পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র বিবিধ প্রসঙ্গ—মুভাষচন্দ্র কি মুক্তি পান মাই ? সরকারী স্কুল-কলেজ চালাইবার প্রয়োজন নাই। সেগুলিকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত কমিটির হাতে দিয়া উৰুত্ত টাকা সব প্রতিষ্ঠানে সমান অনুপাতে বাটিয়া দিলে শিক্ষার উংকৃষ্ট হুর ব্যবস্থ হয়, এবং যে-সকল প্রতিষ্ঠান অর্থের অভাবে এখন যথেষ্ট উন্নতি করিতে পারিভেছে না, তৎসমুদ্বয়ের সমুচিত উন্নতি হয়। গত মাসে ফলিকাতার আলবার্ট হলে নিখিলবঙ্গীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদিগের সমিতির উদ্যোগে আহুত এক সভায় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে কয়েক জন প্রিন্সিপ্যাল ও অধ্যাপক এই প্রশ্নের আলোচনা করেন —যথা প্রিন্সিপ্যাল পি জি ব্রিজ, প্রিন্সিপাল জ্ঞান-এন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিন্সিপ্যাল রজনীকান্ত গুহ, ইত্যাদি । সব কলেজকে স্বাধ্য অম্বুপাতে টাকা বাটিয়া দিলে মোটের উপর বঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষতি হইবে না, তাহা আমি বিশ্বাস করি । সরকারী কলেজের অধ্যাপকের গড়ে বেসরকারী কলেঞ্জের অধ্যাপকদের চেয়ে ভাল অধ্যাপন করেন, এরূপ মনে করিবার কারণ নাই। কিন্তু আমি সভাস্থলে দুট দিকে আশঙ্কা প্রকাশ করি । একটি এই, যে, সরকারী কলেজগুলিকে বেসরকারী করিয়া দিলে বা কোন কোনটিকে উঠাইয়া দিলে যে-টাকা বাচিবে, ভাহার সমস্তটা উচ্চ শিক্ষার জন্য বায়িত না হইতে পারে । এই আর্থিক অনটনের দিনে গবন্মেণ্ট তাহ ব্যয়সংক্ষেপ বfলয়। আর ৫োন কাজে না লাগ:ক্টতে পারেন। কিংবা তাহার প্রভূ ত অংশ রাজনৈতিক আন্দোলক প্রভৃতির শিক্ষার জন্ত পুলিস ও জেল বিভাগে বায়ু করিতে পারেন—বাস্তবিক ইহাও ত এক প্রকার উচ্চতম “শিক্ষা” । বাকী অংশ কতক মুসলমানদের শিক্ষার জন্য এবং যৎকিঞ্চিং সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার জন্য ব্যয়িড হইতে পারে। আমার দ্বিতীয় আশঙ্কুর কথা বলিতে’ছ । সরকারী কলেজ-সকলের শিক্ষকদের চেয়ে বেসরকারী কলেজের শিক্ষকদের একটু স্বাধীনতা আছে। শেষোক্ত ব্যক্তিরা স্পষ্ট রাজনৈতিক এবং পরোক্ষভাবে নৈতিক বিষয়ে নির্লিপ্ত ও নিৰ্ব্বাক থাকিতে বাধ্য নহেন । তাঁহাদের কলেজ-সকলকে গবদ্মেন্ট উৰজ্ঞ টাকার কিয়দংশ নিয়মিওরুপে প্রতি বৎসর দিতে অঙ্গীকার করি। ধদি এই স ত্ত আবদ্ধ করিতে চান, যে, তাছারা র: - নৈতিক ও আধা-রাজনৈতিক বিষয়সমূহ সম্বন্ধে সরকারী চাকবোদের মত নিলিপ ও নির্ণবাক থাকিবেন, তাহা হইলে কি বেসরকারা কলেজওয়ালারা সেই সষ্ট্রে সন্মতি দিবেন ? বৰ্ত্তমানে তাহাদের যেটুকু স্বাধীনতা আছে, তাহার fক কোনই মূল্য নাই ? স্থ ভাষচন্দ্র কি মুক্তি পান নাই ? ভারত-সরকারের পক্ষ হইতে লিখিত একখানি চিঠিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছিল, যে, স্ব ভাষবাবু যদি চিকিৎসার্থ নিজ ব্যয়ে ইউরোপে ধাক্ট বার বন্দোবস্ত কfরতে পারেন, তাহা হইলে গবন্মেষ্ট তfথাকে তাহা করিতে অল্পমতি দিবেন এবং ৩ নং রেগুলেণ্ডন অগুসারে তাহাকে বন্দী রাখিবার স্থ৫ম প্রভাiহার করা হইবে । কিন্তু আজি ২৭শে ফাল্গুন তারিথের দৈনিক লিব৷টিতে প্রকাশিত স্ব ভাষব বুধ চিঠি হইতে দেখা যাইতেছে, fভfন এখনও এই মুক্তিপত্র পান নাই । BYBT BS BBSK EggS YBLSSSBSDJJ KBB હ1ામના ક કરન છ મર્ફિલાનું યજમtક નાર્ક I બનતા થઇ কোন কোন লোককে ৪ ইউরোপের সঞ্চগ দেশে যাইবার অgমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু স্ব ভাষবাবু তাহার বর্তমান স্বাস্থ্যে জামেলাভে ও ইংলণ্ডে রাজনৈতিক আন্দোপন কfরতে যাইবেন, মনে করা অসঙ্গত । চিকিৎসার জগুই হয়ত এই উভয় দেশে বা তাহার কোনটিঙে উfহার যাওয়া আবগুঞ্চ ইষ্টতে পারে। গুপ্তির, তাগর রোগমুক্তর জঙ্ক স্বাচ্চন্দ্যের অল্প ভূfত আবগুক । সেই কারণে তাহাকে অনবগক সর্বববিধ বাধাবিঘ্ন হইতে মুক্ত করা উচিত। তিনি থেথানেই ঘন বা থাকুন, ব্রিটিশ গণ্ডষ্মেন্টের চরেরা তাহার উপর নজর রাখিবেঙ্গ । ইহা ইংলণ্ডে ত খুবই সোজা। এই সব কারণে র্তাহার ইংলণ্ড ও জামেনী ধাওয়ার নিষেধ প্রত্যাহৃত হওয়া উচিত। ঠ ছাড়া, তাহাকে ষে