পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক ব’লেই নিজেদের কোনও কথায় বা ব্যবহারে এ আশঙ্কাকে তার প্রকাশ হতে দিচ্ছেন না ? তুমি বলবে, ক্লাবের যারা মেম্বার তারা সকলেই তাদের পরিচিত ও বন্ধু। কিন্তু পরিচিত মানুষগুলিও ত মানুষ, ভুল তারাও ত করতে পারে?” বিমান এককোণে বসিয়। একটা পেন্সিল স্কেচের উপর রবার ঘষিতেছিল, ময়লা কাগজের গুড়াগুলিকে ফু দিয়া বাড়িতে ঝাড়িতে বলিয়াছিল, “ভুল করবারও তার একটা ক্ষেত্র পাব । হয়ত একশবার ভুল করবে, একবার করবে না, সেই একবারকে নিয়েই স্বভদ্রের ক্লাব কর। সার্থক হবে ।” অজয় বলিয়াছিল, “সুভদ্রের ক্লাব করা সার্থক হবে না এমন কথা আমি বলিনি, কিন্তু দেখতে হবে সেজন্তে এমন কোনো মূল্য তাকে দিতে হবে কিনা যা সেই সার্থকতার তুলনায়ও অত্যন্ত বেশী। তারপর এও দেখতে হবে সে-মূল্য স্বভদ্রের হয়ে আর কাউকে দিতে হবে কিনা ।” স্বভত্র বলিয়াছিল, “তুমি ভয়ের কথাগুলি খুব বেশী বাড়িয়ে ভাবছ অজয় । আমি যদি বলি, সব বিষয়ে ঠিক এইরকম অতিভয়ই আমাদের দেশকে, সমাজকে, এমনকি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যক্তিত্বকে পর্য্যস্ত দেহুমনে পঙ্গু ক’রে রেখেছে, তাহলে তুমি রাগ করবে । কিন্তু আসলে যে-ধরণের কুৎসিত ভয় থেকে পৃথিবীতে অবরোধ-প্রথার স্বষ্টি, তার সঙ্গে তোমার এই-সমস্ত ভয়ের বিশেষ কিছু তফাৎই নেই।” অজয় মনে মনে হারিয়া গিয়া খুশীই হইতেছিল, তথাপি তর্ক না থামাইয়া বলিয়াছিল, “বেশ, তাই যদি হয়, একেবারে নির্ভয় হয়েই কাজের আসরে নামো। গৃহ, অন্তঃপুর, এসমস্ত সঙ্কীর্ণতাকে ভুলে গিয়ে একেবারে বাইরের পৃথিবীতে, মুক্ত আকাশের নীচে, পরিপূর্ণ বন্ধনহীনতার মধ্যে মেয়েদের ডাক দাও । সেখানে অঘটন ঘদি কিছু ঘটে, তার জবাবদিহি একমাত্র বিধাতার কাছে করলেই চলবে, ধিনি এই পৃথিবীটাকে আবরণীন ক’রে স্বষ্টি করেছেন।” স্বভত্র বলিয়াছিল, “গৃহ মানেই বন্ধন নয়। অন্তঃপুরে SS শৃঙ্খল لاسوا আমার কোনে। আপত্তি নেই, যদি ভার উদারতার মধ্যে সমস্ত বিশ্বের স্থান ক'রে দিতে পfরে। " "সেট কি ভাবাবেগের বিশ্ব ? কেবলমাত্র কল্পনার ?” "ন, সত্যিকারের । ধi-কিছু নিয়ে আমাদের এই বাইরেকার সংসার তার সুধ । এমন কি, রাজনৈতিক সভ এবং ফুটবল খেলার মাঠ পধ্যস্থ ।” “ধবৃ:ব ?" "ধরবে না, এইটেই আমাদের কল্পনা । তার কারণ, আমরা ধরে এবং ধাইরে একট। ঐ কাস্তিক বিরোধ চিস্ত। করি এবং সেটা আগাগোড় আমাদের কল্পনা ছাড়া আর दिष्ट्र नभं ।” অঞ্জয়ের ইহার পর আর তর্ক করিতে ভাল লাগিতেfছল না । এক চক্ষণ নীরবে তাই র দিকে চাহিয়া থাকিয়া সুভদ্র আবার বৰ্পিয়াছিল, “দেখ অজয়, তোমার মনটা নিশ্চয় আছ খুব স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তুমি আজ কেবলই জবাবদিহির কথা ভাবছ, যেন কে সেট। করখে, আর কPর কাছে করবে সেইটেই আসল কথা, অধটম যেট। ধঢ়ল সেট কিছু নয় । আমি এই ক'টি কথা জানি, বাংলার ছেলেমেয়েদের মিলতে হবে, যতটা সম্ভব তাদের পরিচিভ অভ্যস্ত জগতের মধ্যে এই মিলনকে ঘটাতে চেষ্টা কবৃত্তে হবে, সতর্কতার সঙ্গে সব অঘটন-সম্ভাবনাকে পাচিয়ে চলতে হবে । আমি জানি, প্রিয়দাদের অসুবিধ। ও দায়িত্ব খুব বেশী । আমার সব-চেয়ে সঙ্কোচ বোধ হয়, যখন দেখতে পাই, নিজেদের অন্ত-সমস্ত প্রয়োজনকে অগ্রাহ করেও ক্লাবের দিনে ঠিক সময়টিতে তাদের এসে বস্তে হয়। আর, সকলের ক্লাবে আসা-না-আসাট। তাদের নিজ নিজ খুশীর ওপর নির্ভর করে, একমাত্র এদের করে না। ত৷ বেশ ত, না-হয় করেই না। তাদের কাছ থেকে এই স্বাৰ্থভ্যাগের মূল্য আমি নিয়েষ্টছি। আমি যেটা বৰ্বতে চাচ্ছি সেটাকে একটুও ছোট কাজ ব’লে আমি মনে করি না, কাজেই এট; বিশ্বাসই করি যে, এজন্যে অন্ততঃ কতকগুলি মানুষের স্বাৰ্থত্যাগ প্রথমে প্রয়োজনই হবে। প্রিয়দাদের কাছ থেকে এ স্বার্থত্যাগের মূল্য আমি যদি না নেব তবে কার কাছ থেকে নেব ? আর, পাবই