S)90ళు সেই সকল ভোজ্য বস্তু দ্বার। পরে ব্রাহ্মণ ভোজন হইত। রাজ সেবার আসলে বসিয়া, সোনার অলঙ্কার পরিয়া, দুইথালি উত্তরীয় গ্রহণ করিয়া বৈষ্ণবমতে আচমন করিতেন। তাহার পর সামস্কিাৰ্য্যস্থাপন, দ্বারদেবতা ও গুরুপরম্পরকে নমস্কার করিয়া ভূতশুদ্ধি করিতেন। পরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিয়৷ ভিতর ও বাহিরে সংহারমাতৃকাস্কাস করিতেন। পরে আটত্রিণ ও পঞ্চাশ কলা কেশবাদিমাতৃক, শ্ৰীকণ্ঠ, কেশব, কীৰ্ত্তি প্রভৃতি স্বাস করিয়া প্রাণায়াম করিতেন। তার পর পীঠমন্ত্র, খাদিমন্ত্র পড়িয়া ও সৰ্ব্বাঙ্গে ছাপা দিয়া 'মুদ্রাক্কচিতমূৰ্ত্তিপঞ্জ কিরীটেক্সিয়ব্যাপকস্তাপে ধাতু। বিশেষাৰ্য্যস্থাপন করিয়া জলের ভিতর জপ আরস্তু করিতেন ।... ১৭৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরাজরা একরকম বাঙ্গালার মালিক ইইয়া উঠিলেন । সে সময়ের কৃষ্ণনগরের রাজ ইংরাজদে একজন প্রধাণ সহায় । বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কণঃ কৃষ্ণচন্দ্ৰেঃ ৰঙাপণ্ডিত । সুতরাং বাণেশ্ব ও ইংরাজদের বন্ধু হইয়া দাড়াইলেন। পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরাজরা দেশের কৰ্ত্ত হইলেন।...১৭৭২ অব্দে ওয়ারেন হেষ্টিং গবর্ণর হইয়া আদিয়া বলিলেন,—আমি স্থাওয়ান হইয়া দাড়াইতে চাই। হতরাং নায়েব দেওয়ানদের চাকী গেল। কোম্পানী দেওয়ানী লইলেন। কিন্তু দেওয়ানী লইলে দেওয়ানী মোকদম ত করিতে ইষ্টবে। মুসলমানদের দেওয়ানী আইন ছিল, সেই মতে কাজ চলিতে লাগিল। হিন্দুদের বেলায় কি হইবে? দেওয়ান মোকদ্দমার ব্যাপারটা বুঝিয়া লইতেন, তাহার পর আইন বা ধৰ্ম্ম কি জানিবার জন্য ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের নিকট পাঠাইয়া দিতেন। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের প্রশ্ন পাইয় তাহীর উত্তর লিথিয় দিতেন ও ভজন্তু তেলবট পাইতেন। মুসলমান আমলে এই ভাবেই দেওয়ানী চলিয়া আদিত। ' হেষ্টিংস উহ। পছন্দ করিলেন না। তিনি বলিলেন,—কোড চাই, সংহিত চাই । তখন ইংরাজদের মধ্যে কেহই সংস্কৃত জানেন না ; মুসলমানদের মধ্যে অতি অল্প লোকে জানে। সুতরাং বাঙ্গালী বস্তুদিগের সহযোগে ওয়ারেন্ হেষ্টিংস এগার জন বড় বড় পণ্ডিত সংগ্ৰহ করিলেন । এই এগার জনের প্রথমেরই নাম হইতেছে—বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার। তাহার পর পশপুরের কৃপারাম ; তাছার পর নবদ্বীপের ா :
- ಕ್ಷಿ
জোড়াবাড়ীর দুই পণ্ডিত—একজনের নাম রামগোপাল তর্কপঞ্চানন, আর একজনের নাম কালীকিঙ্কর। আর সাত জনের কোণ খবর পাওয়া যায় না। তাহার ভিতর একজন ছিলেন—উাহার নাম সীতারাম ভাট। ইহার এগার জণে একত্র হইয়া, দেওয়ানী আদালতের বহু দিনের মঞ্জীর দেখিয়া একথাণি বই প্রস্তুত করিয়া দেন ; দেখানির নাম--বিবাদার্ণবসেতু। হেষ্টিংস একজন সংস্কৃত-জনে। মৌলবীকে দয়া উহা পারীতে তর্জমা করাইয়া লন এবং হালহেড নামক একজন ইংরাজকে দিয়া সেই পারদী হইতে ইংরাজীতে তর্জন করাইয়। ১৭৭৬ সালে ছাপাইয় দেন। উহার নাম হয়-হাশূহেডস জেন্ট,ল । পণ্ডিত মহাশয়েরা যত দিন এই কার্ঘ্যে নিযুক্ত ছিলেন, তত দিন তাহদের টোল খরচেষ্ট্র জন্য রোজ একটি করিয়া টাকা পাইতেন । কাৰ্য্য শেষ হইয়া গেলেও তাহারা সকলেই যত দিন বাচিয়া ছিলেন, একটি করিয়া টাকা রোজ পাইতেন। কেহ বা উহাদেব বাড়ীতে টোক্স থাক। পূর্যস্ত সে টাকা পাইয়াছিলেন। এই পণ্ডিতমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন—বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার । মুতরাং এ গ্রন্থ প্রণয়ণে র্তাহাকে বিশেষ পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল এবং তিনিই যে সকলকে চালাইয়া লইয়াছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কয়েক বৎসর এই কোড়ই স্বপ্রীম কোর্টের ভরসা ছিল । তার পর সরে উইলিয়ম জোন আসেন। তিনি নিজে সংস্কৃত জানিতেন এবং জগন্নাথ তর্কপঞ্চাঙ্গন মহাশয়কে দিয়া বিবাদভঙ্গীর্ণব নামে একটি নুতন কোড তৈয়ার করিয়া লন। £4 সুতরাং বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার যে শুধুই কবিতা লিথিয়া, চম্পূ লিথিয় বেড়াইতেল, তাহানহে, স্মৃতিশাস্ত্রেও র্তাহার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল। ইংরাজের হাতে চিলুল'এর ব্যবস্থা দিবার ভাৱ তুলিয়া দিবার তিনিই একজন প্রধান হেতু। এই সময় হইতেই ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা, ধৰ্ম্মশাস্ত্র সম্বন্ধে নিজেদের প্রাধান্ত হীরাইতে লাগিলেন ; ক্রমে ক্রমে ; এখন সব হারাষ্টয়া বসিয়া আছেন। - { সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা ৩য় সংখ্যা, ১৩৩৮)