া গিয়াছে জমার দিকটায় শূন্ত । শূন্তই তাহার পুজি। गयाहें दिबिड झहेण, इहेण न ८करुण ८झ्ब्रश निळख ।