--জ্যেষ্ঠ নিরুদেশ ১৭৩ কথাটা শুনে আমার কণ্ঠরোধ হবার জোগাড় হ’ল । ঐতি কষ্টে ক্ষীপকণ্ঠে বললাম—“কিসের সন্দেহ ?” উত্তর পেলাম—“এই আমি সত্যিই—” “এই অবধি শুনেছিলাম ভাই, তার পর আর কিছু জানি না ।” বেণুগোপাল ঠাপাতে লাগল। আমি বললাম—“জানিস্ ন, কি ? জ্ঞান হারিয়েছিলি না কি ? এখানে ত দিব্যি দুজ্ঞানেই এলি !” বেণু আমার কাধে একটু ভর ক'রে বললে—“দাড় একটু জিরিয়ে নি।” আমরা অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম । কছুক্ষণ পরে আবার সে বলতে লাগল—“প্রাস্তর ঐ কথাটা পৰ্য্যস্ত শুনেই আমি খাটের পেছনের দিকটা দড়াম ক’রে দিলুম ছেড়ে । আর অমনি পেছন ফিরে দিলাম ইট। আর সেই মুহূর্বেই আমার মাথার পেছনটাতে এমন একটা তামাত পেলাম কি তার বলব। সে কি খাটিয়ার নায়াটাই উন্টে লাগল, না মড়ার ঠ্যাংই ঠিকরে এসে ঠকল, ন প্রান্তের প্রেতাত্মাটাই মারলে মাথায় চাটি, কে জানে ?” গদাই মহা ক্ষাপ্প হয়ে বললে –“যা যাঃ, প্রেতাত্মা ! কি যে বলিস্ । তুই যে এত বড় কাওয়ার্ড তা জানতাম না। প্রাস্তুকে সেই তেপাস্তরের মাঠে একলাটি ফেলে দিব্বি চলে এলি ! খোট্টার। তবু খাট নামিয়ে তবে পালিয়েছে, আর তুই কি-না মড়াহুদ্ধ খাটটা দড়াম করে উন্টে দিয়ে এলি ! প্রান্ত হয়ত একলাই মৃতের সংকার করছে। সে ত আর যমন তেমন ছেলে নয়। চল আমরা যাই!” আমরা অনেকেই “চল চল" বলে উঠে পড়লাম। স্বয়ন্থ গম্ভীর হয়ে বললে—‘অত হঠকারী হয়ে না, অগ্রপশ্চাৎ RETER--" “আরে ধ্যাৎ, অগ্রপশ্চাৎ—” সকলেই ছুটলাম। বেণুকে ও স্বয়স্থকে সকলের মাঝে রাখলাম। শ্মশান বলতে পাড়াগায়ের শ্মশান। যাবার পথটা পৰ্য্যস্ত আতঙ্কে যেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। শবতলার পথ বায়ে রেখে, ছাড়গিলে খালের ধার দিয়ে, পড়ল গিয়ে হলদি মাঠে। সেখান থেকে পশ্চিম পানে তাকালে দৈত্যদীঘির তালগাছের উচ্চ শিরের সারি এই অমাবস্য রাতেও দেখা যায় ! তালের দৈত্যেরা এই শ্মশানের পথে তাকিয়ে দেখে—আবার কে যায় । তারপর মাঠের রাস্ত অজগর সাপের মত প্রবেশ করেছে গিয়ে শেওড়া বনে । বনের মাঝে গাছের ডাল কোথাও হেলে, কোথাও বাতাসে কুয়ে প’ড়ে থাটের মড়ার কানে কানে কি যেন কথা কয়, আবার হরিধ্বনি দিতেই খাড়া হয়ে উঠে পড়ে। কোথাও পেচার গুরুগম্ভীর ধ্বনি । বন পেরিয়েই ভাগীরথী-তীরে শিমুলতলার শ্মশানঘাট । আমরা তাকিয়ে দেখলাম একটি মাত্র চিত । তাতে আগুন সবে দাউ দাউ ধরে উঠছে। লোকজন কোথাও কেউ নেই! গদাই বলে উঠল—“ দেখলি, সেই হিজলী তল থেকে প্রাস্ত একলাই এতটা পথ মড়া বয়ে এনেছে, তার পর চিত৷ সাজিয়ে আগুন ধরিয়েছে।” স্বয়ুস্তু ফিস্ ফিস্ ক’রে বললে—“তোর কি পাগল হয়েছিস ? হিজলীতলা থেকে মড়া বয়ে এনে আগুন দেওয়া কি মামুষের কাজ ? ঐ বেণু যা সন্দেহ করেছে, বুঝলি না—” ༡]༽ཤྲ་ཧྲ༼གཡ─”༥T།༤ s" তারপ" মিলে “প্রাস্ত—প্রাস্ত” বলে চীৎকার উপর দিয়ে ভেসে গেল। কোন লব্ধি হ’ল সত্যিই জনহীন শ্মশানেই মনের ভিতরটা তোলপাড় ক’রে হঠাৎ ভয়ে निzशशंज्ञा विश्लब हैरु भन्न পেন্ধিয়ে চলে
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।