বৈশাখ প্রতাপাদিত্যের কথা ఫి আমরা দেখিতে পাই যে, ইহার পরেই মোগলদিগের সহিত প্রতাপের সংঘর্ষ ঘটিতে আরম্ভ হইয়াছিল । মোগলদের সহিত সংঘর্ষারম্ভ উড়িষ্যায় প্রতাপ পাঠানদিগের সহিত যোগ দেওয়ায় এবং স্বাধীনতার ভাব প্রকাশ করায়, মোগলেরা তাহার কমনে প্রবৃত্ত হয়। যে-সময়ে আজিম খ। বাঙ্গলার সুবেদার ছিলেন, সেই সময়ে প্রথমে মোগলদের সহিত প্রতাপের সংঘর্য উপস্থিত হয় । বসু-মহাশয় লিখিয়াছেন ঘে, প্রথমে আবরাম খা নামে মোগল সেনাপতি প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে প্রেরিত হন । আমরা ইতিহাসে দেখিতে পাই যে, ইব্রাহিম খা নামে একজন সেনাপতি আজিম থার সময়ে এদেশে ছিলেন । সম্ভবতঃ তিনিই প্রতাপের বিরুদ্ধে গমন করিয়াছিলেন । কিন্তু বস্থ.মহাশয় তাহার নিপাতের যে কথা বলিয়াছেন, তাহ প্রকৃত নহে। ইব্রাহিম খ! ইহার পর অনেক দিন জীবিত ছিলেন । তবে তিনি পরাজিত হইতে পারেন, কারণ আমরা দেখিতেছি স্বয়ং আজিম থার সহিত প্রতাপের সংঘর্স হইয়াছিল । ঘটককারিকাতে যে আজিমের নিহত হওয়ার কথা আছে, তাহা একেবারে অবিশ্বাস্য, কারণ আজিম অনেক দিন পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। তবে যশোর-চাচড়ার রাজবংশের কাগজপত্রে ও অন্যান্ত প্রমাণে জানা যায় যে, আজিম প্রতাপকে দমনের চেষ্ট করিয়াছিলেন এবং তাহার অধিকৃত কোন কোন স্থান চাচড় রাজবংশের আদিপুরুষ ভবেশ্বর রায়কে প্রদান করা হইয়াছিল । ভবেশ্বর যুদ্ধে আজিমকে সাহায্য করিয়াছিলেন বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। এখানে একটা কথা বলিবার আছে যে, ইব্রাহিম ও আজিমের যুদ্ধযাত্র স্বতন্ত্র কি একই তাহ ঠিক করিয়া বলা যায় না । বসন্তরায়ের হত্য ইহার পর প্রতাপ অনেক দিন পর্য্যস্ত নীরবে অবস্থান করিয়াছিলেন । কিন্তু এই সময়ে তিনি বলসঞ্চয় করিতে চেষ্টা করেন, সৈন্ত, হস্তী, রণতরী, কামান, বন্দুক, গোলাগুলি-নিৰ্ম্মাণের বিপুল আয়োজন এ-সময়ে তিনি রিয়া লইয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয়। কারণ পরে so - * . '» ، ۰ي ۰ মোগলদিগের সহিত তাহার যে সংঘর্য উপস্থিত হয়, তাহাতে তাহার বিপুল আয়োজনেরই পরিচয় পাওয়া যায় । বলসঞ্চয় আরম্ভ করিয়া প্রতাপের একচ্ছত্রতুলাভের প্রবৃত্তিও প্রবল হইয় উঠে, কারণ তিনি পিতৃব্য বসন্তরায়কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিয়া সমস্ত যশোর-রাজ্য অধিকার করিয়া লইয়াছিলেন বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। বস্থ-মহাশয়ও লিখিয়াছেন যে, বসন্তরায়ের পিতৃশ্ৰাদ্ধতিথিতে তিনি যখন শ্রাদ্ধকায্যে ব্যাপৃত, তখন প্রতাপ কাপুরুষতাসহকারে শ্রাদ্ধস্থলে প্রবেশ করিয়া তাহাকে নিহত করেন। বসন্তরায়ের কোন কোন পুত্রও প্রতাপের হস্তে নিহত হন । ইহা কোন ইতিহাসের দ্বারা সমর্থিত ন হইলেও বসস্তরায়ের বংশীয়গণ পুরুষপরম্পরাক্রমে একথা বলিয়া আসিতেছেন । রামরাম বসু-মহাশয়ও ইহার উল্লেখ করিয়াছেন। ( : প্রতাপের রাজ্যে পাদরীগণ প্রতাপ যে-সময়ে যশোর-রাজ্যে একাধিপত্য করিতেছিলেন, সেই সময় ১৫৯৮ খৃঃ অব্দে গোয়ার জেসুইট সম্প্রদায়ের প্রধান পাদরী নিকোলাস পাইমেন্ট। বঙ্গদেশে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য ফ্রান্সিস ফার্ণাণ্ডেজ ও ডমিনিক সোস নামে দুই জন পাদরীকে পাঠাইয়া দেন । তাহার পর ১৫৯৯ খৃঃ অন্ধে মেলসিওর ফনসেক ও এ; বাউল আসিয়া উহাদের সহিত যোগদান করেী: ইহারা বাঙ্গলার নানাস্থানে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া বেড়ান , সোসা বাঙ্গল ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন। পাদরী’ প্রধান প্রধান ভুইয়াদের সহিত সাক্ষাৎও করেম, বাকলার রামচন্দ্র রায় ও চ্যাণ্ডিকানের প্রতাপাদিত্যের সহিত সাক্ষাতের কথা তাহারা বিশেষভাবে উল্লেখ করিয়াছেন । চ্যাশুিকান কোথায় সে-কথা আমরা পরে বলিব । ১৫৯৮ খৃঃ অবে প্রথমে সোসা ও ৯৯ খৃঃ অকে ফাৰ্ণাণ্ডেজ ও ফনসেক চ্যাণ্ডিকানে উপস্থিত হন । সোসা বরাবরই সেখানে থাকিতেন। রাজা তাহাদিগকে খুবই সম্মান করিতেন । এইখানে ৯৯ খৃঃ অন্ধের শেষভাগে র্তাহারা একটি গির্জা নিৰ্ম্মাণ করেন, তাছাই বাঙ্গলার প্রথম গির্জা বলিয়া অভিহিত হয়। ব্যাণ্ডেল ও
- t.
3% 3.