পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র বিৰিৰ প্রসঙ্গ-নোবেল প্রাইজ পাইবার আগে রবীন্দ্রনাথের আক্ষর ৮৯৬ । হইয়াছিল, তাহাও নকল করিয়া পাঠাই । তাহাতে মিঃ টমসন নিজের ভ্রম স্বীকার করেন । এই পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ত্তির উৎসব নোবেল প্রাইজ পাইবার পূৰ্ব্বে হইয়াছিল। সম্প্রতি কলিকাতা রিভিউ মাসিক পত্রের ফেব্রুয়ারী ংখ্যায় মিঃ কে সি সেন একটি প্রবন্ধে লিখিয়াছেন – “I)r. Togore was, not much., thought of in his '"$$' ""; ஆஆஆஆஆ..: The Caleusta Rerien, for February 1933, p. 232. তাৎপৰ্য্য। ডক্টর ট্যাগোর নোবেল প্রাইজ পাইবার পূৰ্ব্বে র্তাহার নিজের দেশে তাহার ( কব্যাদিসমূঙ্গ ) সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা ছিল না। স্কুইডেনের ঐ পুরস্কার ঘোষণার পর যখন তাহার ভারতীয় প্রতিবেশীরা তাহাকে সম্মান দেখাইবার জন্ত ত্বরান্বিত হয়, তখন তিনি স্বয়ং তাহাদের ক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । প্রথমে লেখকের নিজের মন্তব্যের প্রতিবাদ করি। রবীন্দ্রনাথ যখন ৫০ বৎসর বয়স অতিক্রম করেন, তাহার কিছু পরে এবং নোবেল প্রাইজ পাইবার অনেক আগে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের উদ্যোগে কলিকাতার টাউন-হুলে তাহাকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয় । বঙ্গীয়-সাহিত্যপরিষং ভবনেও তখন তাহার সম্বৰ্দ্ধনা হয়। এই সম্বৰ্দ্ধনা উপলক্ষ্যে বিচারপতি স্তর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে অনেক পূর্কের এই স্বরচিত গানটি পাঠ করেন 2= উঠ বঙ্গভূমি মাতঃ ঘুমায়ে খেকো না আর । অজ্ঞান তিমিরে ভব সুপ্রভাত হলো হের । উঠেছে নবীন রবি, নব জগতের ছবি, নব বাল্মীকি প্রতিভা, দেখাইতে পুনৰ্ব্বার। হের তাহে প্রাণভরে, স্থখতৃষ্ণা যাবে দূরে, ঘুচিবে মনের শ্রাস্থি, পাবে শান্তি অনিবার। ‘মণিময় ধূলিরাশি, খোজ যাহা দিবানিশি, ওভাবে মজিলে মন, খুজিতে চাবে না আর ॥ কলিকাতা টাউন-হলে কবির যে সম্বন্ধন হয়, ১৩১৮ সালের ফানের প্রবাসী হইতে তাহার বর্ণনার কিয়দংশ নীচে উদ্ধৃত করিতেছি – “বর্তমান বৎসর বৈশাখ মাসে কবি রবীন্দ্রনাথ পঞ্চাশ বৎসর বয়স অতিক্রম করিয়া একান্ন বৎসরে পদার্পণ هو ك-2 وهو করেন। তদুপলক্ষ্যে বোলপুরে তাহার বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকগণ সবান্ধবে তাহার জন্মোৎসব করেন এবং তাহাকে প্রীতি ও ভক্তির অঞ্জলি অর্পণ করেন। হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ সম্পদের এমন আদানপ্রদান আমরা কখনও দেখি নাই । তৎপরে গত ১৪ই মাধ কলিকাতা টাউন-হলে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির এক সভায় কবির সম্বন্ধন হয়। টাউনহলে এই উপলক্ষ্যে এরূপ জনতা হইয়াছিল, যে, যাহার অল্পমাত্র বিলম্বে গিয়াছিলেন, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ প্রবেশ করিতে না পারিয়া বাহিরে দাড়াইয়া ছিলেন, কিম্বা ফিরিয়া আসিয়াছিলেন। সভাস্থলে অfবtলবুদ্ধবনিতা সৰ্ব্বশ্রেণীর লোক উপস্থিত ছিলেন। সাধুতা ও উন্নত চরিত্রের জন্ম যাহার স্থপরিচিত, যাহার। জ্ঞানে ধৰ্ম্মে উন্নত, ইহার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, যাহারা সাহিত্যক্ষেত্রে যশস্বী, যাহার চিত্রে সঙ্গীতে বাণীর বর লাভ করিয়াছেন, যাহারা অধ্যয়ন অধ্যাপনা ও জ্ঞানাতুশীলনে মিরত, র্যাঙ্গার ব্রাহ্মণের প্রাচীন সংস্কৃত বিদ্যার প্রদীপ এখনও নিবিতে দেন নাই, র্যাহার ব্যবহারাজীবের কার্ষ্যে খ্যাতি লাভ করিয়াছেন, যাহার রাজনীতিকুশল, যাহার বিচারাসন অলঙ্কত করিয়াছেন, যাহারা শিল্পবাণিজ্যে বঙ্গে নবযুগের প্রবর্তক, ধাহারা আভিজাত্যে ও ঐশ্বধো বঙ্গে অগ্রণা, উiহাদের স্ব-স্ব শ্রেণীর প্রভিমিধিকল্প বহু কুন্তী পুরুষ ও মহিলা সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গমাতার কল্পগণও কবিকে প্রতিভক্তিকৃতজ্ঞতাপ্রদর্শনে পশ্চাৎপদ হন নাই । জাতীয় কবির সম্বৰ্দ্ধনা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানেরষ্ট মন্ত পবিত্র। এই পবিত্র অনুষ্ঠানে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যায় যোগ দিয়াছিলেন বঙ্গের যুবকগণ । তাহাদের উৎসাহদীগু. মুখই হলের সর্বত্রই দৃষ্ট হইতেছিল।” “টাউন-হুলের সভা ভিন্ন আরও একদিন বঙ্গীয়-সাহিত্যপরিষদের ছাত্রসভ্যগণ, এবং একদিন সম্বৰ্দ্ধনা কমিটির সভ্যগণ সান্ধা সম্মিঙ্গনে রবীন্দ্রনাথকে প্রতিশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিয়াছিলেন ।” 喻 রবীন্দ্রনাথের সম্বৰ্দ্ধনা উপলক্ষ্যে চৌরঙ্গীর ফোটেগ্রাফার হপ সিং এও কোম্পানী “জগৎকবি-সভা’র