পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপাদিত্যের কথা শ্রমিথিলনাথ রায় বাঙ্গালীর ইতিহাস ঘোর তমসছিন্ন | বাঙ্গলার সম্বন্ধে কিছু কিছু ঐতিহাসিক বিবরণ থাকিলেও বাঙ্গালীর সম্বন্ধে ধে বিশেষ কিছুই নাই তাহ অস্বীকার করা ধার না। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা ছাড়িয়া দিলে, ঐতিহাসিক যুগেও বাঙ্গালীর সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানিবার i. উপায় নষ্ট । অবশ্ব এ সময়ের কতক পুথিপত্র আছে বটে, কিন্তু তাই যথাসময়ে লিখিত না হওয়ায় এবং কল্পনা ঃ অতিরঞ্জনে এরূপ পরিপূর্ণ যে, তাহার মধ্য হইতে প্রকৃত

". g - !. বহিব করা সুকঠিন। সেই সকল পুথিপুত্র আবার শকিংশ স্থলেই প্রবাদ অবলম্বনে লিখিত। ন্যসূল

জনশ্রুতি কথাট। মানিয়া লইলেও, যেখানে মূলই খুজিয়ু ફિલ્મો যায় না, সেখানে তাহার সার্থকতা কোথায় ? . করিতে গেলে আমর ক্টার অনেক কথারই মূল খুজিয়া পাই না। যদিও “প্রতাপানি তা-সম্বন্ধে আলোচন৷ প্রতাপাদিতা-সম্বন্ধে সেকালে ও একালে অনেক পুথিপত্র ও গ্রন্থ রচিত হইয়াছে, তথাপি তাহা হইতে প্রকৃত তথ্য বাহির করা বড়ই কঠিন ব্যাপার। প্রকৃত ইতিহাস হইতে প্রতাপ-সম্বন্ধে কোন কোন কথা জানিতে পার! যায় বটে, কিন্তু আনুপূৰ্ব্বিক কিছুই জানিবার উপায় নাই। তাই আমরা প্রতাপের সম্বন্ধে লিখিত ও কথিত বিবরণসমূহ আলোচনা করিয়া তাহার সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য জানাইবার চেষ্টা করিতেছি। পৰ্ব্বাপর আলোচনা করিলে আমাদের মনে ३१ (१, খৃষ্ঠায় ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে ধে-সকল জেসুইট পাদরী এদেশে আসিয়া প্রতাপাদিত্য-সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহাই প্রথম কথা। র্তাহীদের কথা লইয়া ডুজারিক, সামুয়েল পাশ প্রভৃতি যে-সকল গ্রন্থ রচনা করেন, তাহাই ক্রমে প্রচারিত হয়। কিন্তু এদেশে ইংরেজ-আগমনের পূর্বে অবশ্য এ-সকল কথা লোকে জানিতে পারে নাই। "ইহার পর সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে আবদুল লতীকের ভ্রমণ-কাহিনী ও মিচ্ছ। সহম লিখিত যাহারিস্তান হইতে প্রতাপাদিতোর কথা জানা যায়। তাহারা ভারতবাসী হওয়ায় তাহাদের লিখিত বিবরণ যে এদেশে প্রচারিত ইয়াছিল, তাই বলা যাইতে পারে। কোন কোন গ্রন্থ ट्र ইতে তাহার আভাস পাওয়া যায়, রামরi১ বসু-প্ৰণাত রাজা প্রতাপাদিত্য-চরিত্রই ইহার প্রমাণ। বল্প-মহাশয়

লিথিয়াছেন যে, পারসিক ভাষায় প্রতাপাদিত্যের কিছু কিছু বিবরণ আছে, কিন্তু আন্তপূৰ্ব্বিক সমস্ত বিবরণ ন থাকায় তিনি তাহার গন্থ লিখিতে প্রবৃত্ত হন । ইহাতে বোধ হয় বল্প-মহাশয় বহিরিস্তান প্রভূতির কথা অবগত ছিলেন, বাহারিস্তানের কোন কোন কথা তাহার গ্রন্থেও দেখা যায়। রাজনাম নামে এক পারসিক গ্রন্থের কথা কেহ কেহ বলিয় থাকেন, এক্ষণে কিন্তু তাহার অস্তিত্বের কথা জানা ধায়ু না । সে যাহা হউক আবদুল লতাফের ভ্রমণ-কাহিনী ও বহিরিস্তান প্রতাপাদিত্যসম্বন্ধে ঘূতন তথ্য প্রকাশ করিয়াছে এবং অধ্যাপক যদুনাথ সরকার সে-কথা জানাইয়া দিয়া প্রতাপাদিত্যের শেষ- 2 জীবন সম্বন্ধ নূতন আলোক প্রদান করিয়া ধে ধন্যবাদা?" হইয়াছেন,সে কথা আমরা অবশুই বলিতে পারি। পাদরীগণ, . আবদুল লতাফ ও মির্জ। সহন প্রতাপাদিত্যের সমসাময়িক, কাজেই তাহাদের বিবরণ হইতে প্রতাপাদিত্যের প্রকৃত কথা অনেক পরিমাণেই জানিবার সম্ভাবনা , কিন্তু ঐ সকল বিবরণ হইতে প্রতাপাদিত্যের এক এক সময়ের কথাই জানা যায়, তাহার আনুপুৰ্ব্বিক প্রকৃত বিবরণ কি তাহ! জানিবার উপায় নাই । এই সকল বিবরণের পর আমরা ক্ষিতীশ বংশাবলীচরিত, ঘটককারিকা ও অন্নদামঙ্গল হইতে প্রতাপের কোন কোন বিবরণ জানিতে পারি। কিন্তু তাহকে, প্রকৃত ঐতিহাসিক তথ্য বলিয়া মানিয়া লণ্ডয়াণ্ড না। o এ-সকল প্রতাপের অনেক পরে লিখিত এবং প্রকৃত